ইসলামের বিভিন্ন মাজহাব (আইনশাস্ত্রের বিদ্যালয়):
সুন্নি ইসলামের মধ্যে প্রধানত চারটি মাজহাব প্রচলিত রয়েছে: হানাফি, মালিকি, শাফেয়ী ও হাম্বলি। এই মাজহাবগুলো মূলত ফিকহ (ইসলামী আইনশাস্ত্র) সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসআলার ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ভিন্নতা পোষণ করে। তবে, মৌলিক বিশ্বাস ও নীতিতে এদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই মাজহাবগুলোর অনুসারী রয়েছে।
শিয়া ইসলামের প্রধান শাখা:
শিয়া ইসলামের প্রধান শাখা হলো ইসনা আশারিয়া (বারো ইমামের অনুসারী)। তারা বিশ্বাস করেন যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মৃত্যুর পর আলী (রাঃ) ছিলেন মুসলমানদের প্রথম বৈধ ইমাম এবং এরপর আরও এগারোজন ইমাম এসেছেন, যারা নবীর বংশধর।
ইসলামে ইবাদতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য:
ইসলামে ইবাদতের (উপাসনা) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ - এই স্তম্ভগুলো মূলত আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যম। এছাড়াও, দোয়া (প্রার্থনা), কুরআন তেলাওয়াত (কুরআন পাঠ), জিকির (আল্লাহর স্মরণ) এবং অন্যান্য সৎকর্মও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামী নৈতিকতার ভিত্তি:
ইসলামী নৈতিকতার মূল ভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। একজন মুসলমানের জীবনে সততা, ন্যায়পরায়ণতা, আমানতদারি (বিশ্বাসযোগ্যতা), ওয়াদা পালন, সত্যবাদিতা এবং অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন অত্যাবশ্যকীয়।
ইসলামে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব:
ইসলাম জ্ঞানার্জনের উপর অপরিসীম গুরুত্ব আরোপ করে। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ (কর্তব্য)"। কুরআন ও হাদিসে জ্ঞান অন্বেষণকারী এবং বিদ্বানদের উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
ইসলাম ও পরিবার:
ইসলামে পরিবারকে সমাজের মূল ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং আত্মীয়-স্বজনের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামে বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা এবং সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি বজায় রাখা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
ইসলামের ভবিষ্যৎ:
বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান ধর্ম হিসেবে ইসলামের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে মুসলমানরা কীভাবে তাদের বিশ্বাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করে চলবে এবং সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখবে - তা দেখার বিষয়।