AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.
#26
মি: হং হেসে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, " লিউ, ভয় পাবার কোন কারন নেই, আমি তোমাকে কোন বিষ দেইনি। যেটা দিয়েছিলাম সেটা ছিল একপ্রকার ভিটামিন। যা তোমার শ্বাশুড়ীর স্বাস্থ্য ভাল হতে সাহায্য করেছে।
একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"
মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যাবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যাবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যাবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়"
১০ টা তো হয়েই গেল।আরেকটা না হয় ফাও দিলাম।এটা কিছুটা জোক্স টাইপের।
#23
একদিন লিউ তার বাবার এক বন্ধু মি: হং এর কাছে গেল যার একটা ফার্মেসি রয়েছে। লিউ তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললো এবং তার কাছে কিছু বিষ চাইল যা দিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলে এ সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।মি: হং কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন," লিউ, আমি তোমাকে সাহায্য করবো তোমার সমস্যার সমাধান করবার জন্য, কিন্তু আমি তোমাকে যা যা বলবো তাই তোমাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।লিউ খুশিমনে তার কথায় রাজী হয়ে গেলো।
মি: হং পেছনের রুমে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন একটা ঔষধের প্যাকেট নিয়ে।তিনি লিউকে বললেন," তোমার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলবার জন্য এমন কোন বিষ দেয়া উচিৎ হবেনা যা তাৎনিক ভাবে তাকে মেরে ফেলবে। এতে লোকের সন্দেহ তোমার উপর পরবে।তাই আমি তোমাকে এমন একটা ঔষধ দিচ্ছি যা তোমার শ্বাশুড়ীর শরীরে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করবে। প্রতিদিন তার খাবারের সাথে এটা অল্প করে মিশিয়ে দিবে। এটার কার্যকারীতা শুরু হতে কয়েকমাস লেগে যেতে পারে, আর তাই তুমি তোমার শ্বাশুড়ীর সাথে এ কদিন ভাল ব্যবহার করতে থাক যাতে লোকের সন্দেহ কোনক্রমেই তোমার উপর না পরে।কখনই তার সাথে তর্ক করবেনা, তার প্রতিটি ইচ্ছা পুরণ করবে এবং তার সাথে রানীর মতো আচরণ করবে।"লিউ খুবই খুশী হল।সে মি: হংকে ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এল তার শ্বাশুরীকে হত্যা করবার কাজ শুরু করবার জন্য।সপ্তাহ পার হয়ে মাস পার হয়ে গেল, লিউ তার ঔষধটা শ্বাশুড়ীকে নিয়ম করে খাওয়াতে লাগল।সে সবার সন্দেহের উর্দ্ধে থাকবার জন্য মি: হং এর উপদেশও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে লাগলো। সে তার বাজে রাগকে প্রশমিত করলো, তার শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মাথা পেতে পালন করতো এবং তার সাথে আচরণ করত তার নিজের মায়ের মতই।
#9এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে। তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন কুয়া দেখতে পেলেন।তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখেতা খপ করে ধরে ফেললেন। এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।উপরে চেয়ে দেখলেন কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায় চেয়ে আছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন হঠাৎ তার সামনে কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন। সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে তিনি কিছু মুহূর্তেরজন্য উপরের গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে থাকা সাপ, আর দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো। এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু, যে সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।সেই সাপটি হচ্ছে কবর। যা আমাদের অপেক্ষায় আছে। দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন, যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা। সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো ইঁদুর হল রাত, যারা প্রতিনিয়ত ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের আয়ু কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মৌচাকহল দুনিয়া। যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের এই চতুর্মুখি ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যাওয়াটা বাধ্য। তাই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী।
#6
মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার মৃত্যুর
পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার
চিকিৎসকরাই আমার কফিন বহন করবেন।
আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে |
আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের সময়
আমার দুইহাত কফিনের
বাইরে ঝুলে থাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ
শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন,
'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই।
*আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে এই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিৎসকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
*'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা বোঝানোর জন্য যে
সোনা-দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না।এগুলো পাওয়ার
জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের
সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারছি না।মানুষ
বুঝুক এসবের পেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
* 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে
খালি হাতেই পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি. . . .