করে এবং সেই কর্মের ফলস্বরূপ কর্মবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই কর্মফল জন্ম-মৃত্যুর চক্রের কারণ। মায়ার আবরণ ভেদ করে আত্মজ্ঞান লাভ করাই এই বন্ধন থেকে মুক্তির উপায়।
* মায়ার প্রভাব: মায়া আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় এবং মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে, যার ফলে আমরা জগতের সত্য স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারি না। আমরা ক্ষণস্থায়ী বস্তু ও সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট হই এবং দুঃখ ও মোহের শিকার হই।
* মায়া থেকে মুক্তি: হিন্দুধর্মে মায়া থেকে মুক্তির বিভিন্ন পথের কথা বলা হয়েছে, যেমন জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও কর্মযোগ। আত্মজ্ঞান লাভের মাধ্যমে, ঈশ্বরের প্রতি গভীর ভক্তির মাধ্যমে এবং নিঃস্বার্থ কর্মের মাধ্যমে মায়ার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
* মায়া ও বিজ্ঞান: যদিও বিজ্ঞান জগৎকে ব্যাখ্যা করার জন্য ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে, তবুও কিছু বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক মনে করেন যে, আধুনিক বিজ্ঞানের কিছু আবিষ্কার (যেমন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনিশ্চয়তার নীতি) বাস্তবতার আপাত দৃঢ়তা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। তবে এটি সরাসরি "মায়া"র বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নয়।
* মায়ার প্রকারভেদ: কোথাও কোথাও মায়াকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় – বিদ্যা মায়া (যা জ্ঞান ও মুক্তির দিকে নিয়ে যায়) এবং অবিদ্যা মায়া (যা অজ্ঞানতা ও বন্ধনের দিকে ধাবিত করে)।