রাত প্রায় শেষ। শহরের শেষ ট্রেনটা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে গেছে। নিস্তব্ধ স্টেশনে একা বসে আছে ছেলেটা—নাম সোহান। হাতে একটা চিঠি, পুরনো, অনেকবার পড়া। চিঠিটা লিলির, শেষ দেখা হয়েছিল তিন বছর আগে। লিলি বলেছিল, “যদি সত্যি ভালোবাসো, এই স্টেশনে আবার দেখা হবে, তিন বছর পর, ঠিক এই রাতেই।”
সোহান হাসেনি, প্রশ্ন করেনি, শুধু মাথা নেড়ে রাজি হয়েছিল। সে জানত না লিলি আসবে কি না, তবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অপেক্ষা করবে।
আজ সেই রাত। চারপাশে কুয়াশা। স্টেশন ঘড়িতে রাত ৩টা বেজে ৫ মিনিট। সোহান চিঠিটা আবার খুলল। হঠাৎ দূর থেকে ভেসে এলো চেনা কণ্ঠ, “তিন বছর… তবু ঠিক সময়ে এসেছো?”
সোহান তাকিয়ে দেখল—লিলি দাঁড়িয়ে। কুয়াশার মধ্যে মুখটা অস্পষ্ট, কিন্তু সেই চোখ, সেই হাসি।
সোহান কিছু বলল না। শুধু হাতটা বাড়িয়ে দিল।
তিন বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু অপেক্ষাটা বৃথা যায়নি।