লজ্জাপতি গাছের মূল শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়মিত সেবন করলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং শরীরের ভেতরের বিষাক্ত উপাদান দূর হয়। এটি যকৃত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। এছাড়া, লজ্জাপতির পাতার রস আমাশয়, পাতলা পায়খানা ও পেটের পীড়ায় খুবই কার্যকর। দিনে দুইবার এক চামচ পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
পেয়ারা একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ফল, যা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি উন্নত করা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে থাকে।
পেয়ারা খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ভিটামিন সি রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে:
পেয়ারার মধ্যে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়ক।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:
পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
পেয়ারার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পেয়ারার ফাইবার ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
পেয়ারার মধ্যে লাইকোপেন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। লাইকোপেন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
পেয়ারা একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর ফল। এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যোগ করে, আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। #পেয়ারা একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ফল, যা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি উন্নত করা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে থাকে।
পেয়ারা খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ভিটামিন সি রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে:
পেয়ারার মধ্যে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়ক।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:
পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:
পেয়ারার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়ক।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পেয়ারার ফাইবার ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
পেয়ারার মধ্যে লাইকোপেন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। লাইকোপেন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
পেয়ারা একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর ফল। এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যোগ করে, আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (সংক্ষেপে বেফাক) বাংলাদেশের একটি বৃহৎ এবং প্রাচীন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। নিচে এই বোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (Befaqul Madarisil Arabia Bangladesh)
১. প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি:
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের অন্যতম প্রবীণ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর পৃষ্ঠপোষকতা এবং অন্যান্য প্রবীণ উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরিচিতি: এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের একটি অন্যতম বৃহৎ ও প্রধান শিক্ষা বোর্ড। এটি দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি ও সিলেবাস অনুসরণ করে পরিচালিত হয়।
২. উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন।
মাদ্রাসাসমূহের মধ্যে একটি সুসংগঠিত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইসলামী জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
পরীক্ষা পরিচালনা, ফলাফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা।
৩. কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য:
পরীক্ষা পরিচালনা: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে, যেমন: ইবতেদায়ী (প্রাথমিক), মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ আম্মাহ (মাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ খাসসাহ (উচ্চ মাধ্যমিক), ফযীলত (স্নাতক) এবং দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর)।
সিলেবাস ও কারিকুলাম: এটি দারুল উলূম দেওবন্দের সিলেবাস ও কারিকুলাম অনুসরণ করে, যা কুরআন, হাদিস, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ফার্সি, উর্দু, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত এবং অন্যান্য আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত।
মাদ্রাসা অধিভুক্তি: বাংলাদেশের হাজার হাজার কওমি মাদ্রাসা বেফাকের অধীনে পরিচালিত হয়। এটি এসব মাদ্রাসার শিক্ষার মান পর্যবেক্ষণ করে এবং তাদের নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ: বেফাক শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।
প্রকাশনা: এটি ইসলামি বইপত্র, গবেষণা জার্নাল এবং সিলেবাস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশ করে।
৪. আল-হাইআতুল উলয়া এর সাথে সম্পর্ক:
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের মধ্যে অন্যতম। দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) পরীক্ষা আল-হাইআতুল উলয়া কর্তৃক পরিচালিত হলেও, বেফাক অন্যান্য স্তরের পরীক্ষা এবং মাদ্রাসার সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আল-হাইআতুল উলয়া হলো কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদের সরকারি স্বীকৃতির জন্য গঠিত একটি সমন্বয়কারী বোর্ড, যেখানে বেফাক একটি মূল সদস্য হিসেবে কাজ করে।
৫. বর্তমান অবস্থা:
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার বৃহত্তম শিক্ষা বোর্ড হিসেবে এর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং দেশের ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে এবং হাজার হাজার আলেম তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।