গল্প: “ছায়ার নিচে সূর্য”
রফিক মিয়া একটা ছোট্ট চায়ের দোকান চালাতো রেলস্টেশনের পাশে। ভাঙা চেয়ার, পুরনো কেটলি আর ধোঁয়ায় কালো হয়ে যাওয়া গ্লাস – এই ছিল তার দোকানের সবকিছু। কিন্তু প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই সে দোকান খুলে বসত। কারণ সে জানত, রোজগার না করলে আজকের রাতের ভাতটাও জুটবে না।
তার ছেলেটা – তানিম – পড়তে ভালোবাসত। পুরনো বই কুড়িয়ে কুড়িয়ে সে ক্লাস ফোরে উঠে গিয়েছিল। রফিক মিয়ার স্বপ্ন ছিল একদিন তার ছেলে শিক্ষক হবে – মানুষের মতো মানুষ হবে।
একদিন তানিম অসুস্থ হয়ে পড়ল। ওষুধ কিনতে হবে। দোকানে বেচাকেনা নেই, ঘরে চাল নেই।
রফিক মিয়া তার মা’র শেষ স্মৃতি – একটা সোনার নাকের ফুল – বিক্রি করে ছেলের ওষুধ কিনে আনল।
তানিম সুস্থ হলো। আর রফিক মিয়া আবার কেটলি তুলে নিল হাতে।
কারণ সে জানত—
গরিব মানুষ মরার আগে হারে না,
সে শুধু লড়তে জানে।