রেডিওওয়ালা রহস্য
গ্রামের বুড়ো মকবুল চাচা এক সময় শহরে চাকরি করতেন। অবসরে গ্রামে ফিরে এসেছেন বহু বছর হলো। তার একটাই নেশা—পুরনো একটা লাল রঙের রেডিও। দিনের অনেকটা সময় তিনি সেটা কানে লাগিয়ে বসে থাকেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলেন, “সংবাদ শুনি!”
কিন্তু রেডিওটা বহু পুরোনো, কোন চ্যানেলই ধরেনা। তারপরও চাচা প্রতিদিন সেটি কানে দিয়ে এমনভাবে শোনেন যেন পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেখানেই প্রচার হচ্ছে।
গ্রামের লোকজন অবাক হয়ে ভাবে, “এই রেডিওটা কি আসলেই কাজ করে?”
ছোট ছেলেপেলেরা একদিন চাচার অনুপস্থিতিতে রেডিওটা নিয়ে এল, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখল, কিন্তু কোনো আওয়াজ পেল না। তখন রহিম নামের এক দস্যি ছেলে বলল, “চলো রেডিওটা খুলে দেখি, ভেতরে আসলে কিছু আছে কি না।”
রেডিও খুলতেই বেরিয়ে এল পুরনো এক চিঠি, একটা ছোট সাদাকালো ছবি আর কয়েকটা কাগজ! চিঠিটা ছিল মকবুল চাচার প্রিয়তমা স্ত্রীর, যিনি বহু বছর আগে মারা গেছেন।
চিঠিতে লেখা—
“তুমি শহরে থাকো, আমি গ্রামে। মাঝে মাঝে চিঠি পাই, মাঝে মাঝে পাই না। এই রেডিওটা খুললে যেন সব কথা মনে পড়ে যায়...”
ছেলেরা দৌড়ে গিয়ে রেডিওটা ফিরিয়ে দিল। চাচা হাসলেন, বললেন, “এই রেডিওতে শব্দ নেই ঠিকই, কিন্তু স্মৃতির আওয়াজ আছে। আর সে আওয়াজ শুধু হৃদয়ে শোনা যায়।”
সেদিন থেকে কেউ আর চাচার রেডিও নিয়ে প্রশ্ন করে না। বরং চুপিচুপি এসে পাশে বসে, আর ভাবে—কী রহস্যময় এই শব্দহীন শ্রুতি!
#sifat10
কাঠাল চোরের কাণ্ড
গ্রামের নাম বাহাদুরপুর। আর কাঠাল গাছের রাজা হলেন বজলু চাচা। বিশাল গাছ, বছরে দেড়-দুইশো কাঠাল দেয়। তবে এই গাছের একটা রহস্য আছে—যে হাত দেয়, সে ধরা পড়ে!
পাঁচ বছর ধরে গাছ থেকে যে কাঠাল চুরি করতে গেছে, সবারই কেমন করে যেন থানা-পুলিশে পড়ে, বা বাড়িতে ধরা পড়ে যায়। কেউ কেউ বলে, গাছে “জিন” আছে!
এবার গ্রীষ্মে হঠাৎ দেখা গেল, প্রতিদিন ভোরে একটা করে আধা-কাটা কাঠাল পড়ে থাকে গাছের নিচে। কেউ খায় না, কেউ নেয় না। সবাই ভয় পায়। গ্রামের মুরুব্বিরা বলল, “এইবার বড় জিন ক্ষেপেছে!”
চাচা হুকুম দিলেন, গাছ পাহারা দেওয়া হবে। মুরগির খাঁচার মতো করে খুঁটির ওপরে মাচা বানিয়ে তিনজন তরুণ পাহারা শুরু করল। প্রথম রাত গেল চুপচাপ। দ্বিতীয় রাতেও কিছু না। তৃতীয় রাতে—হঠাৎ মাচা দুলে উঠল!
পেছন থেকে “ঢপ!” একটা শব্দ। সবাই টর্চ মারল—আরেক কাঠাল পড়ে আছে, পাশে একটা পেটির ছায়া!
ধরা পড়ল মন্টু, গ্রামের সবচেয়ে বুদ্ধিমান বলে পরিচিত এক তরুণ।
চাচা রাগে কাঁপছেন, “তুই! তুই কেন রে?”
মন্টু মাথা চুলকে বলল, “আসল কথা শুনেন চাচা। আমি চুরি করতাম না। আমি পরীক্ষা করতাম—এই গাছে জিন আছে কি না!”
সবাই হাঁ করে তাকিয়ে।
মন্টু হাসে, “প্রথম কাঠাল আমি কাটছিলাম খেতে। পরে শুনি জিন আছে! ভয় পাইলাম, তাই ভাবলাম, নিয়মিত আধা কাঠাল কাটি, দেখি ধরা পড়ে কি না। দেখা গেল, এবারেই ধরা পড়লাম!”
চাচা হেসে ফেললেন। বললেন, “তোরে শাস্তি দেওয়া লাগবে না—গল্পই তো বানাইছিস!”
সেই থেকে গাছের নাম হয়ে গেল—“গল্প-কাঠাল গাছ”। আর মন্টু? সে এখন নিজেই “গল্পওয়ালা মন্টু” নামে পরিচিত।
#sifat10
You have a great day implant the money | #vgggg
রান্নার রাজা রহিম
রহিম মিয়া একজন চা দোকানদার। দোকান ছোট, কিন্তু তার হাসি আর কড়া লাল চায়ের জন্য দূরের গ্রাম থেকেও লোক আসে। তবে রহিমের একটা গোপন শখ—সে রান্না করতে ভালোবাসে। ব্যাপারটা লুকিয়েই রাখে, কারণ গ্রামের লোকজন ভাবে, রান্না করা পুরুষদের কাজ না।
একদিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘোষণা দিলেন—“গ্রাম্য রান্নার প্রতিযোগিতা হবে, নারী-পুরুষ সবার জন্য উন্মুক্ত!”
রহিমের ভেতরের আগুন জ্বলে উঠল। কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না। রাতে সে নিজের দোকানের পেছনে গোপনে রান্না করতে লাগল—মাটন খিচুড়ি, গরুর ভুনা, আর নারকেল দুধে পাটিসাপটা!
প্রতিযোগিতার দিন রহিম মুখে গামছা বেঁধে হাজির হল। নাম লিখল “রুহানা বেগম” নামে!
লোকে হাসাহাসি করে বলল, “এই নতুন আপা কে রে?”
রহিম মুখ ঢেকে রান্না করল, এমন স্বাদ, এমন ঘ্রাণ! বিচারকেরা তাজ্জব। শেষে যখন নাম ঘোষণা হলো—প্রথম পুরস্কার: রুহানা বেগম!
তখন রহিম গামছা খুলে বলল, “আমি রহিম, চা দোকানি। আমি রান্না ভালোবাসি। পুরুষ মানেই শুধু চা না, কড়াই-হাড়িও হতে পারে!”
সবার চক্ষু চড়কগাছ! তারপর শুরু হল হাততালি।
পরদিন গ্রামের সবচেয়ে বড় চায়ের দোকানের সামনে সাইনবোর্ড ঝুলল—
“রহিমের রান্না ও রসনা”
মেয়েরাও বলে, “এইটা হইল আসল প্রতিযোগিতার জয়!”
#sifat10
Free Will Make is the money to the money style you have to do | #gdgddg
বুড়োর বাইসাইকেল বিপ্লব
গ্রামের এক কোণায় থাকতেন মজিদ বুড়ো। বয়স প্রায় আশি ছুঁইছুঁই, তবু চোখে চশমা ছাড়া সব দেখতে পান, কানে আওয়াজ পান না তেমন, আর হাঁটার গতি এত ধীর যে পাশে দিয়ে কচ্ছপ গেলেও হাই ফেলে।
একদিন হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে মজিদ বুড়ো ঘোষনা দিলেন, “আমি আবার বাইসাইকেল চালাবো।”
সবাই ভাবল, বুড়ো হয়ত হালকা রোদে দাঁত কাঁপানো কিছু বলেছে। কিন্তু না, পরদিন সকালে তিনি সত্যিই একটা পুরনো বাইসাইকেল নিয়ে উঠানে দাঁড়ালেন।
সাইকেলটা পঁচিশ বছর আগে তার ছেলের, জংধরা, টায়ার আধা ফাটা। বুড়ো নিজেই হাতুড়ি-পিটা করে রেডি করলেন। তখন গ্রামের ছেলেপেলেরা দৌড়ে এলো—“বুড়ো চাচা সাইকেল চালাবে!”
প্রথমদিন উঠতেই পারেননি। দ্বিতীয়দিন উঠেও দু’ফুট এগিয়ে পড়ে গেলেন। তৃতীয়দিন একটু দূর গড়ালেন। সাত দিনে পুরো গ্রামে চাঞ্চল্য—মজিদ বুড়ো সত্যি আবার চালাতে শিখে গেলেন!
বিকেলে যখন ধীরে ধীরে গ্রাম ঘুরে বেড়ান, তখন সবাই হাত নেড়ে সালাম দেয়। কেউ কেউ মজা করে বলে, “এইবার চাচার বাইসাইকেল ইউনিয়ন নির্বাচনে দাঁড়াবে।”
বুড়ো হেসে বলেন, “যতদিন হাত-পা চলে, ততদিন জীবনেও গতি থাকে।”
এরপর থেকেই গ্রামের অন্য বয়স্করাও উৎসাহ পেল। কেউ হাঁটা শুরু করল, কেউ লাঠি ফেলে দিল। আর বাচ্চারা এখন বলে, “বুড়ো চাচা হিরো!”
মজিদ বুড়োর বাইসাইকেল হয়ে উঠল একপ্রকার প্রতিরোধ—বয়সের বিরুদ্ধে, হাল ছেড়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে।
#sifat10
মোহরের খোঁজে মোশাররফ
মোশাররফ গ্রামের এক অদ্ভুত চরিত্র। মাথায় সব সময় একটা পুরনো হেলমেট, হাতে লাঠি, আর মুখে সদা প্রস্তুত “গোপন তথ্য”। সে বিশ্বাস করে, তার দাদার আমলে বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানে মাটির নিচে এক কলসি ভর্তি মোহর পুঁতে রাখা হয়েছিল। সেই মোহরই তার ভাগ্য ফিরাবে!
একদিন সকালে গ্রামে ঘোষণা দিল, “আজ থিকা খোঁড়াখুঁড়ি শুরু!”
শুরু হল অভিযান। প্রথমে বাঁশবাগানে। তারপর পুকুরপাড়ে। এমনকি একবার স্কুলের পাশের মাঠেও গর্ত করে ফেলল!
লোকজন প্রথমে হাসল, তারপর মজা পেয়ে গেল। কেউ কেউ চা নিয়ে বসে দেখে, কেউ খোঁড়া মাটি থেকে “প্রমাণ” খোঁজে—একটা মরিচের বীজ পেলেও কেউ বলে, “এইটা নিশ্চয় পুরান মোহরের পাশে আছিল!”
মোশাররফ দিন দিন আরও সিরিয়াস হয়ে উঠল। রোদ, বৃষ্টি কিছু না দেখে সে খোঁড়েই যাচ্ছে।
একদিন দুপুরে হঠাৎ একটা পুরনো লোহার কৌটা বের হল। ভিতরে কয়েকটা পুরনো কয়েন। লোকজন দৌড়ে এলো। মোশাররফ চোখ বড় করে বলল, “বলছিলাম না! শুরু হইছে!”
তবে পাশের গ্রামের ইতিহাস শিক্ষক দেখে হেসে বলল, “এই কয়েনগুলা স্বাধীনতার আগের সময়কার বাজারি মুদ্রা। মোহর না ভাই!”
মোশাররফ থমকে গেল, তারপর বলল, “বুঝছেন না, এইটা শুধু শুরু। আসল মোহর আরও গভীরে!”
লোকজন আবার হেসে উঠল। মোশাররফ আজও খোঁড়ে। কেউ এখন আর তাকে থামায় না, বরং পাশে বসে চা খায় আর বলে, “মোশাররফ ভাই, পাইলে আমাদেরও একটু দিবেন!”
#sifat10
approach is based on the use of innovative semiconductor materials | #ৎযড়মড়য