নেপালের গৃহযুদ্ধের পটভূমি | #nepalesecivilwar #civilwar #revolution #politics #history
নেপালের গৃহযুদ্ধের পটভূমি | #nepalesecivilwar #civilwar #revolution #politics #history
পটভূমি
২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে একটি রায় দেয়। এই রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। মূলত "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর ব্যানারে এই আন্দোলন শুরু হলেও, এটি দ্রুতই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।
আন্দোলনের সময়রেখা
১-১৫ জুলাই: কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম কয়েকদিন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না আসায় এবং উল্টো দমন-পীড়ন শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
১৬ জুলাই: এই দিনটি আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এই মৃত্যুর খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসের হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বের করে দেয়।
১৭-১৯ জুলাই: আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় সারা দেশে বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। বিশেষ করে ১৯ জুলাই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন, যখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এই সময়ের সহিংসতাকে পরবর্তীতে "জুলাই গণহত্যা" নামে অভিহিত করা হয়।
১৭ জুলাই: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কোটা আন্দোলনের সমালোচনা করেন। ওই দিন রাতে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
১৮ জুলাই: মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে এবং আন্দোলনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সারা দেশের সড়ক ও রেলপথ অচল হয়ে পড়ে, জনজীবন স্থবির হয়ে যায়।
২১ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে এবং সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% এবং ৭% কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
২৩ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে, ততক্ষণে আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়িয়ে রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে। আন্দোলনকারীরা সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি তোলেন।
২৪ জুলাই: আন্দোলনকারীরা "অসহযোগ আন্দোলন"-এর ডাক দেন। এই অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া। এতে দেশজুড়ে সরকারের কার্যকারিতা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
৫ আগস্ট: দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে এক দশকের বেশি সময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
ফলাফল
জুলাই মাসের এই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান উপদেষ্টা হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ডেমন স্লেয়ার: ইনফিনিটি ক্যাসেল মুভি – এক মহাকাব্যিক সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে
জাপানি অ্যানিমে বিশ্বে এক বিপ্লব ঘটিয়েছে “ডেমন স্লেয়ার” (Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba) সিরিজ। ২০১৯ সালে টিভি সিরিজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এটি অল্প সময়েই অগণিত ভক্তের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। “ডেমন স্লেয়ার: ইনফিনিটি ক্যাসেল” (Infinity Castle) মুভিটি এই অসাধারণ যাত্রার সমাপ্তির পথে একটি বিশাল পদক্ষেপ। এটি মূলত মাঙ্গার শেষ আর্ক, অর্থাৎ ফাইনাল ব্যাটলের প্রথম অংশকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। এ আর্টিকেলে আমরা বিশ্লেষণ করব ইনফিনিটি ক্যাসেল মুভির কাহিনী, চরিত্র, অ্যানিমেশন এবং এর প্রভাব।
মুভির পটভূমি ও কাহিনীসংক্ষেপ
ইনফিনিটি ক্যাসেল মুভির কাহিনী শুরু হয় যখন ডেমন স্লেয়ার কর্পস অবশেষে মুখোমুখি হয় তাদের চূড়ান্ত শত্রু, কিবুতসুজি মুজানের সঙ্গে। মুজান হচ্ছে সব ডেমনের উৎস, এক অমর শক্তিধর সত্তা। যখন তার গোপন আস্তানা আবিষ্কৃত হয়, তখন তনজিরো, ইনোসুকে, জেনিৎসু এবং হাশিরা বাহিনী একত্র হয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়।
ইনফিনিটি ক্যাসেল বা "অসীম প্রাসাদ" এক রহস্যময় স্থান যা ডেমন বায়োয়া নাকিমে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই প্রাসাদে সময় ও স্থান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা যুদ্ধকে আরও জটিল করে তোলে। এই মুভিতে একের পর এক হাশিরার বিপরীতে দেখা যায় শক্তিশালী আপার র্যাঙ্ক ডেমনদের। বিশেষ করে আপার থ্রি ডেমন আকাজা, ডোমা এবং কোকুশিবো-র বিপক্ষে যেসব লড়াই হয়, তা নিঃসন্দেহে অ্যানিমে ইতিহাসের সেরা লড়াইগুলোর একটি
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শফিউল ইসলামের উত্থান ও প্রভাব
জুন–জুলাই ২০২৫-এর দিকে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কার মাঠে তিন ফরম্যাটে (২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি২০) বিশ্বমানের লড়াই চালাচ্ছে |
তবে সম্প্রতি সবার নজর কাড়ছে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে, যেখানে শফিউল ইসলাম আবারো তার সেরা ছন্দে ফিরে এসে বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবন যোগালো।
মাঠের গল্প: দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ
তারিখ ও স্থান
১৩ জুলাই ২০২৫, ডাম্বুল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের ইনিংস
লিটন দাস ও হামিম হোসেন সামনের দিক থেকে শক্তিশালী শুরু করলেও সময়মতো বিপুল সংগ্রহের পথ উন্মুক্ত করলেন দুজনে। কেপটেন লিটন ৫০ বলের মধ্যে ৭৬ রান করেন, এবং হামিম ইন-উইন ছন্দে ৪৮ রানের ইনিংস উপস্থাপন করেন । তবে তাদের সংযুক্ত অবদান টিমকে ১৭৭/৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় – যা শ্রীলঙ্কার কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং।
শ্রীলঙ্কার পেসে আউট
টার্গেট ১৭৮, শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী ব্যাটিং একেবারে শুরুতেই বিপর্যয়ে পতিত হয়। প্রথম ৫.১ ওভারে চার উইকেট হারায় তারা, যেখানে কুসাল মেন্ডিস রানআউট, এবং শফিউল ইসলাম পেনাল্টিতে দুটি উইকেট শিকার করেন – কুসাল পেরেরা ও অভিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফেলে । এই সময়ে শফিউল ছিলেন খুব নির্ভরযোগ্য: ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ টি উইকেট
অতঃপর রিষাদ হোসেন (৩/১৮) মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মেহেদী–সাইফুদ্দিনও তাদের ভূমিকা যথা সময়ে পালন করেন, যার ফলে শ্রীলঙ্কাকে ১৫.২ ওভারে মাত্র ৯৪ রানের ভিতরে গুটিয়ে ফেলা হয় । ফলাফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে বড় জয় এনে দলে প্রাণ সঞ্চার করে সিরিজ ১–১ করে তুললো ।
শফিউল ইসলামের সূচনালগ্ন ও অর্জন
দীর্ঘ পথ
শফিউল ইসলাম তাঁর ফার্স্ট‑ক্লাস অভিষেক করেন ২০১৭–১৮ সিজনে রাজশাহী বিভাগ থেকে
Wikipedia
। ডান হাতের এই দ্রুতগতির পেসার আস্তে আস্তে দলে প্রতিষ্ঠিত হন, বিশেষভাবে ২০২৪ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়ে; যেখানে ক্যান্ডি ফ্যালকন্স প্রতিনিধিত্ব করেন ।
বিপুল পরের পটভূমি
লোকাল ডোমেস্টিক ক্রিকেটে – যেমন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ – এগিয়ে থেকে শফিউল পেয়েছেন উল্লেখযোগ্য কাপ–১০–১৫ উইকেট, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্কেলে তার অবস্থানকে দৃঢ় করেছে ।
দ্বিতীয় টি২০তে তার ভূমিকার বিশ্লেষণ
শক্তিশালী শুরু: powerplay-এ শফিউল মেঞ্চিসহ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকারে শ্রীলঙ্কাকে বিপদে ফেলার ক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা নেন ।
অভিজ্ঞতা ও নিয়ন্ত্রণ: মাত্র ৩ ওভারে ১২ রান—এই পারফরম্যান্স খারাপ গতির দিনে অনেকসময় ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দেয়।
দলগত সক্রিয়তা: রিষাদ–মেহেদী–সাইফুদ্দিন–মাস্তুফিজুরদের সঙ্গে শফিউল তৈরি করেন এক জম্বো ‘বোলিং ইউনিট’, যা সিরিজে ড্র করতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রভাব: টার্নিং পয়েন্টে পেসারদের প্রয়োগ দলের আস্থা বৃদ্ধি করে, যা ভবিষ্যতের ম্যাচে কাজে লাগতে পারে।
সিরিজের সামগ্রিক দৃষ্টিকোন
টেস্ট: শ্রীলঙ্কা ২ টেস্টে ১–০ এগিয়ে ।
ওয়ানডে: সিরিজে শ্রীলঙ্কার ২–১ জয় ।
টি২০: সিরিজ মূলত ডেসাইড ম্যাচে পৌঁছেছে, এবং শফিউল + রিষাদের শীর্ষ বোলিং ডিউয়েট বাংলাদেশের জন্য মুখ্য চালক। এটি আগামীর বিশ্ব কাপ প্রস্তুতির জন্য দারুণ সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শফিউল ইসলামের ভবিষ্যৎ
বিশ্ব ক্রিকেটে দ্রুত গতির পেসারদের সাফল্য নির্ভর করে ধারাবাহিকতা ও বড় ম্যাচে সফলতায়। শফিউল তার সময়–মতো উইকেট নিয়েক, নিয়ন্ত্রিত রানের টাকাতেই প্রমাণ করছেন নিজের গুরুত্ব। লঙ্কার বিপক্ষে তাঁর এই পারফরম্যান্স শুধুমাত্র একটি জয়ের উদযাপন নয়, বরং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে (যেমন টি২০ বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ) বাংলাদেশের বোলিং আক্রসধারণের দৃঢ় লক্ষণ বলেও ধরে নেওয়া যায়।
সমালোচনা ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ
তবে শফিউল কোমর-মেরুদণ্ডের অগ্রগতি ও দৈহিক সুস্থিতির উপর আরো নিয়ন্ত্রণ গঠন প্রয়োজন। দ্রুতগতির পেসারদের জন্য ধারাবাহিকতা সৌন্দর্য হলেও পুনরায় ইনজুরির আশঙ্কা সবসময় থাকে। বোলিং আক্রমণের সার্বিক ভারসাম্য রক্ষায় ও শ্রীলঙ্কার মতো হার্ড পিচে নিয়মিত সফলতার জন্য শারীরিক ফিটনেস ও দক্ষতা নিশ্চিত রাখতে হবে তাঁকে।
সম্প্রদায় ও ফ্যান প্রতিক্রিয়া
এতে অনুভূত হয়েছে, বেশিরভাগ অনুরাগীদের কাছে শফিউলের পারফরম্যান্স প্রশংসার উপযুক্ত, যদিও কিছু মানুষ ধর্মঘটের মত বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
বিকল্প স্পর্শ
দলের সতেজতা ও আত্মবিশ্বাস নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচকরা বেশ কিছু কৌশল গ্রহণ করেছেন:
টিম রোটেশন: প্রথম টি২০য়ের পর Taskin Ahmed–Mustafizur Rahman অপশন পরিবর্তন
মাশরুফ–নিয়মানের জায়গায় মুক্তচিন্তা: তাজা পেস ট্রায়ো প্রয়োগ শফিউল, মাস্তুফিজুর, সাইফুদ্দিনের মাধ্যমে স্পিনারদের সাপোর্ট।
উপসংহার
দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে শফিউল ইসলাম তাঁর দক্ষতা ও মানসিক বলিষ্ঠতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি বাংলাদেশের আগামীর পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দুই উইকেট, সীমিত রান খরচ এবং দলীয় মানসিকতায় তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
গাণিতিক পদ্ধতিতে বললে, ‘ম্যাচ উইনার' হিসেবে তাঁকে মূল্যায়ন করলে খুব কম বল বলা যাবে; বরং একাধিক দলের ইমার্জিং স্টার হিসেবেও স্বীকৃত। ধারাবাহিকতা ও পরিশ্রমের মিশ্রণে শফিউল বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের বড় জয় এনে দিতে পারে।
এবার বাকি ম্যাচগুলোও দেখে নেওয়া যা
## তবে কি মেঘেরা আকাশের চোখে জমে থাকা অতীত?: প্রকৃতি, স্মৃতি ও অস্তিত্বের কাব্যিক অনুসন্ধান
**১. ভূমিকা (Introduction)*
* **মূল পংক্তির অবতারণা* "তবে কি মেঘেরা আকাশের চোখে জমে থাকা অতীত?" – এই কাব্যিক পংক্তিটি প্রকৃতি (মেঘ ও আকাশ) এবং মানব মনের গভীরতম অনুষঙ্গ (স্মৃতি ও অতীত) এর মধ্যে এক অসাধারণ এবং গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি কেবল একটি প্রশ্ন নয়, বরং অস্তিত্বের ক্ষণস্থায়ীতা, সময়ের প্রবাহ এবং স্মৃতির চিরন্তন উপস্থিতির এক দার্শনিক ও রূপক অন্বেষণ। মেঘের আগমন-নির্গমন এবং আকাশের বিশালতা কিভাবে মানুষের অতীত, দুঃখ, সুখ এবং অনুভূতির প্রতিচ্ছবি হতে পারে, তা এই উক্তির মূল প্রতিপাদ্য।
* **প্রবন্ধের উদ্দেশ্য* মেঘ এবং আকাশের বৈজ্ঞানিক ও কাব্যিক ব্যাখ্যা, অতীত ও স্মৃতির মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্য, প্রকৃতিতে মানব অনুভূতির প্রক্ষেপণ এবং এই সংযোগের সাহিত্যিক, দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।
* **থিসিস স্টেটমেন্ট* মেঘেরা, তাদের পরিবর্তনশীল রূপ এবং আকাশের বিশাল পটভূমিতে তাদের উপস্থিতি, মানব মনের অতীত অভিজ্ঞতা, জমে থাকা আবেগ এবং অনুচ্চারিত স্মৃতির এক বিমূর্ত প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে; এই রূপকটি প্রকৃতি ও মানব অস্তিত্বের মধ্যেকার গভীর সংযোগকে তুলে ধরে, যেখানে দৃশ্যমান মেঘেরা অদৃশ্য অতীতের বেদনা ও সৌন্দর্যের প্রতিধ্বনি বহন করে।
**২. মেঘ: আকৃতিহীন, পরিবর্তনশীল ও রহস্যময় সত্তা (Clouds: Formless, Changeable, and Mysterious Entities)*
* **মেঘের বৈজ্ঞানিক পরিচয়* মেঘ কি? জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন, তার গঠন, প্রকারভেদ (যেমন - কিউমুলাস, স্ট্র্যাটাস, সির্রাস), এবং আবহাওয়ায় তার ভূমিকা।
* **মেঘের কাব্যিক ও রূপক তাৎপর্য*
* **পরিবর্তনশীলতা* মেঘের আকৃতি এবং রঙের অবিরাম পরিবর্তন জীবনের ক্ষণস্থায়ীতা এবং পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
* **রহস্যময়তা* মেঘ প্রায়শই রহস্য, অজানাকে ঢেকে রাখে।
* **ভারসাম্য* মেঘ বৃষ্টি নিয়ে আসে, যা জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু একই সাথে ঝড়-তুফানের কারণও হতে পারে।
* **মুক্তির প্রতীক* মেঘ যেমন জল ধারণ করে আবার বর্ষণের মাধ্যমে মুক্ত হয়, তেমনি মানব মনও আবেগ ধারণ করে মুক্তি পেতে চায়।
* **মেঘ ও অনুভূতি* মেঘের ভিন্ন রূপ কিভাবে আমাদের মনে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির জন্ম দেয় (যেমন - সাদা মেঘের খেলা আনন্দের, কালো মেঘ বিষণ্ণতার)।
**৩. আকাশ: অনন্ত, নীরব ও অবিচল সাক্ষী (Sky: Infinite, Silent, and Unwavering Witness)*
* **আকাশের বিশালতা* দিগন্তহীনতা, অসীমতা এবং তার নীরব উপস্থিতি।
* **আকাশের বৈজ্ঞানিক পরিচয়* বায়ুমণ্ডল, মহাকাশ, তার বিস্তৃতি।
* **আকাশের কাব্যিক ও রূপক তাৎপর্য*
* **চিরন্তন সাক্ষী* আকাশ যেন সবকিছুর সাক্ষী, মানব সভ্যতার উত্থান-পতন, আনন্দ-বেদনা, সবকিছুই সে দেখেছে।
* **নিরপেক্ষতা* আকাশ সবার উপরে, কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই।
* **শান্তি ও প্রশান্তি* আকাশের বিশালতা মানুষকে এক ধরনের শান্তি ও স্থিরতা প্রদান করে।
* **অসীম সম্ভাবনা* আকাশের অনন্ত বিস্তার মানুষের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা এবং সম্ভাবনার প্রতীক।
* **'আকাশের চোখ'* এই পংক্তিতে আকাশকে একটি চেতন সত্তা হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে যার চোখ আছে। এই চোখ যেন সব কিছু দেখে এবং ধারণ করে।
**৪. অতীত: স্মৃতির ভার, জমে থাকা আবেগ (The Past: The Burden of Memory, Accumulated Emotions)*
* **অতীতের সংজ্ঞা* যা ঘটে গেছে, যা সময় অতিক্রম করে গেছে।
* **স্মৃতি: অতীতের প্রতিচ্ছবি*
* **সুখ স্মৃতি* আনন্দ, হাসি, ভালোবাসা।
* **দুঃখ স্মৃতি* কষ্ট, বেদনা, হতাশা, অপ্রাপ্তি।
* **অব্যক্ত আবেগ* যে অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা হয়নি, যা মনের গভীরে চাপা পড়ে আছে।
* **অতীতের গুরুত্ব* অতীত বর্তমানকে প্রভাবিত করে এবং ভবিষ্যৎকে রূপ দেয়।
* **অতীতের ভার* অনেক সময় অতীত আমাদের উপর এক ধরনের বোঝা হয়ে থাকে, বিশেষ করে যদি সেখানে অপূর্ণতা, ভুল বা বেদনা থাকে।
* **অতীত থেকে মুক্তি* মানুষ প্রায়শই অতীত থেকে মুক্তি পেতে চায়, কিন্তু তা সম্ভব হয় না, কারণ অতীত আমাদের অস্তিত্বের অংশ।
**৫. 'মেঘেরা আকাশের চোখে জমে থাকা অতীত': রূপকের গভীরতা (Clouds as the Accumulated Past in the Sky's Eyes: Depth of the Metaphor)*
* **মেঘ ও স্মৃতির সমান্তরাল*
* **অস্থায়ীতা* মেঘ যেমন আসে এবং চলে যায়, তেমনি স্মৃতিও মনে আসে আবার মিলিয়ে যায়। কিন্তু তার রেশ থেকে যায়।
* **ভার* মেঘ যেমন জলীয় বাষ্পের ভার বহন করে, তেমনি অতীতও আমাদের আবেগ ও অভিজ্ঞতার ভার বহন করে।
* **রূপ পরিবর্তন* মেঘ যেমন আকৃতি পরিবর্তন করে, তেমনি স্মৃতিও সময়ের সাথে সাথে ভিন্ন রূপে ধরা দেয়, কখনো ঝাপসা, কখনো স্পষ্ট।
* **বৃষ্টির মাধ্যমে মুক্তি* মেঘের বৃষ্টি যেমন পৃথিবীকে ধুয়ে দেয়, তেমনি চোখের জল বা প্রকাশের মাধ্যমে অতীত থেকে মুক্তি পাওয়ার এক ধরনের আকাঙ্ক্ষা থাকে।
* **জমে থাকা* অতীত স্মৃতিগুলো মনের গভীরে জমা হয়, ঠিক যেমন মেঘেরা আকাশে জমা হয়।
* **আকাশের চোখ ও উপলব্ধির মাধ্যম* আকাশ তার 'চোখ' দিয়ে এই মেঘরূপী অতীতকে দেখে। এটি বোঝায় যে প্রকৃতিও যেন মানুষের আবেগ ও স্মৃতিকে ধারণ করতে পারে।
* **বেদনার কাব্য* এই পংক্তিতে এক ধরনের বিষণ্ণতা বা নস্টালজিয।
লেখক (YT)
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরম শ্রদ্ধেয় পিতা- মনসুর রহমান ও মাতা- জারানারা খাতুন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
👨👦👦 পিতা: মনসুর রহমান
মনসুর রহমান ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী (কেমিস্ট)।
ব্রিটিশ ভারতে তিনি সরকারি হেলথ ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন এবং দায়িত্ব পালনের সুবাদে পরিবারসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত হতেন।
তাঁর প্রজ্ঞা, শৃঙ্খলাবোধ ও দেশপ্রেম সন্তানের মধ্যেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল।
👩👦👦 মাতা: জারানারা খাতুন
তিনি ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ, দায়িত্ববান ও শিক্ষিত গৃহিণী।
জিয়াউর রহমানের শৈশব গঠনে তাঁর মায়ের অনুশাসন, নৈতিকতা ও আদর্শচর্চার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
🧒 পারিবারিক পটভূমি ও শৈশবের প্রভাব:
জিয়াউর রহমানের শৈশব কাটে একটি নিয়মানুবর্তিতা ও নৈতিক শিক্ষায় পরিপূর্ণ পরিবারে।
তাঁর বাবা–মায়ের জীবনদর্শন ও আত্মত্যাগ দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার প্রেরণা হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। 🌾🌾
Iftekhar Rahat
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?