নিশ্চয়ই! নিচে একটি ছোট গল্প দিচ্ছি, যার নাম "শেষ আলোটা", শব্দসংখ্যা প্রায় ১০০০:
---
শেষ আলোটা
পাহাড়ঘেরা এক শান্ত গ্রাম—নাম তার পাথরডুবি। এখানকার মানুষ চাষবাস, গরু-পালন আর মাটির হাঁড়ি বানিয়ে জীবন চালায়। দিনে সূর্যের আলো, রাতে কুপির আলোতেই চলে জীবন। বিদ্যুৎ এ গ্রামে এখনো আসেনি।
গ্রামের এক কোণায় থাকেন বুড়ো হাশেম চাচা। বয়স হয়েছে অনেক, তবু সকালবেলা লাঠি নিয়ে মাঠে যান, গরু দেখেন। তাঁর চোখে একটা স্বপ্ন—গ্রামে বিদ্যুৎ আসবে, আলো জ্বলবে।
হাশেম চাচার নাতি সাইফুল শহরে পড়ে। সে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে আর নানা-নানিকে সবসময় বলে—“দাদু, তোমাদের গ্রামেও বিদ্যুৎ আসবে একদিন, আমি এনে দেবো।”
এক বছর পর, সাইফুল ফিরে আসে গ্রামের বাড়ি। শহরে সে সোলার প্যানেল নিয়ে পড়াশোনা করেছে। সে জানায়, “আমি একটা ছোট সোলার সিস্টেম বানিয়েছি, ১০০০ ওয়াটের। এটা দিয়ে ১০টা ঘরে আলো জ্বলবে, মোবাইল চার্জ হবে।”
গ্রামের লোক হাসে, কেউ বিশ্বাস করে না। তারা ভাবে, বিদ্যুৎ মানেই সরকার দিতে পারে, একটা ছেলেপেলেকে দিয়ে হবে না।
কিন্তু সাইফুল দমে না। সে নিজের জমানো টাকা, আর কিছু দান-চাঁদা তুলে একটা সোলার সেট-আপ তৈরি করে। প্যানেল বসে, ব্যাটারি সংযোগ হয়। এক বিকেলবেলা, সে ঘোষণা দেয়—“আজ সন্ধ্যায় গ্রামে আলো জ্বলবে।”
সেই সন্ধ্যায় হাশেম চাচার ঘরে প্রথম আলো জ্বলে। তারপর একে একে জ্বলে ওঠে আরও নয়টি ঘর। শিশুদের চোখে বিস্ময়, বয়স্কদের চোখে জল। সবার মুখে একটিই কথা—“আলো এসেছে!”
পরদিন, গ্রামের মসজিদে ঘোষণা হয়—“সাইফুল এখন আমাদের আলোর ছেলে।”
হাশেম চাচা সেদিন বলেছিলেন, “আমার জীবনে সব দেখছি, কিন্তু এইটুকু আলোতেই যত আনন্দ!”
আর সেই সোলার সিস্টেমের নাম রাখা হয়—‘শেষ আলোটা’, কারণ এই আলো নতুন দিনের শুরু, শেষ না।
---
এই গল্পটা আরও বড় বা ছোট করতে চাইলে জানাতে পারো। চাইলে ছবিও বানিয়ে দিতে পারি গল্পের উপর ভিত্তি করে।