তালপাতার পাখার দাম
একটা মফস্বল শহরে বাস করতেন খায়রু চাচা, পেশায় সাধারণ পাখা বিক্রেতা। তালপাতা দিয়ে সুন্দর হাতপাখা বানাতেন, খুবই যত্ন করে। তবে দাম নিতেন খুব কম—মাত্র এক টাকায় একটা।
লোকেরা হাসত, “চাচা, এত পরিশ্রম করে এত কম দামে পাখা বেচেন কেন?”
তিনি হেসে বলতেন, “তালপাতার ঠান্ডা বাতাস যেন গরিবের ঘরেও যায়।”
একদিন শহরে এল এক বিখ্যাত শিল্পপতি। প্রচণ্ড গরমে হাঁটতে হাঁটতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। এক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তালপাতার পাখা কিনল। দাম মাত্র এক টাকা!
সে অবাক হয়ে খায়রু চাচাকে জিজ্ঞাসা করল, “এই এত সুন্দর পাখা এত কমে দিচ্ছেন কেন?”
চাচা বললেন, “পাখা যদি শুধু ধনীদের জন্য হয়, তবে গরিবরা কিভাবে স্বস্তি পাবে?”
শিল্পপতির মন ছুঁয়ে গেল। সে চাচাকে প্রস্তাব দিল, “চাচা, চলুন আমার সঙ্গে শহরে। আমি আপনার পাখা সারা দেশে বিক্রি করব। আপনার নামে একটা প্রতিষ্ঠান করব।”
চাচা হাসলেন, মাথা নাড়ালেন, “না বাবা, আমি এখানে থেকে গরিবদের মুখে ঠান্ডা বাতাস দিতে চাই। বড় জায়গায় গেলে ওই মায়া হারিয়ে ফেলব।”
শিল্পপতি সেদিন থেকে চুপচাপ প্রতি মাসে কিছু টাকা পাঠাতে লাগলেন চাচার জন্য, আর শহরে বলল, “তালপাতার পাখা হয়তো সস্তা, কিন্তু যার হাতে তা তৈরি, তার মন ছিল অমূল্য।”
#sifat10
MD Nafis islan
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?