Mahabub Rony    oprettet en ny artikel
33 i ·Oversætte

আধুনিক কমেডি: ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ | #comedy #face #2024face

আধুনিক কমেডি: ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ

আধুনিক কমেডি: ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ

ডিজিটাল যুগে আধুনিক কমেডি নাটক, সিনেমা এবং অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
2 i ·Oversætte

প্রিয় নিসফ আল আফদাল, ভবিষ্যতে সহধর্মিণী

জানো, আমি কোনো রাজপুত্র না। আমার নেই সুগঠিত শরীর, চোখে নেই রোমান্টিক গল্পের মতো মায়া, কণ্ঠেও নেই কবির কাব্যের সুর। আমি হয়তো তোমার স্বপ্নের সেই পারফেক্ট ছেলে না।আমার নেই দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড ঘড়ি, বা ব্যাংক ব্যালেন্সের ঘনত্ব—কিন্তু আমার আছে একটা হৃদয়, যেখানে শুধুই তোমার জন্য ভালোবাসা জমা আছে।
তুমি যদি কখনো ভাবো (আমার স্বামীটা কেন এমন সাধারণ?)তাহলে আমি বলব, আমি সাধারণই থাকতে চাই, যাতে তোমার ভালোবাসার প্রতিটি স্পর্শে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারি।

জানো, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একজন সঙ্গিনীর,
যে পর্দা ভালোবাসে, নম্রতা ধারণ করে,
যে আধুনিকতা নয়, বরং সরলতাকে সম্মান করে,
যে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবনকে গঠন করতে চায়,
যে ঘরকে জান্নাত বানাতে চায়—লোক দেখানো সংসার না।আমি চাই না তুমি সাজগোজ করে সবাইকে দেখাওআমি চাই, তুমি আমার জন্য সাজো।
আমি চাই না তুমি হাজার লোকের সামনে হাসো, আমি চাই তুমি শুধু আমার সামনে সেই নিঃশব্দ হেসে বলো তুমি আছো বলেই আমি ভালো আছি।

জানো, আমি চাই না সোনা-দানা, বা সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপা কোনো রমণী।
আমি চাই এমন একজন, যার সাথে মিলেমিশে নামাজে দাঁড়াতে পারব, একসাথে কোরআন পড়তে পারব, কাঁধে মাথা রেখে আখিরাতের গল্প করতে পারব।
তুমি ক্লান্ত হলে আমি তোমার পাশে চুপচাপ বসে থাকব।তুমি অসুস্থ হলে আমি গভীর রাতেও তোমার জন্য দোয়া করব।তুমি চোখের পানি ফেললে আমি কাঁদতে না পারলেও ভেতরটা কেঁপে উঠবে কারণ তুমি আমার হৃদয়ের অর্ধেক।তুমি যদি একদিনও বলতে আমার দিনটা খুব কঠিন ছিল,আমি বলব চলো, দু’জন মিলে আল্লাহর কাছে সেজদা দেই… ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,

আমার একটাই চাওয়াতুমি আমাকে ভালোবাসো, আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকো।আমি কোনো প্রতিদান চাই না। চাই শুধু ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা। আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করতে চাই।আল্লাহ জানেন, আমি কাকে চাচ্ছি আর আমি তাঁর কাছেই প্রার্থনা করি হে রব, আমাকে এমন একজন দাও, যার সঙ্গে আমি শুধু দুনিয়া নয়, আখিরাতেও থাকব।

আমি অপেক্ষায় আছি.......
কারণ আমি এমন এক সত্তার বান্দা, যিনি কারো দোয়া কখনোই বৃথা যেতে দেন না। তিনি অন্তরগুলোকে বদলে দেন, আর সঠিক সময়েই সঠিক মানুষ পাঠান…✨🌼

3 i ·Oversætte

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আপনি তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বোর্ড। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড
​তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র এবং উল্লেখযোগ্য কওমি মাদ্রাসা বোর্ড। এটি দেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসাকে এর অধিভুক্ত করে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে।
​১. প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
​প্রতিষ্ঠা: তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নির্দিষ্ট কিছু উলামায়ে কেরামের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো কওমি মাদ্রাসার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা পদ্ধতিকে রক্ষা করা এবং শিক্ষার্থীদের ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ করা।
​উদ্দেশ্য: এই বোর্ডের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ইসলামিক জ্ঞান, বিশেষ করে কুরআন, হাদিস, ফিকহ এবং আরবি ভাষার গভীর জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা। এটি কওমি মাদ্রাসার নিজস্ব স্বকীয়তা ও দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
​২. কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য:
​পরীক্ষা পরিচালনা: তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে নির্দিষ্ট স্তরের পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও জ্ঞান যাচাই করা হয়।
​সিলেবাস ও কারিকুলাম: এই বোর্ড ঐতিহ্যবাহী কওমি সিলেবাস অনুসরণ করে, যেখানে কুরআন, হাদিস, তাফসীর, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, আরবি সাহিত্য ও ব্যাকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়াও, বাংলা, গণিত এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ও পড়ানো হয়।
​মাদ্রাসা অধিভুক্তি: তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া বোর্ডের অধীনে বেশ কিছু কওমি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এই বোর্ড সেসব মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মান নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে।
​শিক্ষকদের মান উন্নয়ন: বোর্ড শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে, যাতে তারা আধুনিক এবং কার্যকর পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করতে পারেন।
​৩. আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক:
তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড হলো আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর আওতাভুক্ত ছয়টি মূল কওমি বোর্ডের মধ্যে অন্যতম। যেহেতু দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার সনদকে সরকার মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান দিয়েছে এবং এই পরীক্ষা আল-হাইআতুল উলয়া কর্তৃক পরিচালিত হয়, তাই তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়াও এই কেন্দ্রীয় বোর্ডের অংশীদার হিসেবে কাজ করে। এর অধীনে পরিচালিত দাওরায়ে হাদিস স্তরের শিক্ষার্থীরা আল-হাইআতুল উলয়ার অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সনদ লাভ করে।
​৪. প্রভাব ও অবদান:
তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি অসংখ্য আলেম ও দ্বীনী শিক্ষাবিদ তৈরিতে অবদান রাখছে, যারা সমাজে ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিকতার প্রচারে কাজ করছেন।
​আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে।

3 i ·Oversætte

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (সংক্ষেপে বেফাক) বাংলাদেশের একটি বৃহৎ এবং প্রাচীন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। নিচে এই বোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (Befaqul Madarisil Arabia Bangladesh)
​১. প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি:
​প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের অন্যতম প্রবীণ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর পৃষ্ঠপোষকতা এবং অন্যান্য প্রবীণ উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
​পরিচিতি: এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের একটি অন্যতম বৃহৎ ও প্রধান শিক্ষা বোর্ড। এটি দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি ও সিলেবাস অনুসরণ করে পরিচালিত হয়।
​২. উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
​কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন।
​মাদ্রাসাসমূহের মধ্যে একটি সুসংগঠিত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা।
​কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইসলামী জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
​পরীক্ষা পরিচালনা, ফলাফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা।
​৩. কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য:
​পরীক্ষা পরিচালনা: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে, যেমন: ইবতেদায়ী (প্রাথমিক), মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ আম্মাহ (মাধ্যমিক), সানাবিয়্যাহ খাসসাহ (উচ্চ মাধ্যমিক), ফযীলত (স্নাতক) এবং দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর)।
​সিলেবাস ও কারিকুলাম: এটি দারুল উলূম দেওবন্দের সিলেবাস ও কারিকুলাম অনুসরণ করে, যা কুরআন, হাদিস, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ফার্সি, উর্দু, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত এবং অন্যান্য আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত।
​মাদ্রাসা অধিভুক্তি: বাংলাদেশের হাজার হাজার কওমি মাদ্রাসা বেফাকের অধীনে পরিচালিত হয়। এটি এসব মাদ্রাসার শিক্ষার মান পর্যবেক্ষণ করে এবং তাদের নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে।
​শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ: বেফাক শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।
​প্রকাশনা: এটি ইসলামি বইপত্র, গবেষণা জার্নাল এবং সিলেবাস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রকাশ করে।
​৪. আল-হাইআতুল উলয়া এর সাথে সম্পর্ক:
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের মধ্যে অন্যতম। দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) পরীক্ষা আল-হাইআতুল উলয়া কর্তৃক পরিচালিত হলেও, বেফাক অন্যান্য স্তরের পরীক্ষা এবং মাদ্রাসার সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আল-হাইআতুল উলয়া হলো কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদের সরকারি স্বীকৃতির জন্য গঠিত একটি সমন্বয়কারী বোর্ড, যেখানে বেফাক একটি মূল সদস্য হিসেবে কাজ করে।
​৫. বর্তমান অবস্থা:
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার বৃহত্তম শিক্ষা বোর্ড হিসেবে এর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং দেশের ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে এবং হাজার হাজার আলেম তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

3 i ·Oversætte

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আপনি সম্ভবত 'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ (Al-Hayatul Ulya Lil-Jami'atil Qawmia Bangladesh)
​এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত একক ও সমন্বয়কারী ইসলামি শিক্ষা বোর্ড। এর অধীনে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
​১. প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
​প্রতিষ্ঠা: ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এটি গঠিত হয়।
​উদ্দেশ্য: কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান করা এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা।
​২. কার্যক্রম ও কার্যাবলী:
​দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ: এটি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সকল বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতি শিক্ষাবর্ষে দেশজুড়ে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর সম্পন্ন হয়।
​শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ: আল-হাইআতুল উলয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ, মানসম্পন্ন প্রমিত পাঠক্রম প্রণয়ন এবং বোর্ড ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনে কাজ করে।
​সনদ প্রদান ও যাচাইকরণ: দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ ইস্যু ও যাচাইকরণের দায়িত্ব পালন করে।
​ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: পরীক্ষার সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য 'হাইআতুল উলয়া এক্সাম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (HEMS)' নামে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিবন্ধন, ফর্ম পূরণ, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, প্রশ্ন প্রস্তুতি ও বিতরণ, প্রবেশপত্র প্রদান, স্ক্রিপ্ট বিতরণ ও সংগ্রহ, ইনভিজিলেশন, পরীক্ষার উপস্থিতি গ্রহণ, ফলাফল প্রদান ও প্রকাশ, এবং সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও রয়েছে।
​৩. মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্য:
​দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসরণ: এই বোর্ড দারুল উলূম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে: ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আল্লাহ (আল্লাহর উপর নিরঙ্কুশ ভরসা) এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত হিসেবে গ্রহণ।
​আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরামের (রাঃ) মতাদর্শ অনুসরণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের মতাদর্শ অনুসরণ করা হয়।
​চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা: চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করা হয়।
​আধ্যাত্মিক তরীকা: সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সোহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থি ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনোভাব পোষণ করা হয়।
​৪. প্রশাসনিক কাঠামো:
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ বাংলাদেশের ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সকল দাওরায়ে হাদিস কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিত্ব করে। এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত।
​সংক্ষেপে, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি, যা কওমি শিক্ষার মানোন্নয়ন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারিভাবে মাস্টার্সের সমমান মর্যাদা দেওয়ার কাজ করে।

3 i ·Oversætte

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা নিচে দেওয়া হলো:
​গুরুত্বপূর্ণ কথা
​নিজেকে বিশ্বাস করুন: আপনার ভেতরের শক্তিকে অনুভব করুন। আপনি যা কিছু অর্জন করতে চান, তার জন্য আপনার সক্ষমতা আছে – এই বিশ্বাসই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
​ছোট্ট পদক্ষেপ নিন: বড় লক্ষ্য দেখে হতাশ হবেন না। প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রতিটি ছোট সাফল্য আপনাকে বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।
​ভুল থেকে শিখুন: ভুল হওয়া মানে শেষ হয়ে যাওয়া নয়, বরং নতুন কিছু শেখার সুযোগ। ভুলগুলো থেকে শিখুন এবং নতুন উদ্যমে এগিয়ে যান।
​ইতিবাচক থাকুন: ইতিবাচক চিন্তা আপনার শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। চারপাশে যখন নেতিবাচকতা থাকবে, তখনও ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
​ধৈর্য ধরুন: সব ভালো জিনিস পেতে সময় লাগে। আপনার প্রচেষ্টার ফল হয়তো সঙ্গে সঙ্গে নাও আসতে পারে। ধৈর্য ধরে কাজ করে যান, সাফল্য আসবেই।
​কখনো হাল ছাড়বেন না: যখন মনে হবে আর পারছেন না, ঠিক তখনই মনে রাখবেন – আপনি আপনার লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি আছেন। শেষ চেষ্টাটাই হয়তো আপনাকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
​নিজেকে ভালোবাসুন: নিজের যত্ন নিন এবং নিজেকে ভালোবাসুন। যখন আপনি শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন, তখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে।
​অন্যকে সাহায্য করুন: অন্যদের সাহায্য করা আপনাকেও এক ধরনের মানসিক তৃপ্তি দেবে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
​মনে রাখবেন, প্রতিটি নতুন দিন একটি নতুন সুযোগ নিয়ে আসে। আপনার ভেতরের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগান এবং নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যান।