সিরিজ গল্প: ১৩ তম দরজা
🕯️ অধ্যায় ৩: “যে ছেলেটা আর ছিল না”
অর্ণব অনেকক্ষণ ধরে ছবিটার দিকে তাকিয়ে রইল। তার মনের গভীরে কোথাও যেন সেই মুখটা কাঁপা কাঁপা আলোয় ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু একবারও স্পষ্ট করে চিনতে পারল না।
“আমি তো কোনোদিন এমন কারও সঙ্গে ছবি তুলিনি… তাহলে কে?”
সেই রাতে অর্ণব তার পুরনো অ্যালবামগুলো বের করল। প্রতিটি পাতায় চোখ বোলাতে লাগল। হঠাৎ, একটা পাতায় গিয়ে তার দৃষ্টি আটকে গেল।
ছবিটা ছিল সেখানে—ঠিক সেই ছবি, তবে এইবার ছেলেটার মুখ পুরোপুরি ঝাপসা। যেন কেউ ইচ্ছে করে মুছে দিয়েছে।
আর ছবির নিচে পেন দিয়ে লেখা ছিল কাঁপা হরফে—
“অর্ণব ও সামিউল। চিরদিনের বন্ধু।”
সামিউল?
এই নামটা যেন তার ভেতরে ধাক্কা দিল। কোথা থেকে যেন খুব পুরোনো এক স্মৃতির দরজা একটু ফাঁক হয়ে গেল।
সেই স্মৃতিতে ছিল কুয়াশা ঢাকা এক স্কুলবাড়ি, আর এক বিকেল—যেখানে অর্ণব আর সামিউল শেষবারের মতো একসঙ্গে ছিল। কিছু একটা হয়েছিল… ভয়ঙ্কর কিছু… কিন্তু কী?
ঠিক তখনই অর্ণবের দরজায় আবার সেই শব্দটা—
টক… টক… টক…
কিন্তু এবার দরজার নিচ দিয়ে গলে এল ছোট একটা কাগজ—
“ভুলে গেছিস কেন, বন্ধুর মৃত্যুর দায় তোর?”
অর্ণবের পায়ের নিচের জমি কাঁপতে লাগল। ছায়াগুলো ফিরে এসেছে।
#sifat10
Guide To Car Keys Replacement Near Me: The Intermediate Guide In Car Keys Replacement Near Me | #ignition key replacement
সিরিজ গল্প: ১৩ তম দরজা
🕯️ অধ্যায় ২: “১৩ নম্বরের চিঠি”
অর্ণব দরজার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল। বাতাস ঠাণ্ডা, যেন পুরোনো দেয়ালগুলোও তার গতিবিধি দেখতে পাচ্ছে। দরজার নিচ দিয়ে কিছু একটা গড়িয়ে পড়ল।
একটা খাম।
হাত কাঁপছিল, তবুও সে খামটা তুলে নিল। সাদা খামে কালো কালি দিয়ে লেখা:
“অর্ণব, তুমি কি ভুলে গেছো আমায়?”
অর্ণব চমকে উঠল। লেখা অদ্ভুতভাবে পরিচিত। সে হাতড়ে মনে করতে চেষ্টা করল—এটা কার লেখা?
খামের ভেতরে ছিল একটি পুরোনো ছবি—ছবিতে অর্ণব আর আরেকটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে, স্কুল ড্রেসে। কিন্তু... সমস্যা হলো, অর্ণব কখনই কাউকে নিয়ে এমন ছবি তুলেনি।
আরেকবার খেয়াল করতেই বুঝল—ছবিতে থাকা ছেলেটা একটু ঘোলাটে, যেন কোনোভাবে অদৃশ্য হতে চাইছে।
পিছনে লেখা তারিখ: ১৩ জানুয়ারি, ২০১৩।
আর নিচে কেবল একটা শব্দ—“ফিরে এসো।”
অর্ণবের মনে হলো, সে সময়ের ভুলে যাওয়া এক দরজা খুলে ফেলেছে, যেটা বন্ধ থাকারই কথা ছিল।
এখন সে শুধু জানে—এই খেলা শুরু হয়ে গেছে।
#sifat10
অবশ্যই! হৃদয়ের আরও কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করা যাক।
হৃদয়ের কার্যকারিতা কিন্তু বেশ জটিল এবং নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রিত। এটি চারটি প্রধান প্রকোষ্ঠে বিভক্ত: দুটি অলিন্দ (atria) এবং দুটি নিলয় (ventricles)। অলিন্দ দুটি রক্ত গ্রহণ করে এবং নিলয় দুটি রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন অংশে পাঠায়। এই চারটি প্রকোষ্ঠ আবার ভাল্ভের (valves) মাধ্যমে এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় যাতে রক্ত কেবল একদিকেই প্রবাহিত হতে পারে, পেছনের দিকে যেতে না পারে।
হৃদস্পন্দন একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া। আমাদের মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ, যাকে সাইনোঅ্যাট্রিয়াল নোড (sinoatrial node) বলা হয়, বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করে যা হৃদপেশীকে সংকুচিত হতে উদ্দীপিত করে। এই বৈদ্যুতিক সংকেতই হলো আমাদের হৃদস্পন্দন। মজার ব্যাপার হলো, আমাদের শরীরের ভেতরের এবং বাইরের বিভিন্ন উদ্দীপকের সাথে সাথে এই হৃদস্পন্দনের গতি কম-বেশি হতে পারে। যেমন, ভয় পেলে বা উত্তেজিত হলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, আবার বিশ্রাম নিলে তা কমে আসে।
হৃদয়কে সুস্থ রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, যেমন ধূমপান, অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই একটি সুস্থ জীবনशैली বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।
হৃদয় শুধু আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, মানসিক শান্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা ভালো কিছু অনুভব করি, তখন আমাদের হৃদয়ে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব হয়। আবার দুঃখ বা কষ্ট পেলে সেই অনুভূতিও হৃদয়েই যেন বেশি করে অনুভূত হয়।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে হৃদরোগের চিকিৎসায় অনেক উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হৃদরোগ নির্ণয় করা যায় এবং ঔষধ, সার্জারি এমনকি কৃত্রিম হৃদযন্ত্রের মাধ্যমেও অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে।
#হৃদয়#
হৃদয় শুধু একটা পাম্পিং স্টেশন নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে কত অনুভূতি, কত কবিতা, কত গান!
শারীরিকভাবে দেখলে, হৃদয় একটা শক্তিশালী পেশীবহুল অঙ্গ, যা আমাদের বুকে, ফুসফুসের মাঝে একটু বাঁ দিকে অবস্থিত। এর প্রধান কাজ হলো রক্ত পাম্প করে সারা শরীরে অক্সিজেন আর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেওয়া। প্রতি মিনিটে প্রায় ৭০-৮০ বার স্পন্দিত হয়ে এই কাজটি করে যাচ্ছে আমাদের জীবনভর। ভাবুন তো, কত ক্লান্তিহীন পরিশ্রম!
তবে, হৃদয়ের আলোচনা শুধু শরীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মানব সংস্কৃতিতে হৃদয় এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। ভালোবাসা, মায়া, মমতা, সহানুভূতি, এমনকি দুঃখ আর কষ্টের অনুভূতিও আমরা হৃদয়ের সাথে যুক্ত করি। "আমার হৃদয় ভেঙে গেছে", "আমার হৃদয় আনন্দে ভরে উঠেছে" - এই ধরনের কথাগুলো আমরা কত সহজেই না বলি!
সাহিত্যে, কাব্যে, সঙ্গীতে হৃদয় এক বহুমাত্রিক প্রতীক। কখনো এটা ভালোবাসার উৎস, কখনো বেদনার আশ্রয়, আবার কখনো সাহসের প্রতীক হিসেবেও উঠে আসে। কত কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী হৃদয় নিয়ে কত অমর সৃষ্টি করে গেছেন!
আবার, আধ্যাত্মিক দিক থেকেও হৃদয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক ধর্ম ও বিশ্বাসে হৃদয়কে আত্মার কেন্দ্র হিসেবে দেখা হয়, যেখানে পরমাত্মার সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়।
তাই হৃদয়কে শুধু একটা শারীরিক অঙ্গ হিসেবে দেখলে এর বিশাল তাৎপর্যকে অস্বীকার করা হয়। এটা একইসাথে আমাদের জীবনধারণের অত্যাবশ্যকীয় ভিত্তি এবং আমাদের আবেগ, অনুভূতি ও আধ্যাত্মিকতার এক গভীর আধার।