শেষ কলটি
রাত ১২টা ৪৩ মিনিট। রিফাতের ফোনে একটা কল এলো—নাম্বারটা অজানা, কিন্তু কণ্ঠটা স্পষ্ট:
“আমার ঘড়িটা কোথায় রেখেছো?”
রিফাত ভয় পেয়ে গেল। এই প্রশ্নটা সে শুনেছে… একবার, মাত্র একবার, পাঁচ বছর আগে, যেদিন তার বন্ধু কামরুল আত্মহত্যা করেছিল।
ঘড়ি? হ্যাঁ, সেই পুরনো পকেট ঘড়ি—যেটা কামরুল খুব যত্ন করত। মৃত্যুর পর সবাই বলেছিল ঘড়িটা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রিফাত সত্যিটা জানে। সেই রাতেই সে ঘড়িটা নিয়ে লুকিয়ে ফেলে। কেউ জানে না… জানার কথা নয়।
কিন্তু এখন? কে ফোন করল?
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রিফাত দেখল, তার টেবিলের ওপর ঘড়িটা রাখা—সেই পুরনো ঘড়ি, থেমে আছে ১২টা ৪৩ মিনিটে।
সে বুঝে গেল, কিছু সত্য কখনও মাটি চাপা পড়ে না। আর কিছু প্রশ্ন—শেষ কল হিসেবেই ফিরে আসে।