হাসির হাটে হাসির খেলা
হাসির হাট ছিল গ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান। প্রতি রবিবার বিকেলে গ্রামবাসী এখানে জমজমাট মেলা বসাতো। সেখানে হাটের মালিক হাসান আলী নানা ধরনের মজার খেলা আয়োজন করতেন।
একদিন হাসান আলী ঘোষণা দিলেন, "এইবার হাসির খেলা হবে! যার যার সবচেয়ে মজার গল্প শোনাবে, সে পাবে পুরস্কার।"
গ্রামের ছোট থেকে বড় সবাই অংশ নিতে প্রস্তুত হল। মঞ্চে উঠতে শুরু করল নানা রকম মজার কাহিনি। কেউ বলল, "আমার গরু একবার গান গেয়েছিল!" কেউ বলল, "আমার বউয়ের নাচ দেখে হেরে যাই!"
সবাই হাসতে হাসতে তোলপাড় করল।
তখন হাসান আলী মঞ্চে এসে বললেন, "আমার গল্প শোনো—একবার আমি পিঠে করে কাঁঠাল নিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ কাঁঠাল গাছ থেকে পড়ে গিয়ে আমার মাথায় লাগল!"
গ্রামবাসী হাঁসতে হাঁসতে লুটোপুটি খেতে লাগল। হাসান আলীর এই খেলায় সবাই মিলেমিশে আনন্দ পেল।
শেষে তিনি বললেন, "সত্যিকারের আনন্দ আসে একসাথে হাসতে পারলে, তাই হাসির হাট আমাদের প্রিয় স্থান।"
#sifat10
শিমুলবাগানের ছায়া
শিমুলবাগান ছিল গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল লাল-সাদা শিমুলের গাছ, আর তাদের নরম ছায়ায় ঘুমাত ছোটবড় সবাই। কিন্তু শিমুলবাগানে রাতে কেউ যেত না, কারণ সেখানে ছিল এক রহস্যময় ছায়া।
গ্রামের বড়রা বলত, “যে রাতে শিমুলবাগানে যায়, সে আর ফিরতে পারে না।”
ছেলেমেয়েরা ভয় পেত, কিন্তু কিশোর কায়সার ছিল অন্য রকম। সে কৌতূহল নিয়ে ছায়াটার রহস্য জানার জন্য রাতে বাগানে গেল।
আকাশে ছিল চাঁদ, শিমুলগাছের পাতা নরম বাতাসে নাচছিল। হঠাৎ কায়সার দেখল, ছায়াটা আসলে একটা বড় পোষা হরিণের ছায়া!
হরিণটি কায়সারের দিকে দেখতে দেখতে ধীরে ধীরে বাগান থেকে বেরিয়ে গেল।
কায়সার পেছনে পেছনে হরিণটাকে দেখতে দেখতে গ্রামের এক পুরনো পুকুরে পৌঁছালো। পুকুরের পানিতে হরিণটা ডুব দিয়ে উধাও হয়ে গেল।
সেদিন থেকে কায়সার সবাইকে বলল, “ছায়াটা কোনো ভয়ংকর কিছু না, সে শুধু প্রকৃতির মায়াবী রূপ!”
গ্রামের লোকজন ধীরে ধীরে সেই ভয় ভুলে গেল। আর শিমুলবাগান হলো গ্রামের খেলা-ধুলার জায়গা, যেখানে ছোট থেকে বড় সবাই আবার ঘুরে বেড়াতে শুরু করল।
#sifat10