ফরমালিন বা ফরমাল ডিহাইড বিজ্ঞানের অনন্য একটি আবিষ্কার। ফরমালিনের উপকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হল-
রাসায়নিক ও অর্গানিক পদার্থ সমূহের পঁচনরোধে ভূমিকা পালন করে।
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমনে বাধা দেয়।
শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা সচল রাখতে সহায়তা করে।
মৃতদেহ সংরক্ষণ করে।
ঔষুধের গুণাগুণ রক্ষার্থে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
কোষ বা টিস্যুকে কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন:
মানুষের কল্যাণার্থে ফরমাল ডিহাইড আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এর ব্যবহার বিভিন্ন দিকে মোড় নেয়। এক সময় মানুষ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকান্ডে ফরমালিনের ব্যবহার করতে শুরু করে। বর্তমানে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের ব্যবহার একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাছ থেকে শুরু করে শাক-সবজি এমনকি বিভিন্ন ফলেও ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত ফরমালিন। সংরক্ষণকারী হিসেবে ফরমালিন খুব উপকারী হলেও খাদ্য হিসেবে তা বিষের শামিল। ফরমালিন অনেকাংশে বর্ণহীন ও স্বাদহীন হওয়ায় আপাতদৃষ্টিতে তা বোঝা যায় না। তবে আমরা একটু সচেতন হলেই তা বুঝতে পারি। বিভিন্ন উপায়ে খাদ্যে দ্রব্যে ফরমালিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। উপায়গুলি নিম্নরূপ-
সন্দেহযুক্ত খাদ্যদ্রব্যটি ধোয়ার পর পানিতে ৩ শতাংশ হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড মেশালে ফরমাল ডিহাইড থেকে ফরমিক এসিড উৎপন্ন হয়। প্রমাণ পাওয়ার জন্য সে পানিতে অল্প মারকুন্ডরিক ক্লোরাইড মেশালে নিচে সাদা রঙের একটি আস্তরণ জমা হয়। এটি মূলত খাদ্যে মিশ্রিত ফরমালিনের প্রমাণ।
ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুয়ে তার পানিতে ১ সিসি সোডিয়াম নাইট্রোপ্রোসাইড মেশালে সেই পানি গাঢ় সবুজ-নীল রং ধারণ করে। এতেও ফরমালিনের অস্তিত্ব প্রমানিত হয়।