বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শফিউল ইসলামের উত্থান ও প্রভাব
জুন–জুলাই ২০২৫-এর দিকে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কার মাঠে তিন ফরম্যাটে (২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে, ৩টি টি২০) বিশ্বমানের লড়াই চালাচ্ছে |
তবে সম্প্রতি সবার নজর কাড়ছে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে, যেখানে শফিউল ইসলাম আবারো তার সেরা ছন্দে ফিরে এসে বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবন যোগালো।
মাঠের গল্প: দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ
তারিখ ও স্থান
১৩ জুলাই ২০২৫, ডাম্বুল্লা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের ইনিংস
লিটন দাস ও হামিম হোসেন সামনের দিক থেকে শক্তিশালী শুরু করলেও সময়মতো বিপুল সংগ্রহের পথ উন্মুক্ত করলেন দুজনে। কেপটেন লিটন ৫০ বলের মধ্যে ৭৬ রান করেন, এবং হামিম ইন-উইন ছন্দে ৪৮ রানের ইনিংস উপস্থাপন করেন । তবে তাদের সংযুক্ত অবদান টিমকে ১৭৭/৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় – যা শ্রীলঙ্কার কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং।
শ্রীলঙ্কার পেসে আউট
টার্গেট ১৭৮, শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী ব্যাটিং একেবারে শুরুতেই বিপর্যয়ে পতিত হয়। প্রথম ৫.১ ওভারে চার উইকেট হারায় তারা, যেখানে কুসাল মেন্ডিস রানআউট, এবং শফিউল ইসলাম পেনাল্টিতে দুটি উইকেট শিকার করেন – কুসাল পেরেরা ও অভিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফেলে । এই সময়ে শফিউল ছিলেন খুব নির্ভরযোগ্য: ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ টি উইকেট
অতঃপর রিষাদ হোসেন (৩/১৮) মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মেহেদী–সাইফুদ্দিনও তাদের ভূমিকা যথা সময়ে পালন করেন, যার ফলে শ্রীলঙ্কাকে ১৫.২ ওভারে মাত্র ৯৪ রানের ভিতরে গুটিয়ে ফেলা হয় । ফলাফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে বড় জয় এনে দলে প্রাণ সঞ্চার করে সিরিজ ১–১ করে তুললো ।
শফিউল ইসলামের সূচনালগ্ন ও অর্জন
দীর্ঘ পথ
শফিউল ইসলাম তাঁর ফার্স্ট‑ক্লাস অভিষেক করেন ২০১৭–১৮ সিজনে রাজশাহী বিভাগ থেকে
Wikipedia
। ডান হাতের এই দ্রুতগতির পেসার আস্তে আস্তে দলে প্রতিষ্ঠিত হন, বিশেষভাবে ২০২৪ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়ে; যেখানে ক্যান্ডি ফ্যালকন্স প্রতিনিধিত্ব করেন ।
বিপুল পরের পটভূমি
লোকাল ডোমেস্টিক ক্রিকেটে – যেমন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ – এগিয়ে থেকে শফিউল পেয়েছেন উল্লেখযোগ্য কাপ–১০–১৫ উইকেট, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্কেলে তার অবস্থানকে দৃঢ় করেছে ।
দ্বিতীয় টি২০তে তার ভূমিকার বিশ্লেষণ
শক্তিশালী শুরু: powerplay-এ শফিউল মেঞ্চিসহ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকারে শ্রীলঙ্কাকে বিপদে ফেলার ক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা নেন ।
অভিজ্ঞতা ও নিয়ন্ত্রণ: মাত্র ৩ ওভারে ১২ রান—এই পারফরম্যান্স খারাপ গতির দিনে অনেকসময় ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দেয়।
দলগত সক্রিয়তা: রিষাদ–মেহেদী–সাইফুদ্দিন–মাস্তুফিজুরদের সঙ্গে শফিউল তৈরি করেন এক জম্বো ‘বোলিং ইউনিট’, যা সিরিজে ড্র করতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রভাব: টার্নিং পয়েন্টে পেসারদের প্রয়োগ দলের আস্থা বৃদ্ধি করে, যা ভবিষ্যতের ম্যাচে কাজে লাগতে পারে।
সিরিজের সামগ্রিক দৃষ্টিকোন
টেস্ট: শ্রীলঙ্কা ২ টেস্টে ১–০ এগিয়ে ।
ওয়ানডে: সিরিজে শ্রীলঙ্কার ২–১ জয় ।
টি২০: সিরিজ মূলত ডেসাইড ম্যাচে পৌঁছেছে, এবং শফিউল + রিষাদের শীর্ষ বোলিং ডিউয়েট বাংলাদেশের জন্য মুখ্য চালক। এটি আগামীর বিশ্ব কাপ প্রস্তুতির জন্য দারুণ সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শফিউল ইসলামের ভবিষ্যৎ
বিশ্ব ক্রিকেটে দ্রুত গতির পেসারদের সাফল্য নির্ভর করে ধারাবাহিকতা ও বড় ম্যাচে সফলতায়। শফিউল তার সময়–মতো উইকেট নিয়েক, নিয়ন্ত্রিত রানের টাকাতেই প্রমাণ করছেন নিজের গুরুত্ব। লঙ্কার বিপক্ষে তাঁর এই পারফরম্যান্স শুধুমাত্র একটি জয়ের উদযাপন নয়, বরং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে (যেমন টি২০ বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ) বাংলাদেশের বোলিং আক্রসধারণের দৃঢ় লক্ষণ বলেও ধরে নেওয়া যায়।
সমালোচনা ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ
তবে শফিউল কোমর-মেরুদণ্ডের অগ্রগতি ও দৈহিক সুস্থিতির উপর আরো নিয়ন্ত্রণ গঠন প্রয়োজন। দ্রুতগতির পেসারদের জন্য ধারাবাহিকতা সৌন্দর্য হলেও পুনরায় ইনজুরির আশঙ্কা সবসময় থাকে। বোলিং আক্রমণের সার্বিক ভারসাম্য রক্ষায় ও শ্রীলঙ্কার মতো হার্ড পিচে নিয়মিত সফলতার জন্য শারীরিক ফিটনেস ও দক্ষতা নিশ্চিত রাখতে হবে তাঁকে।
সম্প্রদায় ও ফ্যান প্রতিক্রিয়া
এতে অনুভূত হয়েছে, বেশিরভাগ অনুরাগীদের কাছে শফিউলের পারফরম্যান্স প্রশংসার উপযুক্ত, যদিও কিছু মানুষ ধর্মঘটের মত বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
বিকল্প স্পর্শ
দলের সতেজতা ও আত্মবিশ্বাস নিশ্চিত করতে প্রধান নির্বাচকরা বেশ কিছু কৌশল গ্রহণ করেছেন:
টিম রোটেশন: প্রথম টি২০য়ের পর Taskin Ahmed–Mustafizur Rahman অপশন পরিবর্তন
মাশরুফ–নিয়মানের জায়গায় মুক্তচিন্তা: তাজা পেস ট্রায়ো প্রয়োগ শফিউল, মাস্তুফিজুর, সাইফুদ্দিনের মাধ্যমে স্পিনারদের সাপোর্ট।
উপসংহার
দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে শফিউল ইসলাম তাঁর দক্ষতা ও মানসিক বলিষ্ঠতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি বাংলাদেশের আগামীর পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দুই উইকেট, সীমিত রান খরচ এবং দলীয় মানসিকতায় তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
গাণিতিক পদ্ধতিতে বললে, ‘ম্যাচ উইনার' হিসেবে তাঁকে মূল্যায়ন করলে খুব কম বল বলা যাবে; বরং একাধিক দলের ইমার্জিং স্টার হিসেবেও স্বীকৃত। ধারাবাহিকতা ও পরিশ্রমের মিশ্রণে শফিউল বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের বড় জয় এনে দিতে পারে।
এবার বাকি ম্যাচগুলোও দেখে নেওয়া যা
বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে ছোট ছোট অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দিন এবং উদযাপন করুন। এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত রাখবে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। যখন আপনি একটি ছোট কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করবেন, তখন নিজেকে পুরস্কৃত করুন। এটি একটি ছোট বিরতি হতে পারে, আপনার পছন্দের কিছু খাওয়া হতে পারে, অথবা নিজেকে কিছু উপহার দেওয়াও হতে পারে। এই ছোট ছোট জয়গুলোই আপনাকে বড় সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সিলেট যাবার টান টান উত্তেজনাতে সারা রাত ঘুম হয়নি। অবশ্য আমার ঘুম হয়না এ আর নতুন কিছুনা। প্রতিটি রাত্রি আমার জন্য নির্ঘুম এক বার্তা নিয়ে আসে যা আমাকে ঘুমাতে দেয়না। আজ শুক্রবার পহেলা ডিসেম্বর রাত ৯.৫০ মিনিটি ছেড়ে যাবে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এই ট্রেনটি আমাকে নিয়ে যাবে মৌলভীবাজার জেলাতে। যেখানে আমার ভালোবাসার মানুষটির বসবাস। ভোর ৫ টা থেকেই যাওয়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। শীতের সকাল কিন্তু ঢাকাতে তেমন শীতের আবির্ভাব নেই। কখনো সিলেট যাওয়া হয়নি তাই সেখানকার মানুষ সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে একদম অজ্ঞ বটে। পরেরদিনই ফিরে আসবো তাই রিটার্ণ টিকেট নিতেও ভুল করেনি। ভোর বেলাতে গোসল করতে বড্ড বিরক্তি এক ভাব আসে তারপরেও গোসল করে ৭ টার মধ্যে ফার্মগেট হোস্টেল থেকে বের হয়ে পড়লাম। সাথে একটি ব্যাগ তার মধ্যে রয়েছে আমার প্রেয়সীর জন্য কিছু উপহার, যা আমার জীবনের অতিমুল্যবান জিনিস। আজ পর্যন্ত কেউ জানে না আমার এই ব্যাগে আমি কি নিয়ে ঘুরতাম, বা কাউকে কেন এই ব্যাগ ধরতে দিতাম না। সেই উপহার গুলোই প্রেয়সীকে দেবার আকাঙ্ক্ষা মনেতে চেপে বসেছে। মানুষ যাকে ভালোবাসে তার কাছে কিইবা লুকানোর আছে এই কথাটির উপর ভিত্তি করেই ব্যাগ গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়লাম।ট্রেন তো রাতে আর আমি বের হয়েছি ভোর সকালে, কোথায় যাবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ আমার পছন্দের জায়গাগুলোতে ঘুরে সময় পাড় করে দিবো। প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ লেক এ চলে গেলাম। পুরো লেক বিনা বিরতিতে ঘুরে বেড়ালাম, আর কিছু কবিতা লিখলাম। সময়টা কাটছিলো না তারপরেও অনেক সময় ব্যায় করে ঘড়ির কাটায় ১০ টা বাজালাম। তিন ঘন্টা অতিক্রম করতেও যেন আমাত তিন যুগ লেগে গেলো। আচ্ছা মানুষ কাউকে ভালোবাসলে তার জন্য এত ছটফট কেন করে, এই অস্থিরতা কি ভালোবাসা। হয়ত তাই হবে। ধানমডি থেকে ৭ নম্বর বাস এ চড়ে গেলাম রমনা পার্কে। সেখানেও সময় কাটাতে বড্ড কষ্ট হয়েছে। যেমন তেমন করে ঘড়িতে এখন ঠিক ৩ টা বেজেছে। এরই মধ্যে উদয়ের ফোন, সে রয়েছে প্রেসক্লাবে আমাকে তার সাথে দেখা করতে বললো। যেহেতু কাছেই ছিলাম তাই উদয়ের সাথে দেখা করতে চলে গেলাম। তার সাথে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে চলে গেলাম কমলাপুর ষ্টেশনে। যেখানে আমার অপেক্ষায় রয়েছে ৭৩৯ নম্বর এর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
কিউবি ইন্টারনেট এর বাৎসরিক উদযাপন উপলক্ষে রেল জংশনে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা। সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে আমজ ভুল করিনি। ওয়াইফাই পেয়ে কোথায় নামতে হবে কোন গাড়িতে উঠতে হবে কোথায় আমার প্রেয়সীর কর্মস্থল সব খুজে বের করে স্ক্রিনশট নিয়ে নিলাম। ইতিমধ্যে রাত হয়ে আসছে উত্তেজনাতে ক্ষুদার কোন ভাব ভংগি পেলাম না, তারপরেও বাহির থেকে বট আর পরোটা খেয়ে নিলাম। সাথে রাতে যেন আবার জ্বর না উঠে তাই ওষুধ টাও খেলাম। ৬ নম্বর প্লাটফর্ম এ সিলেট যাবার ট্রেনটি অপেক্ষারত আছে। ট্রেনের কাছে গিয়ে কোচ নম্বর-ঝ সিট নম্বর -৩৯ খুজে বের করে সেখানে বসে রইলাম। ট্রেন ছাড়তে এখনো ত্রিশ মিনিটের মত সময় রয়েছে এই ফাকে একটা সিগারেটকে ছাই করতে লাগলাম আর সাথে কলিজাকে।
শিখা আমার সাথে কথা বলেনা গত এক মাস আগ থেকে, সে কোনভাবেই আমার সাথে দেখা করবে না, তর্কাতর্কি তে আমাকে ফেসবুকে ব্লক করেও রেখেছে। আমি শতবার ফোন দিলেও অপর প্রান্ত থেকে শুধু একটি কথাই ভেসে আসে আপনার ডায়ালকৃত নাম্বার টি এই মুহুর্তে ব্যস্ত আছে, কিছুক্ষন পর আবার ডায়াল করুনএই কথাটি বলার কারন আমি যতবার তাকে ফোন দিয়েছি সে ততবার কেটে দিয়েছে। ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ তার ইনবক্স এ জমা হচ্ছে কিন্তু তার নাম্বার থেকে একটি ম্যাসেজ আমার কপালে জুটে না। যখন ট্রেন ছেড়ে দিলো, তখন মনে হলে ইশ আমি তো কোন গরম কাপড় সাথে নেইনি। ওখানে শীত কেমন তা জানা নেই, তাছাড়া আমার রয়েছে রাত্রী জ্বরের রোগ। মুহুর্তেই সেই কথা ভুলে গেলাম, যখন মনে পড়লো আরে আমি তো সিলেট যাচ্ছি, মুহুর্তেই আগের উত্তেজনা ফিরে আসলো।আমি প্রতিটা ষ্টেশনে পৌছে তাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানাচ্ছি, বার বার কল দিয়ে যাচ্ছি এক পর্যায় রাত যখন ১ টা বেজে ৪০ মিনিট তখন সে তার সব নাম্বার অফ করে দেয়। আমি তখন ভৈরব ষ্টেশন অতিক্রম করতেছিলাম। ধীরে ধীরে শীতের আবির্ভাব হতে লাগলো, ট্রেনের ছুটে চলার দমকা বাতাসের সাথে শো শোঁ করে ঢুকছে কুয়াশা। তখন থেকেই আমার হাত পা কাপুনি শুরু হয়েছে, তা আর থামেনি, আমি ক্ষনে ক্ষনে কেপে উঠছি আর শিখাকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি তার ফোন সুইচ অফ। ভোর ৪ টা বাজে আমি শ্রীমঙ্গল ষ্টেশনে নেমে পড়লাম, চারিদিকে শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা, এক হাত সামনে কি রয়েছে তা বোঝা মুশকিল। কিছুক্ষণ পর পর ধেয়ে আসছে হিমশীতল বাতাস, যে বাতাস আমার রুহ পর্যন্ত কাপিয়ে তুলছিলো। পুরো ষ্টেশন ফাকা যেন কোন অবৈধ জায়গায় চলে এসেছি দু একটা দোকান ছিলো সেগুলোর লোকগুলোও ভিতরে শীতের ভয়ে ঘুপটি মেরে বসে রয়েছে। কুয়াশার মধ্যে আমি কোন দিকে হেটে যাচ্ছি তা আমি বুঝতেও পারছিলাম না। যখন ষ্টেশন থেকে বের হলাম, সামনে দু একটা সি.এন.জি দেখতে পেলাম। যারা মৌলভীবাজার এ যাওয়ার জন্যই বসে আছে। আমি ছাড়া আরো অনেক যাত্রী ছিলো যারা ভাড়া বেশীর কথা শুনে আর এত রাত্রে গেলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হতে পারে ভেবে তারা যেতে রাজী হলোনা। পরবর্তীতে আমি ২৭০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে সি.এন.জি রিজার্ভ নিয়ে মৌলভীবাজার এর যাত্রা শুরু করলাম।প্রায় ৪০ মিনিট এর সি.এন.জি এর যাত্রাকালে আমি যা উপভোগ করেছি তা শুধু আমার শরীরের প্রতিটি অংগ পতঙ্গ বরফ হয়ে যাচ্ছিলো, আর রক্তকণিকা শিশির বিন্দুতে পরিনত হচ্ছিলো। যখন আমি মৌলভীবাজার এসে পৌছালাম, সি.এন.জি থেকে নেমে গাড়ির ভাড়া দিচ্ছিলাম, তখন আমার হাত শরীর থর থর করে শুধু কাপছিলো, আমি প্রায় পড়ে যাচ্ছিলাম অবস্থা। তখন ড্রাইভার নেমে তার গায়ের শাল টা আমাকে পড়িয়ে দিলেন, আর কিছু কাগজ জোগার করে আগুন জালালেন, তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমার এ অবস্থা কেন, আমি কেন শীতের কোন কাপড় আনিনি, তাকে সংক্ষেপে উত্তর দিলাম, আমি এখানে একটি কাজে এসেছি ঢাকাতে শীত ছিলোনা তাই ভেবেছিলাম এদিকেও এমনি হবে। কথা না বাড়িয়ে আমি আগুন পোহাতে লাগলাম এখন যেন একটু প্রান ফিরে পেয়েছে দেহ, # #
লেখাটা একটু বড় পুরোটা না পড়লে এখনি স্কিপ করুন 😋
***আমাদের কলেজের গেটে যেটা করা হয়েছে তা বিজ্ঞাপন না স্পনসরশিপ?***
বিজ্ঞাপন (Advertisement) এবং স্পন্সরশিপ (Sponsorship) দুটি ভিন্ন ধারণা, যদিও উভয়ই প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
বিজ্ঞাপন:
এটি সাধারণত অর্থ প্রদানের মাধ্যমে করা হয়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বার্তা বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমন: সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম) প্রচার করা হয়।
বিজ্ঞাপনে প্রায়ই পণ্যের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং মূল্য উল্লেখ করা হয়।
স্পন্সরশিপ:
স্পন্সরশিপে, কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির কোনো ইভেন্ট বা কোন প্রোগ্রামের জন্য আর্থিক বা অন্য কোনোভাবে সহায়তা করে থাকে ।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো ফুটবল দল কোনো কোম্পানির লোগো তাদের জার্সিতে ব্যবহার করার জন্য সেই কোম্পানি থেকে অর্থ গ্রহণ করে। এটি স্পন্সরশিপের একটি উদাহরণ।
*** এখন আসি আমাদের কলেজের এরকম গেট স্পন্সরশিপে করা ঠিক হলো কিনা?
এটা আসলে গেট না। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিকনির্দেশনা লিখিত ব্যানার যা গেটের মতো লাগছে দেখতে। উপরের অংশটুকুর জন্য একটু খারাপ লাগছে, আমার মতে শুধু দুই সাইডে দিলেই ভালো লাগতো।
আপনি যদি আবেগ দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে আসলেই খারাপ লাগবে। ইগোতে লাগবে। মনে হবে যে আমাদের বললেই আমরা বানায়ে দিতাম।
কিন্তু আসলেই আপনারা টাকা দিতেন? দিলে কত টাকা দিতেন? কতজন দিতো? আপনি টাকা দিলে আপনার নাম লিখে দিতেন সৌজন্যে অমুক-তমুক। লিখতেন না?
এটাকেই স্পনসরশিপ বলে।
*** এবার আসি অন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো স্পনসর নিয়ে কি করে?
- আমরা যদি বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় বা বড় কলেজগুলোর (ঢাবি, রাবি, জাবি ইত্যাদি) দিকে তাকাই সেখানে যত ইভেন্ট হয় তার স্পনসর একেকটা কোম্পানি করে থাকে।
যেমন, খেলাধুলা, কলেজ ট্যুর, নবীন বরণ অনুষ্ঠান, বিদায় অনুষ্ঠান, নববর্ষ উদযাপন প্রভৃতি আরও অনেক প্রোগ্রামে স্পন্সর নেওয়া হয়।
- এতে আর্থিক বা অন্য কোনভাবে সুবিধা পাওয়া যায় যার কারনে ইভেন্টটা আরও আকর্ষণীয় ও জাকজমক করা যায়।
- আপনারা বলেনতো তাদের কি টাকা নাই বলে স্পনসর নেয়?
না, স্পন্সর কোন ভিক্ষাবৃত্তি নয়। এটি এক ধরনের সুবিধা দেওয়া নেওয়ার ব্যাপার।
*** ব্যাপারটিকে আপনারা পজিটিভলি চিন্তা করেন।
- আপনারা কলেজ থেকে ট্যুরে যান। বেশিরভাগই কাছে কোথাও যাওয়া হয় যেমন নাটোর, রাজশাহী, দিনাজপুর। কিন্তু স্পনসর নিয়ে যদি কক্সবাজার যান তাহলে কি মন্দ কিছু হবে?
- আমাদের কলেজে নবীনবরণ বিদায় অনুষ্ঠান হয় না। কেন, টাকা নাই। আপনারা যারা পুরাতন স্টুডেন্ট আছেন টাকা দিবেন? ফেসবুকের কমেন্ট টাকা দিয়ে ভড়িয়ে ফেলবেন কিন্তু বাস্তবে টাকা কেও দিবেন না। সেই কাজটা যদি একটা স্পন্সর নিয়ে করা যায় মন্দ হবে?
- যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে তাদের সংবর্ধনা দিবে কলেজ। আপনি পুরাতন স্টুডেন্ট টাকা চাইতে গেলো দিবেন টাকা? সেখানে যদি স্পন্সর নিয়ে ভালো একটা প্রোগ্রাম করা হয় তাহলে কি মন্দ হবে?
- আমি দেখেছি আমাদের কলেজের ফুটবল খেলার সময় অনেক টিম একটা নতুন জার্সি পর্যন্ত পায় না। খাওয়া দাওয়া, বিজয়ী টিম নিয়ে ঘুরতে যাওয়া এগুলো বাদই দিলাম। স্পন্সরে যদি জার্সি ম্যানেজ করা যায় তাতে মন্দ কি? বাকী টাকায় প্রতিদিন কাচ্চি খেলাম, মন্দ হবে?
আজকে গুডলাক আসছে আগামীতে অন্য কেও অন্য কোন অফার নিয়ে আসবে।
তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হবে। সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু আমরা যদি তাদেরকে এভাবে ট্রিট করি তারা কখনোই এরকম কাজে নিজেদের জড়াবে না।
প্রত্যেকটি জিনিসের দুইটা দিক আছে ভালো দিক খারাপ দিক। আপনি পারলে খারাপ দিকগুলো স্কিপ করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন জীবনে ভালো কিছু হবে।
স্রেফ আবেগের বশে যদি সবকিছু ভেংগে ফেলতে চান, গুড়িয়ে দিতে চান বা কটাক্ষ করেন তাহলে আমাদেরই লজ্জিত হওয়া উচিত।
সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শিখি।
সাব্বির হাসান
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জসক।