ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ২০২৫-২০২৬ সেশনে ভর্তির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমুহ:
১। ম্যাথসহ জিপিএ ৩.০০ (আবেদন শুরুর সম্ভাব্য তারিখ: ২০ জুলাই ২০২৫ খ্রি.)
২। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে ( ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ: ২৯
আগস্ট ২০২৫ খ্রি.)
৩। ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ খ্রি. এ এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমুহ:
১। জিপিএ ২.০০ (জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি) (আবেদন শুরুর সম্ভাব্য তারিখ: ২০ জুলাই
২০২৫ খ্রি.)
২। ২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ খ্রি. এ এসএসসি/সমমান পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হতে হবে।
সরকারিও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমুহে ক্লাশ শুরুর সম্ভাব্য তারিখ: সেপ্টেম্বরের ২য় / ৩য় সপ্তাহ ২০২৫ খ্রি.।
(এখানে সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয়েছে, তারিখ পরির্তন হতে পারে)
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থানের অপার সুযোগ রয়েছে। নিম্নে টেকনোলজী(সিভিল,এনভায়রনমেন্টাল,কনস্ট্রাকশন, আরএসি,ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স ও মেকানিক্যাল টেকনোলজীর ) কর্মসংস্থানের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহের তালিকা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
*১ সিভিল সমমান টেকনোলজি (সিভিল,এনভায়রনমেন্টাল,কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি )
১/ সরকারি প্রকৌশল দপ্তর (LGED, PWD, RHD,EED Etc)
২/ নির্মাণ কোম্পানি (Real Estate, Developers)
৩/ সাইট ইঞ্জিনিয়ার / প্রজেক্ট ম্যানেজার (কনস্ট্রাকশন ফার্ম)
৪/ স্থাপত্য সহকারী / উপ-সহকারী প্রকৌশলী
৫/ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিভিন্ন সংস্থা / প্রতিষ্ঠানে)
৬/ ব্রিজ, রোড, কালভার্ট নির্মাণ সংস্থা
৭/ পানির প্রকল্প (DPHE, WASA)
৮/ পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনা সংস্থা
৯/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)
১০/ বিদেশেও চাকরি করার সুযোগ রয়েছে ।
১১/ দেশে ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
১২/ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক
১৩/ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক(TSC)
১৪/ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষক (TTC)
১৫/ সরকারি হাইস্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক
১৬/ বিভিন্ন এন.জি.ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক
১৭/ উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
গল্প : শ্মশানঘাটের যাত্রী
গভীর রাতে গাড়ি নিয়ে ফিরছিল অয়ন। নদীর ধারের রাস্তাটা ধরলে কিছুটা শর্টকাট হয়। শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে দেখল, সাদা থান পরা এক বৃদ্ধ লোক পথের ধারে দাঁড়িয়ে লিফট চাইছে। এত রাতে একা দেখে অয়নের মায়া হলো। সে গাড়ি থামিয়ে লোকটিকে তুলে নিল। বৃদ্ধ লোকটি কোনো কথা বলছিল না, শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল। একটু এগিয়ে একটা মোড় আসতেই বৃদ্ধটি বলল, "বাবা, এখানেই নামব।" অয়ন গাড়ি থামাতেই লোকটি নেমে অন্ধকারের মধ্যে মিলিয়ে গেল। অয়ন আবার চলতে শুরু করে রিয়ার-ভিউ মিররে তাকাতেই দেখল, পেছনের সিটটা ভিজে চপচপ করছে আর পোড়া মাংসের একটা তীব্র গন্ধ সারা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে। তার বুঝতে বাকি রইল না, সে কাকে লিফট দিয়েছিল।
#শ্মশানেরভূত #ভৌতিকগল্প #ভয়ঙ্করঅভিজ্ঞতা #হররড্রাইভ #আত্মা
গল্প: হাইওয়ের ছায়া
কলকাতা থেকে একাই গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলাম। রাত প্রায় একটা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িঘোড়া প্রায় নেই বললেই চলে। হঠাৎ হেডলাইটের আলোয় দেখলাম, রাস্তার পাশে একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে, পরনে সাদা পাঞ্জাবি। আমি পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম। প্রায় দশ কিলোমিটার যাওয়ার পর রিয়ার-ভিউ মিররে দেখলাম, সেই একই লোক রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে। আমার গা ছমছম করে উঠল। আমি গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলাম। কিন্তু যতই এগিয়ে যাই, কিছুক্ষণ পরপরই আয়নায় দেখি, লোকটা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে, যেন আমার আগেই সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। শেষবার যখন দেখলাম, তখন লোকটা রাস্তার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে, তার মুখটা আমার দিকে ফেরানো। মুখে কোনো অভিব্যক্তি নেই, শুধু দুটো শূন্য চোখের কোটর। আমি স্টিয়ারিং-এ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। শেষ যা মনে আছে, তা হলো একটা তীব্র আলোর ঝলকানি আর সেই ছায়ামূর্তির স্থির চাহনি।
#হাইওয়েরছায়া #ভৌতিকগল্প #রাত্রিরাত্রি #ছায়ামূর্তি #বাংলাঘোস্টস্টোরি #অদৃশ্যলোক #রিয়ারভিউমিরর #হররস্টোরি #বাংলাহরর #রাতেরভয়
বিকালে ঘুম থেকে উঠলে আমাদের কেন মনে হয় সকাল হয়ে গেছে — এর পেছনে রয়েছে মানব মস্তিষ্কের সময় ধারণা এবং ঘুম-চক্র (sleep cycle) সম্পর্কিত মনোবিজ্ঞান। নিচে বিস্তারিতভাবে এবং সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করছি:
🧠 মস্তিষ্কের জৈবঘড়ি (Biological Clock) ও বিভ্রান্তি
আমাদের শরীরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি কাজ করে যাকে Circadian Rhythm বলা হয়। এটি দিনের আলো, অন্ধকার এবং ঘুমের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। সাধারণত সকাল মানেই আমাদের জন্য জেগে ওঠার সময় এবং বিকেল মানেই বিশ্রাম বা কাজের শেষ ভাগ।
কিন্তু আপনি যখন দুপুর বা বিকেলে ঘুমান এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে পড়েন, তখন মস্তিষ্ক "ঘুম থেকে উঠেছি = নতুন দিন শুরু" এই ধারণায় অভ্যস্ত থাকে। ফলে ঘুম ভেঙে মস্তিষ্ক মনে করে, এটি আগের দিনের শেষ নয় বরং পরের দিনের শুরু — অর্থাৎ সকাল।
🌤️ আলোর ভূমিকা ও পরিবেশগত সংকেত (Environmental Cues)
সকাল ও বিকেলের আলো অনেকটাই কাছাকাছি — হালকা, শান্ত এবং কিছুটা ঠান্ডা। আপনি যখন বিকেলের আলোতে ঘুম থেকে ওঠেন, তখন বাইরের পরিবেশ অনেকটা সকালের মতো অনুভূত হতে পারে:
নরম সূর্যালোক
কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া
চারপাশে হালকা শব্দ (যেমন পাখির ডাক, দূরের গাড়ির আওয়াজ)
এই সব পরিবেশগত সংকেত আমাদের মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে, ফলে আমরা মনে করি এখন দিন শুরু হয়েছে।
ঘুমের পর মন-দেহের অবস্থা
ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক দুটোই একধরনের "রিফ্রেশড" অবস্থায় থাকে। এই সতেজ অনুভূতি সাধারণত সকালে অনুভব করি। যখন বিকেলে ঘুম ভাঙে, তখনও সেই সতেজতা থাকে — যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়:
> “নিশ্চয়ই এটা নতুন সকাল!”
🧪 সাইকোলজির ভাষায় একে বলে "Temporal Disorientation"
এটি একধরনের সময় বিভ্রান্তি, যেখানে মানুষ বুঝতে পারে না সে দিনের কোন অংশে আছে। বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পর এই বিভ্রান্তি খুবই সাধারণ, বিশেষ করে যদি ঘুমটা দীর্ঘ হয় বা গভীর ঘুম হয়। আপনি নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন:
এখন বিকেল, নাকি সকাল?
এখনই কি দিন শুরু হলো?
🔁 এই ঘটনা বেশি ঘটে:
যখন আপনি দুপুরের পর অনেকক্ষণ ঘুমান
যখন ঘর অন্ধকার বা পর্দা টানা থাকে
যখন সারাদিন ঘুম–জাগরণের সঠিক রুটিন থাকে না
রাতে দেরিতে ঘুমিয়ে সকালে না উঠলে
উপসংহার:
বিকেলে ঘুম থেকে উঠলে সকাল মনে হওয়াটা পুরোপুরি স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে তা মস্তিষ্কের জৈবঘড়ি ও সময় সংবেদনশীলতার সঙ্গে জড়িত। এটি সাইকোলজির এক সহজ এবং মানবিক প্রতিক্রিয়া — যেখানে মস্তিষ্ক, পরিবেশ এবং ঘুমের গভীরতা একত্রে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে।