30 ш ·перевести

সাহস এসে যাবে। কোনরূপ ভয়-ভীতি থাকবে না।

সেই দিন রাতের বেলায় গোবিন্দ রাড়ির প্রধান মন্দিরে বসা ছিল। তার সামনে দু'জন হিন্দু মহিলা তাকে বলছিল- রাজিয়া দিনের বেলায় তাদের সাথে নদীতে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে ফিরে এসেছিল।

সে আমাকে কোনরূপ সন্দেহ তো করেনি? জিজ্ঞেস করল গোবিন্দ।

আরে আমরা তো আপনাকে আগে থেকেই জানতাম, তার পরও আমাদেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, সেই সন্ন্যাসীরূপী লোকটি আপনিই বললো এক মহিলা।

আপনার এই সন্ন্যাসীরূপ ধারণ ছিল অকৃত্রিম। আপনার কাজে আপনি শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরপর আমরাও রাজিয়াকে কয়েকটি কাহিনী শুনিয়ে এ কাজে সম্মত করিয়ে ফেলেছি- বললো অপর মহিলা।

রাজিয়াকে এই হত্যাকাণ্ডে রাজি করানোর জন্যে এতো জল ঘোলা করার প্রয়োজন ছিল না। কারণ ধর্মান্তরিত হওয়ার অনুশোচনায় সে এমনিতেই দগ্ধ হচ্ছিল। সে খুঁজে ফিরছিল স্বধর্মে ফিরে গিয়ে পাপ স্খলনের একটা উছিলা। সন্ন্যাসীরূপী গোবিন্দের কথার মধ্যে সে পাপ স্খলনের উছিলা দেখতে পাচ্ছিল।

রাজিয়ার স্বামী যুলকারনাইন তাকে হিন্দু মেয়েদের মধ্যে ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু অপরিপক্ক রাজিয়া যখন হিন্দু মেয়েদের সাথে মিশতে

ভারত অভিযান ৪২