Mahabub Rony    oprettet en ny artikel
44 i ·Oversætte

গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেমের | #cars #vehicles #face #2024face

গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেমের

গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেমের

গাড়ির অ্যালার্ম সিস্টেমের বিবর্তন গত কয়েক দশকে প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হ?
3 i ·Oversætte

নওগাঁ হাসাইগাড়ির বিল সবাই এক সাথে 😎😎

image
6 i ·Oversætte

গল্প: লিফটের অতিথি

অফিস থেকে ফিরতে রাত হয়েছিল শ্রেয়ার। সে অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে একা উঠেছিল। পাঁচতলায় এসে লিফটটা হঠাৎ থেমে গেল। দরজা খুলতেই সে দেখল, বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার করিডোর। কেউ নেই। দরজা বন্ধ হতেই লিফটের ওভারলোড অ্যালার্ম বেজে উঠল, যদিও সে ভেতরে একা। তার মনে হলো, পাশে কেউ এসে দাঁড়িয়েছে। একটা ঠান্ডা, ভারী নিশ্বাস সে নিজের ঘাড়ের কাছে অনুভব করতে পারছিল। লিফট নিচে নামছিল, কিন্তু তার ওজন যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

#লিফটেরঅতিথি #ভৌতিকগল্প #বাংলাঘোস্ট #horrorstorybangla #ghostinlift #banglahorror #ভয়েরগল্প #creepylift #elevatorghost #scaryshorts

6 i ·Oversætte

বিকালে ঘুম থেকে উঠলে আমাদের কেন মনে হয় সকাল হয়ে গেছে — এর পেছনে রয়েছে মানব মস্তিষ্কের সময় ধারণা এবং ঘুম-চক্র (sleep cycle) সম্পর্কিত মনোবিজ্ঞান। নিচে বিস্তারিতভাবে এবং সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করছি:

🧠 মস্তিষ্কের জৈবঘড়ি (Biological Clock) ও বিভ্রান্তি

আমাদের শরীরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি কাজ করে যাকে Circadian Rhythm বলা হয়। এটি দিনের আলো, অন্ধকার এবং ঘুমের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। সাধারণত সকাল মানেই আমাদের জন্য জেগে ওঠার সময় এবং বিকেল মানেই বিশ্রাম বা কাজের শেষ ভাগ।

কিন্তু আপনি যখন দুপুর বা বিকেলে ঘুমান এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে পড়েন, তখন মস্তিষ্ক "ঘুম থেকে উঠেছি = নতুন দিন শুরু" এই ধারণায় অভ্যস্ত থাকে। ফলে ঘুম ভেঙে মস্তিষ্ক মনে করে, এটি আগের দিনের শেষ নয় বরং পরের দিনের শুরু — অর্থাৎ সকাল।

🌤️ আলোর ভূমিকা ও পরিবেশগত সংকেত (Environmental Cues)

সকাল ও বিকেলের আলো অনেকটাই কাছাকাছি — হালকা, শান্ত এবং কিছুটা ঠান্ডা। আপনি যখন বিকেলের আলোতে ঘুম থেকে ওঠেন, তখন বাইরের পরিবেশ অনেকটা সকালের মতো অনুভূত হতে পারে:

নরম সূর্যালোক

কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া

চারপাশে হালকা শব্দ (যেমন পাখির ডাক, দূরের গাড়ির আওয়াজ)

এই সব পরিবেশগত সংকেত আমাদের মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে, ফলে আমরা মনে করি এখন দিন শুরু হয়েছে।

ঘুমের পর মন-দেহের অবস্থা

ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক দুটোই একধরনের "রিফ্রেশড" অবস্থায় থাকে। এই সতেজ অনুভূতি সাধারণত সকালে অনুভব করি। যখন বিকেলে ঘুম ভাঙে, তখনও সেই সতেজতা থাকে — যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়:

> “নিশ্চয়ই এটা নতুন সকাল!”

🧪 সাইকোলজির ভাষায় একে বলে "Temporal Disorientation"

এটি একধরনের সময় বিভ্রান্তি, যেখানে মানুষ বুঝতে পারে না সে দিনের কোন অংশে আছে। বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পর এই বিভ্রান্তি খুবই সাধারণ, বিশেষ করে যদি ঘুমটা দীর্ঘ হয় বা গভীর ঘুম হয়। আপনি নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন:
এখন বিকেল, নাকি সকাল?
এখনই কি দিন শুরু হলো?

🔁 এই ঘটনা বেশি ঘটে:

যখন আপনি দুপুরের পর অনেকক্ষণ ঘুমান

যখন ঘর অন্ধকার বা পর্দা টানা থাকে

যখন সারাদিন ঘুম–জাগরণের সঠিক রুটিন থাকে না

রাতে দেরিতে ঘুমিয়ে সকালে না উঠলে

উপসংহার:

বিকেলে ঘুম থেকে উঠলে সকাল মনে হওয়াটা পুরোপুরি স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে তা মস্তিষ্কের জৈবঘড়ি ও সময় সংবেদনশীলতার সঙ্গে জড়িত। এটি সাইকোলজির এক সহজ এবং মানবিক প্রতিক্রিয়া — যেখানে মস্তিষ্ক, পরিবেশ এবং ঘুমের গভীরতা একত্রে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে।

ডুবাই শহর আধুনিকতা ও বিলাসিতার প্রতীক, যেখানে নানা রকম দামি ও স্টাইলিশ গাড়ি রাস্তায় চলে। এখানে ফারারি, ল্যাম্বোরগিনি, বুগাটি, রোলস-রয়েস, টেসলা ও অন্যান্য সুপারকার সহজেই দেখা যায়। ডুবাই পুলিশের গাড়িও বিশ্বে বিখ্যাত। এ শহরে নতুন ও ব্যবহৃত গাড়ির বিশাল বাজার রয়েছে, যেখানে স্বল্প মূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন গাড়ি পাওয়া যায়। গাড়িপ্রেমীদের জন্য ডুবাই স্বপ্নপুরী।

image
7 i ·Oversætte

সিলেট যাবার টান টান উত্তেজনাতে সারা রাত ঘুম হয়নি। অবশ্য আমার ঘুম হয়না এ আর নতুন কিছুনা। প্রতিটি রাত্রি আমার জন্য নির্ঘুম এক বার্তা নিয়ে আসে যা আমাকে ঘুমাতে দেয়না। আজ শুক্রবার পহেলা ডিসেম্বর রাত ৯.৫০ মিনিটি ছেড়ে যাবে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এই ট্রেনটি আমাকে নিয়ে যাবে মৌলভীবাজার জেলাতে। যেখানে আমার ভালোবাসার মানুষটির বসবাস। ভোর ৫ টা থেকেই যাওয়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। শীতের সকাল কিন্তু ঢাকাতে তেমন শীতের আবির্ভাব নেই। কখনো সিলেট যাওয়া হয়নি তাই সেখানকার মানুষ সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে একদম অজ্ঞ বটে। পরেরদিনই ফিরে আসবো তাই রিটার্ণ টিকেট নিতেও ভুল করেনি। ভোর বেলাতে গোসল করতে বড্ড বিরক্তি এক ভাব আসে তারপরেও গোসল করে ৭ টার মধ্যে ফার্মগেট হোস্টেল থেকে বের হয়ে পড়লাম। সাথে একটি ব্যাগ তার মধ্যে রয়েছে আমার প্রেয়সীর জন্য কিছু উপহার, যা আমার জীবনের অতিমুল্যবান জিনিস। আজ পর্যন্ত কেউ জানে না আমার এই ব্যাগে আমি কি নিয়ে ঘুরতাম, বা কাউকে কেন এই ব্যাগ ধরতে দিতাম না। সেই উপহার গুলোই প্রেয়সীকে দেবার আকাঙ্ক্ষা মনেতে চেপে বসেছে। মানুষ যাকে ভালোবাসে তার কাছে কিইবা লুকানোর আছে এই কথাটির উপর ভিত্তি করেই ব্যাগ গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়লাম।ট্রেন তো রাতে আর আমি বের হয়েছি ভোর সকালে, কোথায় যাবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ আমার পছন্দের জায়গাগুলোতে ঘুরে সময় পাড় করে দিবো। প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ লেক এ চলে গেলাম। পুরো লেক বিনা বিরতিতে ঘুরে বেড়ালাম, আর কিছু কবিতা লিখলাম। সময়টা কাটছিলো না তারপরেও অনেক সময় ব্যায় করে ঘড়ির কাটায় ১০ টা বাজালাম। তিন ঘন্টা অতিক্রম করতেও যেন আমাত তিন যুগ লেগে গেলো। আচ্ছা মানুষ কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য এত ছটফট কেন করে, এই অস্থিরতা কি ভালোবাসা। হয়ত তাই হবে। ধানমডি থেকে ৭ নম্বর বাস এ চড়ে গেলাম রমনা পার্কে। সেখানেও সময় কাটাতে বড্ড কষ্ট হয়েছে। যেমন তেমন করে ঘড়িতে এখন ঠিক ৩ টা বেজেছে। এরই মধ্যে উদয়ের ফোন, সে রয়েছে প্রেসক্লাবে আমাকে তার সাথে দেখা করতে বললো। যেহেতু কাছেই ছিলাম তাই উদয়ের সাথে দেখা করতে চলে গেলাম। তার সাথে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে চলে গেলাম কমলাপুর ষ্টেশনে। যেখানে আমার অপেক্ষায় রয়েছে ৭৩৯ নম্বর এর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
কিউবি ইন্টারনেট এর বাৎসরিক উদযাপন উপলক্ষে রেল জংশনে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা। সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে আমজ ভুল করিনি। ওয়াইফাই পেয়ে কোথায় নামতে হবে কোন গাড়িতে উঠতে হবে কোথায় আমার প্রেয়সীর কর্মস্থল সব খুজে বের করে স্ক্রিনশট নিয়ে নিলাম। ইতিমধ্যে রাত হয়ে আসছে উত্তেজনাতে ক্ষুদার কোন ভাব ভংগি পেলাম না, তারপরেও বাহির থেকে বট আর পরোটা খেয়ে নিলাম। সাথে রাতে যেন আবার জ্বর না উঠে তাই ওষুধ টাও খেলাম। ৬ নম্বর প্লাটফর্ম এ সিলেট যাবার ট্রেনটি অপেক্ষারত আছে। ট্রেনের কাছে গিয়ে কোচ নম্বর-ঝ সিট নম্বর -৩৯ খুজে বের করে সেখানে বসে রইলাম। ট্রেন ছাড়তে এখনো ত্রিশ মিনিটের মত সময় রয়েছে এই ফাকে একটা সিগারেটকে ছাই করতে লাগলাম আর সাথে কলিজাকে।
শিখা আমার সাথে কথা বলেনা গত এক মাস আগ থেকে, সে কোনভাবেই আমার সাথে দেখা করবে না, তর্কাতর্কি তে আমাকে ফেসবুকে ব্লক করেও রেখেছে। আমি শতবার ফোন দিলেও অপর প্রান্ত থেকে শুধু একটি কথাই ভেসে আসে আপনার ডায়ালকৃত নাম্বার টি এই মুহুর্তে ব্যস্ত আছে, কিছুক্ষন পর আবার ডায়াল করুনএই কথাটি বলার কারন আমি যতবার তাকে ফোন দিয়েছি সে ততবার কেটে দিয়েছে। ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ তার ইনবক্স এ জমা হচ্ছে কিন্তু তার নাম্বার থেকে একটি ম্যাসেজ আমার কপালে জুটে না। যখন ট্রেন ছেড়ে দিলো, তখন মনে হলে ইশ আমি তো কোন গরম কাপড় সাথে নেইনি। ওখানে শীত কেমন তা জানা নেই, তাছাড়া আমার রয়েছে রাত্রী জ্বরের রোগ। মুহুর্তেই সেই কথা ভুলে গেলাম, যখন মনে পড়লো আরে আমি তো সিলেট যাচ্ছি, মুহুর্তেই আগের উত্তেজনা ফিরে আসলো।আমি প্রতিটা ষ্টেশনে পৌছে তাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানাচ্ছি, বার বার কল দিয়ে যাচ্ছি এক পর্যায় রাত যখন ১ টা বেজে ৪০ মিনিট তখন সে তার সব নাম্বার অফ করে দেয়। আমি তখন ভৈরব ষ্টেশন অতিক্রম করতেছিলাম। ধীরে ধীরে শীতের আবির্ভাব হতে লাগলো, ট্রেনের ছুটে চলার দমকা বাতাসের সাথে শো শোঁ করে ঢুকছে কুয়াশা। তখন থেকেই আমার হাত পা কাপুনি শুরু হয়েছে, তা আর থামেনি, আমি ক্ষনে ক্ষনে কেপে উঠছি আর শিখাকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি তার ফোন সুইচ অফ। ভোর ৪ টা বাজে আমি শ্রীমঙ্গল ষ্টেশনে নেমে পড়লাম, চারিদিকে শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা, এক হাত সামনে কি রয়েছে তা বোঝা মুশকিল। কিছুক্ষণ পর পর ধেয়ে আসছে হিমশীতল বাতাস, যে বাতাস আমার রুহ পর্যন্ত কাপিয়ে তুলছিলো। পুরো ষ্টেশন ফাকা যেন কোন অবৈধ জায়গায় চলে এসেছি দু একটা দোকান ছিলো সেগুলোর লোকগুলোও ভিতরে শীতের ভয়ে ঘুপটি মেরে বসে রয়েছে। কুয়াশার মধ্যে আমি কোন দিকে হেটে যাচ্ছি তা আমি বুঝতেও পারছিলাম না। যখন ষ্টেশন থেকে বের হলাম, সামনে দু একটা সি.এন.জি দেখতে পেলাম। যারা মৌলভীবাজার এ যাওয়ার জন্যই বসে আছে। আমি ছাড়া আরো অনেক যাত্রী ছিলো যারা ভাড়া বেশীর কথা শুনে আর এত রাত্রে গেলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হতে পারে ভেবে তারা যেতে রাজী হলোনা। পরবর্তীতে আমি ২৭০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে সি.এন.জি রিজার্ভ নিয়ে মৌলভীবাজার এর যাত্রা শুরু করলাম।প্রায় ৪০ মিনিট এর সি.এন.জি এর যাত্রাকালে আমি যা উপভোগ করেছি তা শুধু আমার শরীরের প্রতিটি অংগ পতঙ্গ বরফ হয়ে যাচ্ছিলো, আর রক্তকণিকা শিশির বিন্দুতে পরিনত হচ্ছিলো। যখন আমি মৌলভীবাজার এসে পৌছালাম, সি.এন.জি থেকে নেমে গাড়ির ভাড়া দিচ্ছিলাম, তখন আমার হাত শরীর থর থর করে শুধু কাপছিলো, আমি প্রায় পড়ে যাচ্ছিলাম অবস্থা। তখন ড্রাইভার নেমে তার গায়ের শাল টা আমাকে পড়িয়ে দিলেন, আর কিছু কাগজ জোগার করে আগুন জালালেন, তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমার এ অবস্থা কেন, আমি কেন শীতের কোন কাপড় আনিনি, তাকে সংক্ষেপে উত্তর দিলাম, আমি এখানে একটি কাজে এসেছি ঢাকাতে শীত ছিলোনা তাই ভেবেছিলাম এদিকেও এমনি হবে। কথা না বাড়িয়ে আমি আগুন পোহাতে লাগলাম এখন যেন একটু প্রান ফিরে পেয়েছে দেহ, # #