এক গ্রামে রূপা নামে এক মেয়ে ছিল। রূপা খুবই প্রাণবন্ত, হাসিখুশি। তার স্বপ্ন ছিল শহরে গিয়ে বড় কিছু করা। কিন্তু সে একদমই বুঝতে পারত না যে তার প্রতিবেশী অভ্র তাকে নীরবে ভালোবাসে। অভ্র ছিল খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে, কিন্তু সাহস করে কখনো কিছু বলতে পারেনি।
একদিন রূপা শহরে চলে গেল পড়াশোনা করতে। অভ্র তার যাওয়ার খবর শুনে একরকম ভেঙে পড়ল। তবু চুপচাপ নিজেকে ব্যস্ত রাখল। সে মনে মনে ঠিক করল, রূপা তার স্বপ্ন পূরণ করবে আর সে দূর থেকে তার সাফল্যে খুশি হবে।
বছর দুয়েক পর হঠাৎ একদিন রূপা গ্রামের বাড়ি এলো। অভ্র তার খেয়াল না করলেও রূপা অভ্রকে খুঁজতে শুরু করল। এক বিকেলে সে অভ্রর বাড়ি গিয়ে বলল,
"তুমি এত দিন আমার খোঁজ নাওনি কেন?"
অভ্র অবাক হয়ে বলল,
"তুমি তো শহরে তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়েছিলে। আমি ভেবেছি, আমি শুধু একটা গ্রাম্য ছেলে—তোমার জীবনে কোনো জায়গা নেই।"
রূপা মুচকি হেসে বলল,
"তুমি কি জানো, শহরে আমার সবচেয়ে বড় যে জিনিসটার অভাব হয়েছে, সেটা হলো তোমার মতো একজন নিঃশব্দ শুভাকাঙ্ক্ষী। তোমার মতো কেউ নেই যে আমার সাফল্যে নীরবে খুশি হবে।"
অভ্র কিছু বলতে পারল না। রূপা আবার বলল,
"তুমি এত দিন বলোনি, কিন্তু আজ আমি বলব। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে শান্তির জায়গা।"
অভ্রর চোখ জলে ভরে গেল। সে বুঝল, ভালোবাসা কখনো দূরত্বে হারিয়ে যায় না। এভাবেই তাদের গল্প শুরু হলো।
গল্পের শিক্ষা: ভালোবাসা কখনো চিৎকার করে প্রকাশ করতে হয় না। নীরব ভালোবাসার মূল্য অনেক গভীর, এবং সময়মতো সেটা ঠিকই জায়গা খুঁজে পায়।
