গত বছর ১৭ ডিসেম্বর ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়—ইতালির জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে শ্রমবাজারে। ইতালিকে ইউরোপের সবচেয়ে বয়সী মানুষের দেশ হিসেবে উল্লেখ করে এতে বলা হয়—২০১৪ সালের পর থেকে সেখানকার জনসংখ্যা ক্রমাগত কমছেই।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত দশকে ইতালিতে জনসংখ্যা কমেছে ১৪ লাখ। এই সংখ্যা দেশটির দ্বিতীয় প্রধান শহর মিলানের মোট বাসিন্দার সমান।
ইতালির জনগণের গড় আয়ু ৮৩ বছর। তবে শিশু জন্মের হার যেভাবে কমছে তাতে ২০৫০ সালে সেখানকার মোট জনসংখ্যার তিন ভাগ মানুষের গড় বয়স দাঁড়াবে ৬৫ বছরের বেশি। বর্তমানে দেশটিতে একজন নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার হার এক দশমিক দুই। জনসংখ্যার ভারসাম্য তৈরিতে প্রয়োজন দুই দশমিক এক শতাংশ। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতালিতে সেই লক্ষ্য পূরণ যেন 'সুদূর পরাহত'।
গত ৩১ মার্চ রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়, 'ইতালির জনসংখ্যা সংকট আরও খারাপ হয়েছে। জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন'। ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে ইতালিতে শিশু জন্মের হার আরও কমেছে। অর্থাৎ দেশটির জনসংখ্যা আরও কমেছে। সে বছর সেখানে যত শিশুর জন্ম হয়েছে তার তুলনায় মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার বেশি মানুষের।