32 w ·Translate

ফরমালিনমুক্ত হয়।

খাদ্যে ফরমালিন বন্ধে করনীয়:

খাদ্যে ফরমালিন মিশিয়ে মানুষকে খাওয়ানো প্রায় তাকে হত্যা করার মতোই। কারণ ফরমালিনের বিষক্রিয়া একজন মানুষকে তাৎক্ষণিক না হলেও ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। জরুরি ভিত্তিতে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের প্রয়োগ রোধ করা তাই সময়ের দাবী।

এক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে-

ফরমালিন আমদানি করার ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত।
রাসায়নিক দ্রব্যাদির সহজলভ্যতা রোধ করা উচিত।
সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
খাদ্যে ফরমালিন মেশানোর অপরাধের আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন খুবই জরুরি।
লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্য কেউ যাতে ফরমালিনের আমদানির সুযোগ না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
বাজারে বিদ্যমান খাদ্যসামগ্রী পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ তৈরি করা দরকার।
খাদ্যে ফরমালিন বন্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সর্বোপরি, কর্তৃপক্ষের যথাযথ ও কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্যে ফরমালিন বন্ধের ব্যবস্থা করা যায়।

উপসংহার:

পঁচনশীল দ্রব্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার জন্য আবিষ্কৃত হয় ফরমালিন বা ফরমাল ডিহাইডের পলিমার। এটির ব্যবহার মূলত ইতিবাচক কাজে হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা ব্যবহৃত হচ্ছে পুরোপুরি নেতিবাচক কাজে। ফলে যেখানে ফরমালিনের মাধ্যমে মানবজাতির উপকৃত হওয়ার কথা ছিল সেখানে মানুষ এখন আতঙ্কগ্রস্থ। ফরমালিনের ব্যবহার জনমনে এখন চরম অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে। কতিপয় মানুষের অসাধু বিকৃত মানসিকতা মানবজীবনকে দাঁড় করিয়েছে মারাত্মক হুমকির সামনে। তবে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার যুগোপযোগী সমাধান সম্ভব।

image