45 i ·Oversætte

গাঁজাখোর ছেলেরাই সুন্দরি গার্লফ্রেন্ড পায়😪🥴

7 i ·Oversætte

@꧁☠︎RADWAN☠︎꧂:এই শহরে হাজারো সুন্দরির মাঝে,,, তুমি
আমার একমাত্র সুবাসিনী...! 🌺🎀

7 i ·Oversætte

আজকে খুব ভাল লাগছে আমার।কারন আমি জীবনেওট্রেনে ভ্রমন করিনি আজ করব।আমাদের বাসা কুমিল্লা আর ট্রেনে করে বেড়াতে যাবো আমার খালার বাসায়উনার বাসা সিলেট।উনার বাসায় আরো অনেক বারই যাওয়া হইছে বাসে করে কিন্তু ট্রেনে করে এই প্রথম যাওয়া।আবার সিলেট শহর টা অনেক সুন্দর একটা শহর। অনেক দিন পরে খালার বাসায় যাচ্ছি তাই আজকে মনের মধ্যে অজানা এক উৎফুল্ল ও ভাললাগা কাজ করছে।কুমিল্লা ট্রেন স্টেশনে গিয়ে একটা টিকেট কেটে বসে আছি। দশমিনিট পরে ট্রেন আসবে।দেখতে দেখতে ট্রেন এসে গেল।আমি আমার ব্যাগ টা নিয়ে ট্রেনের মধ্যে আমার সিট খুঁজে বসে পড়লাম।আমার ভাগ্য মনে হয় ভালই ছিল। আমি যে ট্রেনে জানালার পাশে সিট পেয়েছি।একটু পরে একটা মেয়ে এসে পাশে বসল।মেয়েটা অনেক সুন্দরি ছিল।ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ট্রেনের গতির সাথে সাথে গাছ-পালা গুলোও দুরে চলে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে রেললাইনের
পাশের বাড়ির সামনে ছোট ছোট বাচ্চাদের হৈ চৈ দেখতে পেলাম হয়ত ট্রেন দেখে ওরাও আনন্দ পাচ্ছে।এই সব আনন্দঘন দৃশ্য গুলো দেখে অজান্তেই মনের মধ্যে অন্যরকম শিহরন বয়ে যেতে লাগল।
—এই ছেলে একটা কথা ছিল।
—হুম বলেন।
—কিছু মনে করবের না তো।
—না বলেন।
—আমাকে এই জানালার পাশের সিটে বসতে দিন।
—বললেই হল।এটা আমার সিট আমিই বসব।
—কই দেখি দেখি।সিটে আপনার নাম আছে নাকি।
—সিটে নাম থাকবে কেন।
—এখনি তো বললেন এটা আপনার সিট।আপনার সিট হলে তো নাম থাকবেই।
—টিকেট কেটেছি আমি এই সিটের জন্য এবার বুঝেছেন।
—হুম।বুঝলাম।দেখি টিকেটটা।
—এই যে দেখেন সিট নাম্বার।
বলতেই টিকেটটা ছু মেরে হাত থেকে কেড়ে নিল মেয়েটা।
এবার কি হবে মিস্টার।
—আরে আরে আপনি আমার টিকেট নিলেন কেন।
—টিকেট নিয়েছি আপনাকে পুলিশে ধরিয়ে দিব।বলব আপনি বিনা টিকিটে ট্রেনে চরেছেন।
—প্লিজ এমনটি করবেন না।
—ঠিক আছে করবনা।আপনার সিটে আমাকে বসতে দিন টিকিট ফিরিয়ে দিব।
—ওকে।বসেন।এই বলে আমি মেয়েটাকে আমার প্রিয় জানালার সিট ছেড়ে দিলাম আর মেয়েটা টিকেট টা দিল।মনে মনেভাবছি কি সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা পুরাই ছিনতাই কারিদের মত স্বভাব।যাক বাবা জানালার পাশের সিট গেলে গেছে মিথ্যা বলে যে পুলিশে দেয় নি আল্লাহর কাছে হাজারশোকর।সরি।—সরি কেন।
—আপনার সাথে খারাপ আচরণ করার জন্য।
—ইটস ওকে।
—আসলে আমি জানালার পাশের সিট ছাড়া বসতে পারিনা।
—ঠিক আছে।বসেন।
—আপনার নাম কি।
—জয়।আপনার।
—মিথিলা।কিসে পড়েন আপনি।
—আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।আপনি।
—আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।আপনার বাসা কি সিলেট নাকি।
—না।কুমিল্লা। সিলেট আমার খালামনির বাসা।আপনার বাসা কোথায়।
—আমার বাসা সিলেট।কুমিল্লা আমার নানুর বাসা সেখানেই বেড়াতে গিয়েছিলাম।
—ওও।ভাল।
আর কথা না বলে আমার মোবাইলটা বের করে ফেসবুকে লগিন করলাম।ফেসবুকে বিভিন্ন পেজের গল্প পড়তে লাগলাম ও মাঝে মাঝে বন্ধুদের ছবিতে লাইক দিচ্ছি। মেয়েটার দিকে আরচোখে তাকিয়ে দেখলাম।মেয়েটা একদৃষ্টিতে বাহিরের দিকে তাকিয়ে প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দয উপভোগ করছে।
আমি আর কোন কথা বললাম না।কারন মেয়েদের সাথে আমি কথা বলতে পারিনা প্যাচ লাগাই ফেলি লজ্জা বেশি তো তাইতো।তাই কথা না বলাই উত্তম।
দেখতে দেখতে ট্রেন সিলেট চলে এসেছে।এখনি ট্রেন থেমে যাবে।আর একটু পরেই সবাই নেমে যাবে এই ট্রেন থেকে।প্রায় ছয় ঘন্টার এই ভ্রমন শেষে নিজেকে খুব ট্রায়াড মনে হচ্ছে।মিথিলা বলল,,বাই আশাকরি আবার দেখা হবে। আমিও বাই বলে নেমে গেলাম ট্রেন থেকে।
রাতে খালামনি বাসায় রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেসবুকে লগইন করলাম।ফেসবুকে ঢুকেই দেখি একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসছে আইডির নাম মেঘকন্যা মিথিলা।প্রোফাইল পিকচারে একটি প্রজাপতির ছবি।প্রোফাইলের প্রজাপতিটা অনেক সুন্দর ছিল।একসেপ্ট করলাম।সাথে সাথে একটা মেসেজ আসল।
—হাই।
—হ্যালো।
—কি অবস্থা।
—ভাল।আপনার।
—ভাল।আমাকে কি চিনছেন।
—না তো কে আপনি।
—আমি মিথিলা।
—কোন মিথিলা।
—আরে আজ ট্রেনে কথা হয়েছিল।
—ওও।চিনেছি।কিন্তু আপনি আমার আইডির নাম কিভাবে পেলেন।
—আপনি ট্রেনে ফেসবুক চালাচ্ছিলেন তখন আপনার প্রোফাইল নাম আর পিকচার দেখিছিলাম।
—ওও।তাই।
—হুম।কি করেন।
—এই তো রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে আছি।একটু পরে ঘুমাবো।আপনি।
—আমিও খাবার শেষ করে শুইলাম।আর ঘুমাবো।
—ওকে।শুভ রাত্রি।আবার কথা হবে।
—শুভ রাত্রি।(এই বলে ফেসবুক থেকে লগআউট করললাম)
প্রতিদিন মিথিলার সাথে চ্যাটিং হত।আস্তে আস্তে আমরা ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম।তারপর দুইজন নাম্বার নিয়ে মোবাইলেও কথা হত।প্রতিদিন মোবাইলে কথা হত কেন যেন আমি মিথিলার সাথে এখন একদিন কথা না বললেই মনে হাজার বছর ধরে মিথিলার সাথে কথা হয় না।
আস্তে আস্তে আমি মিথিলার উপরে দুর্বল হয়ে গেলাম। কিন্তু তাকে ভালবাসি এই বলতে খুব ভয় করছে যদি সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়।থাক বন্ধু হয়েই থাকি এতেই ভাল ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
একদিন মিথিলা বলল সে নাকি কুমিল্লা তার নানুর বাসায় আসছে।আর সে আমাকে দেখতে চায় কত্ত দিন
হয়ে গেল আমাকে দেখেছে।সেই ট্রেন ভ্রমনে দেখেছে। আমি বলে দিলাম বিকেলে দেখা করব ইকো পার্কে।
আজ ভাবছি সাহস করে মিথিলাকে মনের কথা বলে দিব। যা হবার তাই হবে।তবুও আজ বলতেই হবে।কারন আমি জানি মিথিলাও আমাকে ভালবাসে।আর এটাও আমি জানি মেয়েদের বুক ফাটে কিন্তু মুখ ফাটে না।তাই মিথিলাও বলতে পারবে না।যা বলার আমিই বলতে হবে। সবাই দোয়া করবেন যেন সাহস না হারাই। # #

7 i ·Oversætte

আজ অফিসের প্রথম দিন।অনেক কষ্টের পরে চাকরিটা হল।তবে অনেকটা ভাগ্যের সহায়তা ও পেয়েছি।সকাল ৯ টা থেকে অফিস শুরু।রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
-কিছু ফেলে যাচ্ছ না তো?
-ওপস। ফোন টাই তো ফেলে যাচ্ছি।
-থ্যাংকস।মনে করিয়ে দেবার জন্য।
.প্রথম দিন তাই নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই এলাম অফিসে।শুনেছি আমাদের অফিেসর এমডি হলো মহিলা।উনার সাথে একবার দেখা করা দরকার......
-মে আই কাম ইন ম্যাম?
-ইয়েস।
-তু-তু-তুমি। মানে আপনি?
-হ্যা আমিই।সারপ্রাইজট
া কেমন দিলাম?তুমি অবশ্যই আমাকে এখানে আশা কর নি তাই না?
-আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না।
-বলেছিলাম না পৃথিবীটা গোল।ভাগ্যটা কেমন দেখেছো আমরা যা না আশা করি আমাদের সাথে সেটাই হয়।
-তার মানে তুমি আগে থেকেই জানতে সব কিছু।
-অবশ্যই।তোমাকে এত সহযে হারাতে দেই কি করে বল।
-কিন্তু আমি এখানে সেটা তুমি জানলে কি ভাবে।
-তুমি তো বলেছিলে কয়েক মাস পর আমাদের দেখা না হলে আমি তোমাকে ভুলে যাবো।দেখ কয়েক মাস না কয়েক বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো তোমাকে ভুলিনি।তুমি যত দূরেই থাক না কেন আমার দৃষ্টি থেকে কখনই দূরে যেতে পারনি।কখনও কি ভেবেছো তোমার প্রতি জন্মদিনে দেওয়া তোমার ছবি,ওই কাচের গোলাপ ফুল,সাগরপাড়ের মুক্তোর মালা, প্রতি জন্মদিনে তোমাকে ফোন করে আই লাভ ইউ বলা , এক্সিডেন্ট করার পর হাসপাতালে নেওয়া, তোমার হারিয়ে যাওয়া ফোন ফিরে পাওয়া, কিভাবে হয়েছে এত সব।
এখনও তোমার মনে হয় এগুলো আমার আবেগ?
-কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও বলতে নেই।
-তোমার মধ্যে দেখছি দার্শনিক ভাবটা এখনও যায়নি।
-সব কিছু তো আর পরিবর্তন করা যায়না।
-চলো সবার সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দেই।
-ওকে চল।এতক্ষন যার সাথে কথা বলছিলাম ও নিশা।বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কখন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।আর ও তখন প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
একদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।একটা মেয়ে দৌড়ে আমাদের দিকে আসলো তারপর
-আপনি নিশো তাই না?
-হ্যা,।কিন্তু আপনি কে?
-আমি নিশা। আমি আপনার জুনিয়র।প্রথম বর্ষে পড়ি।কাল প্রোগ্রামে আপনার গান শুনেছি।অনেক ভাল গান আপনি।
-তা আমার কাছে কি মনে করে?
-আই লাভ ইউ।
-কি??????
-আই লাভ ইউ বলেছি।শুনেতি পান নি?
-তোমার মাথা ঠিক আছে তো।
-হ্যা।।আছে।ওকে এখন আসি পরেএক সময় উত্তর জেনে নেব।বাই নিশা অনেক সুন্দরি।এক কথায় চোখে ভয়ংকর সুন্দরি।তার উপর বড়োলোক বাবার একমাত্র মেয়ে।মেধাবি ছাত্রী।কিন্তু অন্য কাউকে ভালবাসতাম।
ও এমন করে বার বার আমাকে ওর ভালবাসার কথা বলতে।
-তোমাকে কত বার বলবো আমি অন্য কাউকে ভালবাসি।আর এটা তোমার আবেগ।কয়েকমাস পর তোমার এই আবেগ আর থাকবে না।তুমি আর কখনও আমার সামনে আসবে না।
-ওকে আসবো না।পৃথিবীটা গোল।সো একদিন তুমি নিজেই আমার সামনে আসবে।মাইন্ড ইট।
সত্যই পৃথিবীটা গোল।সো তুমি যাকে এক্সেপেক্ট করো একদিন তার সাথে তোমার দেখা হবেই।আজ নিশা সেটা প্রমান করলো।আজ সারাদিন আমি কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম।সব কিছু কেমন স্বপ্ন মনে হচ্ছে।
অফিস শেষে নিশা আমার ডেক্সের সামনে আসলো
-বাসায় যাবে না?
-হ্যা যাবো।
-চল তোমাকে নামিয়ে দিবো।
-অন্য দিন যাবো।ওকে।রিক্সায় করে বাসায় আসছি।তুমি আবার কিছু একটা ভুলে যাচ্ছো।হুম মনে পড়েছে।দুইটা গোলাপ নিতে হবে।
থ্যাকস এগেইন।চারিদিকে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে।সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার আবির্ভাব।পরিবেশটা খারাপ না।তবে একটু শীতে কাপুনি লাগছে মাঝে মাঝে।
-এখন আসার সময় হলো তোমার?আমি এই শীতের মধ্যে সেই কখন থেকে বসে আছি।
-না আসলেই তো পারো এই শীতের মধ্যে
-হুম ঠিক।তাহলে তুমি আসছো কেন এই শীতের মধ্যে?
-কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে নেই
-কেন-কারন তুমি এই প্রশ্নের উত্তর জানো।
-কিন্তু তোমার মুখ থেকে শুনতে যে বড় ইচ্ছে হয়।
-সব ইচ্ছা তো আর পূরন হবার না।
- সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্য সম্ভব।
-শুধু সাধ্যের মধ্যেই থাকলেই তো হয় না।যদি তাই হতো তাহলে আজ আমাদের মধ্যে কি এত দূরত্ব কি থাকত?
-তা ঠিক।কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমারা শুধু দর্শকের ভূমিকায় থাকি।আসল খিলাডি তো ওই যে উপরে যিনি আছেন তিনি।
- তিনি ভাল কিছুর জন্যই এসব করেছেন।
আফিস কেমন কাটলো আজ।
-অনেকটা স্বপ্নের মত।নিশার সাথে দেখা হল আজ।
-মেয়েটা অনেক ভালবাসে তোমাকে।তোমার তাকে গ্রহন করা উচিত।আমার হৃদয় আগেই থেকেই তুমি আছো।
-কিন্তু এখন তো আমি নেই।আমার কোন অস্তিত্ব নেই এই পৃথিবীতে।কারো কাছে না থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে আছে।যদি সেটাও না থাকে তবে কি করবে?
-থাকবে। কেন থাকবে না? আমার অস্তিত্বের মাঝেই যে তুমি বিদ্যমান।-কত দিন থাকবে এভাবে?
-জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।আমার যাবার সময় হয়ে গেছে।
-চাইলেও তো আটকাতে পারবোনা।
-ভাল থেকো।বিদায়।সামিহা আমকে ছেড়ে গেছে আজ দুই বছর পূর্ন হল।প্রতি মৃত্যুবার্ষিকিতে আমি ওর কবরে আসি।কিন্তু আমি সবসময় আমার পাশে ওকে অনুভব করি।মনে হয় যেন আমার ঠিক পাশেই ও পা মিলিয়ে হাটছে।
# #

7 i ·Oversætte

মুনিয়া জাহান (রাত্রি) বাবা মায়ের আদরের একমাত্র মেয়ে,ডাঃ মাহাবুব আলম রাত্রির বাবা শহরের সব থেকে বড় ডাক্তারদের একজন,মিসেস ফিরোজা আক্তার রাত্রির মা একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা, রাত্রি সেই স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী, রাত্রি ছোট থেকেই খুব শান্ত কিন্তু খুব মিশুক,রাত্রির মায়াবী চেহারা আর মিস্টি হাঁসি যেনো বিধাতার এক অসাধারণ সৃস্টি,রাত্রির মায়াবি মুখের মিস্টি হাঁসির দিকে তাকালে শুধু মাত্র ছেলেরাই না যে কোন মানুষই তার প্রেমে পড়ে যাবে,,,,রাত্রির জীবনটা খুব সাধাসিধে অন্য আর সব ছেলে মেয়ের মতো না,বাবা মা এক মিনিটের জন্য ও চোঁখের আরাল হতে দেই না রাত্রিকে,মায়ের সাথে স্কুল কোচিং এ যাওয়া আবার মায়ের সাথেই বাসাই ফেরা ব্যাস বাসার বাইরে বলতে এতটুকুই,অবশ্য মাঝে মাঝে বাবা মায়ের সাথে বাইরে ঘুরতে বের হবার সুযোগ হয় তবে সে সুযোগ খুব কমই মেলে,,,গল্পের বই পড়তে খুব ভালো লাগে রাত্রির, প্রতিদিন বিকালে বারান্দায় বসে গল্পের বই পড়ে সে,আর যেদিন মন খারাপ থাকে সেদিন ছাদে যেয়ে আকাশ দেখে আকাশ দেখতে খুব ভালোবাসে রাত্রি,বিশাল আকাশের দিকে তাকালেই নাকি তার মন ভালো হয়ে যায়,,,বারান্দায় চেয়ারে বসে গল্পের বই পড়ছে রাত্রি হঠাৎ তার চোঁখ পড়লো নিচে দাঁড়িয়ে একটি ছেলে তার দিকে তাকিয়ে আছে রাত্রির চোঁখ পড়ার সাথে সাথে সেই ছেলেটি অন্য দিকে তাকালো,রাত্রি আবার বই পরতে থাকে কিছুক্ষন পরে তাকিয়ে দেখে আবার সেই ছেলেটি তার দিকে তাকিয়ে আছে,তাড়াতাড়ি বাসার ভিতরে চলে আসে রাত্রি,,রাত্রি ভাবতে থাকে কে ছেলেটি কেনো এই ভাবে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো,,পরের দিন ঠিক একই সময়ে রাত্রি অন্য রুম থেকে তাকিয়ে দেখে আজ ও সেই ছেলেটি একভাবে তাকিয়ে আছে তার বাসার বারান্দার দিকে সে বসে থাকা সেই চেয়ারের দিকে,ছেলেটির চোঁখে মুখে হারিয়ে ফেলা কোন কিছু খুজে না পাওয়ার ভাব স্পট,,,,সন্ধ্যা
হয়ে গেলো তার পর ছেলেটি চলে গেলো, ততোক্ষন রাত্রি বোঝার চেস্টা করছিলো আসলে কি খুজছিলো ছেলেটা,,,,?আবারপরেরদিন ঠিক একই সময়ে ছেলেটি একই যায়গা দাঁড়িয়ে,পাশের রুম থেকে রাত্রি মাঝে মাঝে দেখছে এইভাবে কেটে গেলো কিছুদিন,মাঝে কয়েকদিন প্রচুর ঝর বৃস্টি তার ভিতর ও প্রতিদিন ছেলেটি ঠিক সময় মতোই আসছে,আর ব্যাপারটা খেয়াল ও করে রাত্রি কিন্তু তার এতে কিছু আশে যায় না,,,আজ রাত্রির মন খারাপ বিকালে ছাদে উঠলো আকাশ দেখতে,আকাশ দেখতে দেখতে কিছুক্ষন পড় দেখতে পেলো কে যেনো তার দিকে তাকিয়ে আছে,হ্যা সেই ছেলেটাই তো ? রাত্রিকে দেখে ছেলেটির চোঁখ আনন্দে ছল ছল করে উঠলো অনেক দিনের হারানো কিছু ফিরে পেয়েছে মনে হয় সে, ব্যাপারটা বুঝতে পারলো রাত্রি ও এর ভিতর রাত্রিকে তার আম্মু ডাক দিতেই রাত্রি নেমে গেলো ছাদ থেকে,,
নিচে নেমে ভাবতে থাকে কে ছেলেটি ? কি চাই তার কাছে ? কেনইবা তার জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করে ?
এই রকম ভাবতে ভাবতে আর পাশের রুম থেকে ছেলেটির রোজ বিকালে তার বাসার দিক তাকিয়ে থাকা দেখতে দেখতে কেটে গেলো বেশ কিছুদিন,,,,,,,রাত্রির ভিতর জানার আগ্রহ হলো আসলে ছেলেটি কে কি চাই তার কাছে ? আস্তে আস্তে ছেলেটির প্রতি মায়া বাড়তে থাকে রাত্রির সিদ্ধান্ত নিলো ছেলেটির সাথে কথা বলার,,ছেলেটি প্রতিদিনের মতো বিকালে নিচে দাঁড়ানো, রাত্রি বারান্দা থেকে একটি কাগজ নিচে ফেললো কাগজটি তুলে নিলো ছেলেটি তাতে লেখা ছিলো - ( *****-****** ) এইটা কিন্তু আমার না, আমার আম্মুর নাম্বার,ঠিক কাল বিকাল ৫ টায় কল দিবেন আগে ও না পরে ও না,,,,,,,,,
ঠিক বিকাল ৫টা রাত্রির হাতে মোবাইল নিচে দাঁড়ানো ছেলেটি কল দিলো,,,,,, রাত্রি - হ্যালো কে,,?
~ আমি আকাশ - ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি,,,, \
~ রাত্রি - কি চান আপনি আমার কাছে,, ? কি খুজেন রোজ আমার বাসার দিকে তাকিয়ে ?
~ আকাশ - অনেক কিছু ,,,,\
~ রাত্রি - মানে,, ?
~ আকাশ আপনার মায়াবি মুখের ওই মিস্টি হাঁসিটা,, দিবেন আমাকে,,,,?
~ রাত্রি - কিভাবে,, ?
~ আকাশ - প্রতিদিন একবার করে দেখতে দিলেই হবে আপনার ওই হাঁসিটা,,,,\
~ রাত্রি - আচ্ছা দিতে পারি তবে,, ?
~ আকাশ -কি,, ?
~ রাত্রি - আমাকে ও আকাশ দেখতে দিতে হবে প্রতিদিন, আকাশ দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে,,
~ আকাশ - আপনি তো অনেক দুষ্টু,, ঠিক আছে দিবো,,,,\
এরপর থেকে প্রতিদিন তাদের দূর থেকে দুজন দুজনকে দেখা আর মোবাইলে ৩/৪ মিনিট কথা বলা চলতে থাকে আর এতেই তারা অনেক খুশি,,,,
এই ভাবে প্রথমে ভালোলাগা তার পর দুজন দুজন কে ভালোবেসে ফেলে,,,,,,,বেশকিছুদিন রাত্রি খুব অসুস্থ খুব মাথা ব্যথা খাওয়া দাওয়া পড়ালেখা সব বন্ধ,অসুস্থতা বেড়েই চলছে,দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে রাত্রি,খুব চিন্তায় পরে গেলো রাত্রির মা বাবা,রাত্রিকে নিজের ক্লিনিকে নিয়ে টেস্ট করায় রাত্রির বাবা ডাঃ মাহাবুব আলম, দুই দিন পড় রিপোর্ট দিবে অনেক ভয় হচ্ছে ডাঃ মাহাবুবের খারাপ কিছু হবার সন্দেহ ও,,রিপোর্ট দিলো রিপোর্ট হাতে নিয়ে অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে আছে ডাঃমাহাবুব দেখার সাহস পাচ্ছে না,ভুলে গেছে তিনি শহরের সব থেকে বড় ডাক্তারদের একজন এরকম হাজারো রিপোর্ট তিনি আগে দেখেছে,হাত কাপছে এর ভিতরই রিপোর্টটি দেখলো ডাঃমাহাবুব নিজের চোঁখকে ও সে বিশ্বাস করতে পারছে না,বার বার দেখছে কিন্তু ফল একই তার আদরের একমাত্র সন্তানের ব্রেইন ক্যান্সার হয়েছে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢলে পরবে তার মেয়ে , # #

8 i ·Oversætte

কই ? কি হল ? কিনে দাও । দাওওওও ।
দুই তিন বছরের মেয়ে যদি এমন করে কিছু কিনে দেওয়ার বায়না করে তাহলে মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু কোন এইচএসসি পড়া মেয়ে যদি এমন বাচ্চা দের মত আহ্লাদ করে করে তাহলে তাকে থাপড়ইতে ইচ্ছা করে ।আমার এখন তাইফাকে থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু দিতে পারছি না । তাইফা আবার বলল
-কই দাও-দেখো বাইরের জিনিস খেতে হবে না । এগুলো আনহাইজেনিক ।-হোক আমি খাবো ।-না ।-খাবো ।-না ।-খাবো ।আমি কঠিন চোখে তাইফার দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম । কিন্তু সেদিনে তাইফা বিন্দু মাত্র খেয়াল না দিয়ে আবারও সেই কথা বলতে লাগলো । সে ফুচকা খাবেই ।আমি বললাম-আইসক্রিম কিনে দিতে পারি । কিন্তু ফুচকা না ।তাইফা কিছুক্ষন কি যেন ভাবলো । তারপর বলল-আচ্ছা ঠিক আছে । কিন্তু পরের বার কিন্তু ফুচকা খাওয়াতে হবে ।মেয়েদের কে নিয়ে বের হওয়া দুনিয়ার সব থেকে প্যারাময় একটা কাজ । কিন্তু এই কাজটাই করতে হচ্ছে কদিন থেকে । কোন প্রকার অজুহাত দিয়ে কাটানো যাচ্ছে না ।কোন রকমে বাড়িতে কাটালেই এই বদ মেয়েকে কিছুতেই পেছ ছাড়ানো যাচ্ছে না । ঢাকায় আসার পর থেকে সব সময় ফয়সাল এখানে নিয়ে চল ওখানে নিয়ে চল । আরে আমি কি বাস ড্রাইভার নাকি যে এখানে ওখানে নিয়ে যাবো । তাইফা এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে । দিয়ে কাউকে কিছু না বলে একা একা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে এসেছে খালার বাসায় । এই মেয়ের এতো সাহস আমি নিজ চোখে না দেখলে ঠিক বিশ্বাস করতাম না ।অবশ্য তাইফার খালা মানে রুনু আন্টির মুখে তাইফার কথা আগে থেকেই শুনেছি । মেয়ের কার্যকলাপের কথা আমার কম বেশি জানতাম । মেয়েটার গল্প শুনে একবার দেখার ইচ্ছা ছিল মনে কিন্তু সেই ইচ্ছা যে এমন ভাবে পূরন হবে ভাবি নি ।তাইফার খালার সাথে আমার আম্মার আবার গলায় গলায় ভাব । পাশি পাশি ফ্ল্যাটে থাকার কারনে দুজনে একে অন্যের জানের বান্ধবী । যতই মেয়ে ডানপিটে হোক ঢাকা শহরে একা একা একটা মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে কেউ নিশ্চিন্তে থাকতে পারে না যদি সেই মেয়েটি নতুন হয় । তাই আমার উপর দায়িত্ব পড়েছে তাইফাকে ঢাকা শহর ঘুরিয়ে দেখানোর । আমি এখন সেই দায়িত্বই পালন করছি ।তাইফার জন্য একটা কোন আইসক্রিম কিনে আনলাম ।তোমার টা কই ?-আমি খাবো না ।কেন ?-এমনি । তুমি খাও ।তাইফা আইসক্রিম খেতে খেতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল-তুমি এতো বোকা কেন বল তো ?আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম আসলে মেয়েটা কি বলতে চাচ্ছে । এই তিন দিনে এই একটা প্রশ্নই তাইফা আমাকে অন্তত বিশ বার করেছে । কেন করেছে কে জানে ? আমি প্রত্যেকবারই বলেছি আমি জানি না । এখনও তাই বললাম । তাইফা প্রত্যেকবার আমার মুখের কথা শুন হেসেছে, এবারো হাসলো । বললনাও । আইস ক্রিম খাও ।তুমি খাও ।আহা । একটা বাইট নিলে কিছু হবে না ।আরে খাবো না ।আচ্ছা আমার এটো খাবে না ? যাও আমিও খাবো না ।এই কথা বলতে বলতে অর্ধেক আইসক্রিম টাই তাইফা ফেলে দিল রাস্তার উপর । আমি অবা হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম । এই মেয়ের মাথায় আসলেই সমস্যা আছে । আমার এমন একটা ব্যাবহার করছে যেন আমি তার অনেক কিছু হই । আমার উপর হঠাৎ করেই এমন জোর কেন কাটাচ্ছে । আশ্চর্য । এই মেয়ের সমস্যা কি ?আইসক্রিম ফেলার পর আমার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে ফিরে বসলো । আমার সাথে কথা বলবে না । উল্টো দিকে তাকিয়েই বলল-তোমার সাথে কথা নাই । যাও ভাগো ।কি আর করবো আবার একটা আইসক্রিমনিয়ে এলাম । আগে এক কামড় খেয়ে ওকে দিলাম । বলল-এই যে আইসক্রিম খেলাম । এবার নাও ।না নিবো না ।আরে কি আশ্চার্য নাও । আমি তো খাচ্ছি । তাই না ? নাও ।প্রথমবার কেন নিলে না ?ভুল হয়েছে । ঠিক আছে । নাও । আর এমন হবে না ।এবার তাইফার মুখে হাসি ফুটলো সে আমার কাছ থেকে আইসক্রিম নিল ।আবার সেই প্রশ্নটা করলো-এই বল না, তুমি এটো বোকা কেন আমি বোকাই ।সুইট বোকা । তোমার গার্লফ্রেন্ডের কপাল ভাল অনেক ।কেন ?-কারন আছে ।এই ভাবেই দিন চলতে লাগলো । আমার অবশ্য আর কোন কাজ নেই । ভার্সিতে সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস থাকে । বাকি চার দিন বাসাতেই থাকি । বাইরে বের হওয়াটা ঠিক পছন্দ না । ঘরে বসে সময় কাটে । এখন তাইফার সাথে সময় কাটে ।যেদিন আমি বাইরে যাই না সারাটা দিন আমার সাথে । মনে হয় ওর খালার বাড়ি থেকে আমাদের বাসাতেই ও বেশি থাকছে । আমার সাথে আড্ডা মারছে আরও ভাল করে বললে আমাকে বিরক্ত করছে । আম্মার সাথে হাসাহাসি করছে । আম্মা কে খালামনি খালা মনি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে । আম্মা কম যান না । আম্মা এরই ভিতর ওকে তুই বলে ডাকা শুরু করে দিয়েছে ।আমি দেখছি আর অবাক হচ্ছি ।
প্রথম দিনও খানিকটা অবাক হয়েছিলাম । ঘরে বসে মুভি দেখছিলাম কোথা থেকে একটা অপরিচিত মেয়ে আমার রুমে এসে বলল-এই তোমার নাম ফয়সাল না ?আমি প্রথমে কিছু বলতেই পারলাম না । কোথা থেকে কোন মেয়ে আমার ঘরে এসে আমার নাম এমন ভাবে জিজ্ঞেস করবে এটা আমি কোন দিন ভাবতেই পারি নি । আমি কিছু বলছি না দেখে মেয়েটি বলল-শুনো, বিকেল বেলা ফ্রি থাকবা । আমাকে টিএসসি তে নিয়ে যাবা । মনে থাকবে ।তুমি কে ?আমার এই কথা শুনে মেয়েটি আমাকে একটা ভেংচি কেটে চলে গেল ।আমি বোকার মত বসে থাকলাম কিছুক্ষন । পরে মা এসে সব কিছু বলে গেল । মেজাজ টা একটু খারাপ হল কারন মেয়েটা আমর থেকে প্রায় তিনচার বছরের জুনিয়র অথচ আমাকে কত সহজেই না তুমি করে বলছে । তাই উপর আমার এক দিনেইকেবল একটা হুকুম হুকুম ভাব দেখাচ্ছে । মানে কি ?এভাবেই দিন কাটতে লাগলো । একটা সময় আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করতে লাগলাম আমারও তাইফার সাথে সময় কাটাতে ভাল লাগে । আমি নিজেই ওর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি । কখন আসবে কখন আমাকে বিরক্ত করবে, আমার মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করবে । বলবেএই টা তুমি কি রাখছো মোবাইলে ?এই টা কর ছবি ?এই মেয়েটা কেন ?এই ছেলেটা কেন ?এই টা লক কেন ?এই টা এমন কেন ?রাতের বেলা মাঝে মাঝেই তইফা আমাকে ফোন করে ছাদের নিয়ে যায় । রেলিংয়ের উপরে বসে কত গল্প করি আমরা । কত রকমের কথা । কত অদ্ভুড রকমের কথাই না মেয়েটা জানে । তারপর এই দিকে দিনে ঢাকা শহরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমরা এক সাথে ঘুরে বেড়াই নাই । কিন্তু সব কিছুর একটা শেষ আছে । দেখতে দেখতে তাইফার যাওয়ার দিন #