আশিয়াতুল লুম‘আত’ গ্রন্থে শায়খ আব্দুল হক রহঃ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন,
এই হাদীসের ভাবার্থ হলো এসব অদৃশ্য বিষয়ে আল্লাহ কর্তৃক অবহিত করা ছাড়া কেউ স্বীয় প্রজ্ঞা ও সহজাত জ্ঞানের বলে জ্ঞাত হতে পারে না। কেননা সেগুলো সম্পর্কে খোদা ব্যতীত আর কেউ জ্ঞাত নয়, কিন্তু আল্লাহ তা’আলা যাকে ওহী কিংবা ইলহামের মাধ্যমে জানিয়ে দেন তিনিই জ্ঞাত হন। {আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভীঃ আশিয়াতুল লুমআতঃ ১/৪৪ পৃ.}
আগামীকালের খবর, কার মৃত্যু কোথায় হবে এসব খবরও আমাদের নবী ﷺ জানতেন এই মর্মে আরো কিছু হাদিস পেশ করব, তার আগে আমি আরো বলতে চাই, “কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহর জানা আছে” মক্কায় এমন আয়াত নাজিল হওয়ার পরও মদিনাতে সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে “কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে” এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন, তার মানে সাহাবায়ে কেরাম এটা বিশ্বাস করতেন যে, ঐসব আয়াত দ্বারা কিয়ামতের জ্ঞান সত্ত্বাগতভাবে আল্লাহ’র-ই জানা আছে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবিবকে জানাবেন না এমন বলা হয়নি এবং প্রিয় নবী ﷺও কখনো বলেননি যে, আমি জানিনা। পরিস্থিতি সাপেক্ষে কোন বিষয় প্রকাশ না করা বা কিছু প্রশ্নের জবাব না দেয়া উক্ত বিষয়ে অজ্ঞতা নয়, হেকমতও হতে পারে। যেমনঃ