জানা গেছে, খাদিজা আক্তারের সঙ্গে অনেক বছর ধরে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই ছেলে আফরোজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং যোগাযোগ করলেও প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। এতে খাদিজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। বুধবার দুপুর ১টায় খাদিজা ফেসবুকে প্রেমিকের কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। পরে দুপুর ২টায় নিজ ঘরে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আরও জানা গেছে, আত্মহত্যার সময় ঘরে পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না। আফরোজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার ছোট ভাই চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আফরোজা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসছিলাম। শুনছিলাম পুরুষ মানুষ ভালোবাসা পাইলে কিছু চায় না। তুমি আমাকে কীভাবে ছোট করলা? কীভাবে? আমি তোমার জন্য কি না করছি? কি না করছি তোমাকে ভালোবেসে? আজ আমাকে…বানাইলা। আমি কোনোদিন কল্পনা করি নাই এই প্রতিদান তুমি দিবা। আমি তো সরে গেছিলাম। কেন আসছো আবার? আমার শখের পুরুষ আমাকে দুনিয়া ছাড়তে বাধ্য করছে। দোষ তার না, দোষ আমার। আমি তাকে ভালোবাসছি, আমার দোষ। আমি তাকে প্রাধান্য দিছি। ভালো থাকো, আমার ভালোবাসা। তোমার ভালো থাকার জন্য, এই আয়োজন। আমাকে মাফ করবা মা, আমি তোমার ভালো মেয়ে হইতে পারি নাই। আমার কাফনের কাপড়ের টাকা আমার ব্যাগে মা।’
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়
Md Arman
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?
Akhi Mustakim
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?