বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন | #বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন #face #2024face
বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন | #বুদ্ধিদীপ্ত কথোপকথন #face #2024face
#_বাসর_রাত
১. মানসিক প্রস্তুতি
বাসর রাত কেবল শারীরিক মিলন নয়, বরং দুটি নতুন মানুষের মধ্যে মানসিক বন্ধন তৈরি হওয়ার একটি সুযোগ। তাই উভয়কেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আস্থার সম্পর্ক তৈরি: প্রথম রাতেই একে অপরের প্রতি আস্থা ও ভরসা তৈরি করা জরুরি। জীবনের নতুন অধ্যায়ে আপনারা একে অপরের সঙ্গী, এই বিশ্বাস থাকা উচিত।
খোলামেলা যোগাযোগ: কোনো ধরনের সংকোচ না রেখে নিজেদের অনুভূতি, ভালো লাগা, মন্দ লাগা বা কোনো দ্বিধা নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। এটি ভবিষ্যতের সম্পর্কের জন্য ভিত্তি তৈরি করবে।
ভয় ও উদ্বেগ দূর করা: অনেক সময় এই রাত নিয়ে কিছু ভয় বা উদ্বেগ থাকতে পারে। দুজনকেই বুঝতে হবে যে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং কোনো চাপ বা তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন।
অপেক্ষা ও ধৈর্য: যদি একজন সঙ্গী তাৎক্ষণিকভাবে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত না থাকেন, তাহলে অন্যজনের ধৈর্য ধারণ করা উচিত এবং জোর করা থেকে বিরত থাকা উচিত। পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২. শারীরিক প্রস্তুতি ও স্বাস্থ্যবিধি
শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিচ্ছন্নতা এই রাতের জন্য অপরিহার্য।
শারীরিক পরিচ্ছন্নতা: বাসর রাতে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের আগে ও রাতে গোসল করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত।
শারীরিক মিলন (সহবাস):
মানসিক প্রস্তুতি: শারীরিক মিলনের আগে মানসিক প্রস্তুতি জরুরি। দুজনেই যখন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, তখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
পূর্বরাগ (ফোরামপ্লে): তাড়াহুড়ো না করে একে অপরের প্রতি আদর, সোহাগ ও রোমান্টিক কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করুন। এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে।
ব্যথা বা অস্বস্তি: যদি কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হয়, তবে তা নিয়ে সঙ্গীর সাথে কথা বলুন। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ: যদি এখনই সন্তান না চান, তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা উচিত। পুরুষদের এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।
স্ত্রীর ঋতুস্রাব: যদি বাসর রাতে স্ত্রীর ঋতুস্রাব (মাসিক) হয়, তবে স্বামী-স্ত্রীর মিলন থেকে বিরত থাকা উচিত। ইসলামে এ অবস্থায় সহবাস নিষিদ্ধ। তবে অন্যান্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা যেমন - আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি অনুমোদিত।
৩. ইসলামিক নির্দেশনা ও আমল
মুসলিম দম্পতিদের জন্য বাসর রাতে কিছু বিশেষ আমল ও নির্দেশনা রয়েছে, যা সম্পর্ককে বরকতময় করতে সাহায্য করে।
দুই রাকাত নামাজ: স্বামী-স্ত্রী মিলে দু'রাকাত নফল নামাজ আদায় করা সুন্নাত। এটি আল্লাহর কাছে নিজেদের নতুন জীবনের জন্য বরকত ও সুখ কামনা করার একটি উপায়। স্ত্রী স্বামীর পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবেন।
দোয়া পাঠ: সহবাসের আগে একটি বিশেষ দোয়া পড়া উচিত। এই দোয়াটি হলো:
بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
(বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তানা, ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাকতানা)
অর্থ: "আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (মিলনের ফলে যে সন্তান দান করবে) তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখ।" (বুখারী, মুসলিম)
স্ত্রীর কপালে হাত রেখে দোয়া: স্বামী সস্নেহে স্ত্রীর মাথার সম্মুখভাগে হাত রেখে বরকতের দোয়া করতে পারেন। এই দোয়াটি হলো:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ
(আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খায়রা মা জুব্বিলাত আলাইহি, ওয়া আউযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জুব্বিলাত আলাইহি)
অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তার মঙ্গল ও যে মঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছ তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছ তা থেকে আশ্রয় চাই।" (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
কথোপকথন: এমন কোনো অপ্রীতিকর বা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো যা সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে (যেমন - অতীতের সম্পর্ক)। বরং একে অপরের ভালোলাগা, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলুন।
৪. রোমান্টিক কথোপকথন ও পরিবেশ
বাসর রাতে রোমান্টিক পরিবেশ ও আন্তরিক কথোপকথন সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে।
প্রশংসা: একে অপরের প্রশংসা করুন। নতুন জীবন শুরুর আনন্দ প্রকাশ করুন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনাগুলো ভাগ করে নিন। যেমন - সন্তান, পরিবার, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।
মজার স্মৃতিচারণ: বিয়ের দিনের মজার ঘটনা বা আপনাদের ভালোবাসার মুহূর্তগুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন।
ভালোবাসার প্রকাশ: সরাসরি ভালোবাসার কথা বলুন। এটি একে অপরের প্রতি আবেগ ও অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করবে।
আরামদায়ক পরিবেশ: ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন, হালকা আলো এবং সুগন্ধ ব্যবহার করতে পারেন।
বাসর রাত একটি নতুন এবং পবিত্র যাত্রার শুরু। এই রাতে পারস্পরিক সম্মান, বোঝাপড়া এবং ভালোবাসা দিয়ে নিজেদের নতুন জীবনকে স্বাগত জানানো উচিত।
মেয়ে ঝকঝকে নতুন একটা iPhone কিনলো। শুধু তাই না, সাথে একটি স্ক্রিন প্রটেকটর এবং সুন্দর একটা কাভারও কিনলো। সে তার বাবাকে ফোনটা দেখালো, এরপর তাদের মধ্যে কী কথোপকথন হল পড়ুনঃ
বাবাঃ খুব সুন্দর মোবাইল এটি। কত দিয়ে কিনলে?
মেয়েঃ এই তো ৫০,০০০ টাকা দিয়ে ফোন, ১২০০ টাকা দিয়ে কাভার আর ২০০ টাকা দিয়ে স্ক্রিন প্রটেকটর।
বাবাঃ আচ্ছা তুমি কেন কাভার এবং স্ক্রিন প্রটেকটরটি কিনলে? তুমি তো চাইলে আরো ১৪০০ টাকা সেইভ করতে পারতে!
মেয়েঃ বাবা, আমি ৫০,০০০টাকা দিয়ে মোবাইল কিনতে পারলাম, আর এর সুরক্ষার জন্য ১৪০০ টাকা খরচ করতে পারব না? আর এই কাভারের কারণে ফোনটা আরো সুন্দর দেখাচ্ছে।
বাবাঃ এটা কি অ্যাপল কোম্পানির জন্য অপমান না? তারা কি যথেষ্ট সুরক্ষার ব্যবস্থা করে ফোনটা তৈরি করেনি?
মেয়েঃ না বাবা, তারা নিজেরাই পরামর্শ দিয়েছে যেন আমরা স্ক্রিন প্রটেকটর এবং কাভার ব্যবহার করি এর সুরক্ষার জন্য। আর ফোনটার কোনো ক্ষতি হোক তা আমি চাই না।
বাবাঃ এটার কারণে কি ফোনটার সৌন্দর্য কমে যাচ্ছে না?
মেয়েঃ না বাবা, সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।.
এরপর বাবা তার মেয়ের দিকে তাকালেন এবং ভালোবাসা মাখা একটা হাসি দিয়ে বললেন, আমার মেয়ে তুমি জানো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি ফোনটা কিনতে ৫০,০০০ টাকা খরচ করলে এবং আরো ১৪০০ টাকা খরচ করলে এর সুরক্ষার জন্য, খুব ভালো।
কিন্তু যিনি তোমাকে খুব সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাকে নির্দেশও দিয়েছেন তোমার সুরক্ষার জন্য যেন কাভার তথা হিজাব পরিধান কর, তাহলে তোমার কি সেই সৃষ্টিকর্তার কথা শোনা উচিত না? ফোনটার সুরক্ষার জন্য তুমি কী করলে তার জন্য তোমাকে আখিরাতে প্রশ্ন করা হবে না, কিন্তু হিজাবের জন্য আমাকে এবং তোমাকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে।
সন্ধ্যার নরম আলোয় ঢাকা পড়েছিল শহরের ছোট্ট ক্যাফেটি। জানালার পাশে বসে ছিল মেঘলা—একটা বই হাতে, কিন্তু চোখ বইয়ের পাতায় নয়, বাইরে ধীরে ধীরে অন্ধকার হওয়া আকাশে।
সে প্রতিদিন এই ক্যাফেতে আসে, কিন্তু আজকের দিনটা যেন আলাদা। হয়তো বাতাসে আজ একটু বেশি কবিতা মিশে আছে।
ঠিক তখনই দরজার ঘণ্টা বাজল। ঢুকল এক তরুণ, নাম তার অরণ্য। চোখে গভীরতা, মুখে নরম হাসি। সে ধীরে ধীরে এসে বসল মেঘলার সামনের টেবিলে। অজানার টান, যেন কোথাও আগে দেখা হয়েছে।
কয়েক মুহূর্ত চুপচাপ কাটল। তারপর অরণ্য বলল,
— "আপনার বইটা আমার প্রিয়। আপনি কি কবিতা লেখেন?"
মেঘলা একটু অবাক হয়ে তাকাল। এতদিন কেউ এইভাবে কথা বলেনি।
সে হেসে বলল, "লিখি... কিন্তু প্রকাশ করিনি কখনও।"
ওদের কথোপকথন চলল, কফির কাপ ফাঁকা হলো, কিন্তু সময় থেমে রইল যেন। অরণ্য জানাল, সে একজন আলোকচিত্রী, প্রকৃতি আর মানুষের মুখের গল্প তুলে ধরে ছবিতে।
তারপর দিনের পর দিন দেখা হতে লাগল। কবিতা আর ছবি একসাথে গল্প লিখতে শুরু করল। অরণ্য মেঘলার কবিতায় ছবি আঁকত, আর মেঘলা অরণ্যের ছবিতে শব্দ জুড়ে দিত।
এক সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় হাঁটতে হাঁটতে অরণ্য বলল,
— "তুমি যদি চাও, আমি তোমার প্রতিটা কবিতার পাশে থাকব—আলো হয়ে, ছায়া হয়ে, প্রেম হয়ে।"
মেঘলা নরম হাসি হেসে বলল,
— "তুমি তো অনেক আগেই আমার কবিতার চাঁদ হয়ে উঠেছ।"
চাঁদের আলোয় একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিল তারা—মুগ্ধ, নির্ভার, আর মায়াবী ভালোবাসায় ডুবে।
লোমহর্ষক ভৌতিক ছোট গল্প ----
নতুন ফ্ল্যাটে উঠার পর থেকেই, প্রতি রাতে দিয়া ঘুমের মধ্যে প্রায় অনুভব করে কেউ যেনো থাকে কানে ফিস ফিস করে বলে " দিয়া উঠে এসো, বাগানে ঐ জিনিসটা নিবে না "। এমন কথা শুনে দিয়া ভয়ে আর ঘুমাতে পারে না। ব্যাপারটা তার মাকে জানায়। পরের দিন রাতে দিয়ার মা দিয়ার সঙ্গে থাকবে ব্যাপারটা আসলেই সত্যি নাকি মিথ্যে এই সত্যতা জানার জন্য। রাত যতো গভীর হয় ততোই দিয়ার রুমে অদ্ভুত রকমের বাচ্চাদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে দিয়ার মা। এটা দেখে ভয়ে শিউরে ওঠেন। মেয়ে কে হাতে দিয়ে বার বার ধাক্কাধাক্কি করছে কিন্তু দিয়া তার কোনো সাড়াশব্দ নেই! যেনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। হঠাৎই ডিম লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন দিয়ার মা, একজন বুড়ো লোক দেওয়াল ভেদ করে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে একদম দিয়ার মার পাশে এসে দাঁড়ায়। এটা দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠেন বসেন দিয়ার মা আর তখনেই দিয়ার মায়ের মাথাটা ঘুরিয়ে দেন ঐ বুড়ো লোকটা। দিয়ার মা কোনো শব্দ কিংবা চিৎকার দিবেন তার কোনোটার সময়ে হয়ে উঠেনি বরং তার আগেই ঘারটা মটকে ঘুড়িয়ে দিলো ঐ বুড়ো লোকটা।
এদিকে দিয়া ঘুমে সেই এখই কথোপকথন শুনতে পেয়ে প্রচণ্ড ভয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে। আর তখনেই দিয়ার নজরে পরে তার মায়ের দিকে, দেখে মায়ের মাথাটা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে আছে। ভয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে দিয়া। ঠিক তখনেই কালো একটা ছায়া দিয়ার সামনেই দৃশ্যমান ঘটে, আর মুহূর্তের মধ্যে কালো ছায়াটা ধোঁয়াশার মতো হয়ে দিয়ার মুখে ঢুকে পড়ে। দিয়া নিজের মধ্যে থাকে না। চোখ জোড়া তার রক্তজবার মতো হয়ে ওঠে। ফর্সা শরীরটা মুহূর্তের মধ্যে কালো কুচকুচে, ভয়ংকর বীভৎস চেহারা রূপ ধারন করে। দু'হাতে দিয়া মায়ের দেহটা উঠিয়ে নিয়ে দেয়াল ভেদ করে ঢুকে পরে। পরের দিন দিয়ার রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকাতে দিয়ার বাবা সিকিউরিটি কে দিয়ে দরজাটা ভেঙে রুমে প্রবেশ করতেই তিনি ভয়ে আৎকে উঠেন। দেখেন পুরো রুমটা রক্তে মাখামাখি অবস্থা। স্ত্রী সন্তান কাউকে তিনি রুমে পাননি বরং দেয়ালে শুধু চার-পাঁচটে ছোট ছোট বাচ্চাদের রক্তাক্ত হাতের স্পর্শ দেখতে পান।
ঘটনাটা আমাকে ভয়াবহ ডিপ্রেশনে ফেলে দিলো। গতরাতে মেয়েটি ইনবক্সে নক দিলো। আমাদের কথোপকথন নিচেঃ
মেয়েঃ ভাইয়া প্লিজ হেল্প মি...
আমিঃ কি বিষয়ে?
মেয়েঃ ভাইয়া সাইবার ক্রাইমে আপনার পরিচিত কেউ আছে?
আমিঃ হ্যা আছে। কিন্তু সমস্যাটা কি?
মেয়েঃ ভাইয়া আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড আমাকে ব্ল্যা&%কমেইল করছে।
আমিঃ কি রকম ব্ল্যা&%কমেইল?
মেয়েঃ ওর সাথে আমার দুই বছর রিলেশন ছিলো তারপর তিনমাস আগে ব্রেকাপ হয়েছে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে হু%&মকি দিচ্ছে!
আমিঃ কি হু&%মকি দিচ্ছে?
মেয়েঃ ও বলতেছে এখন ওর সাথে আবার রিলেশন না করলে ও আমার প্রাইভেট ছবি ফেসবুকে আপলোড করে দেবে। কিন্তু এখন আমার একজনের সাথে নতুন রিলেশন হয়েছে।
আমিঃ আপনারা কেনো প্রেমে পড়লেই প্রাইভেট ছবি ভিডিও এগুলো শেয়ার করেন? আপনাদের আক্কেল হবে কবে?
মেয়েঃ ভাইয়া আমি তখন বুঝতে পারিনি। কিন্তু এই ছবি যদি আমার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড দেখে তবে আমাদের রিলেশনটা ভেঙে যাবে। পাশাপাশি সামাজিক ভাবেও আমি মুখ দেখাতে পারবো না। আমাকে আ%%ত্মহ&%ত্যা করতে হবে। প্লিজ ভাইয়া আমাকে বাচান...
আমিঃ আচ্ছা আমি সাইবার ক্রাইমের একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলছি। দেখি কি করা যায়। প্লিজ সু&%ইসা&%ইডের কথা ভুলেও ভাব্বেন না।
মেয়েঃ ভাইয়া প্লিজ আমাকে আপনার ছোটবোন মনে করে আমার জীবনটা বাঁচান।
আমিঃ আর প্লিজ ভাই প্রেমিক তো ভালো নিজের আপন জামাইকেও কখনো প্রাইভেট ছবি বা ভিডিও দেবেন না। চাইলেই চটকানা দেবেন।
মেয়েঃ আর কোনদিন দেবোনা ভাইয়া। আসলে তখন একটা জবের জন্য দিয়েছিলাম ওকে।
আমিঃ জবের জন্য প্রাইভেট ছবি দিতে হয় প্রেমিককে! সরি রে ভাই ওটা কি জব ছিলো বুঝেও না বোঝা আমার অবুঝ মন!!?
মেয়েঃ নাহ ভাইয়া জবের জন্যই দিয়েছিলাম। ও ওর এক বন্ধুকে আমার জবের জন্য পাঠাবে বলেছিলো।
আমিঃ আমি কিছুই বুঝতেছি না। ও আপনার কেমন প্রেমিক ছিলো যে জবের জন্য বন্ধুর কাছে নিজের প্রেমিকার প্রাইভেট ছবি পাঠায়!
মেয়েঃ ভাইয়া ওটা ওর বন্ধুদের কোম্পানির নিয়ম। সেখানে জব করতে গেলে সবাইকেই বায়োডাটার সাথে ছবি জমা দিতে হয়।
আমিঃ কয়টা ছবি দিয়েছিলেন?
মেয়েঃ ভাইয়া একটাই দিয়েছিলাম। একটা ভোটার আইডির একটাই ছবি চেয়েছিলো।
আমিঃ মানে....! ভোটার আইডির ছবি....!
মেয়েঃ হ্যা ভাইয়া সেটাই তো বলতেছি। এখন ওর কাছে আমার ভোটার আইডির ছবি আছে। সেটা নিয়েই হুমকি দিচ্ছে। আপনি তো জানেনই ভোটার আইডির ছবির অবস্থা...ভাইয়া আমি সত্যিই আ&%ত্মহ&%ত্যা করবো ওটা পাবলিক হয়ে গেলে!
আমিঃ হোয়াট দ্যা... তোমার দ্রুত ম%&ইরা যাওয়া উচিত। সাইবার ক্রাইম না, আমি র্যাবকে কল করতেছি তোমাকে ক্র&%সফা&%য়ার দেবার জন্য।
মেয়েঃ এইগুলা কি বলতেছেন ভাইয়া...
আমিঃ আরেকবার ভাইয়া বলবি তো তোর কানসার উপরে থাপ&%ড়ামু ফা&%উল। আমার ঘুমটা নষ্ট করছিস....।
[কালেক্টেড]