সিরিজ গল্প: ১৩ তম দরজার - এর গা শির-শির করা অধ্যায়
🕯️ অধ্যায় ৫: “ছায়ার মুখোমুখি”
অর্ণব দাঁড়িয়ে আছে সামিউলের ছায়ার সামনে। গা শিউরে ওঠে—তবুও সে পিছু হটে না। তার ভেতরে ভয় নয়, এখন প্রশ্ন।
“তুই কি সত্যিই সামিউল?”
ছায়া এগিয়ে এল এক ধাপ, তারপর বলল,
“আমি ছিলাম, কিন্তু তোর জন্য আর নেই। এখন আমি শুধু স্মৃতির একটা দাগ। তুই আমাকে ভুলেছিলি, আর সেই ভুলেই আমি আটকে গেছি।”
অর্ণবের কণ্ঠ কেঁপে উঠল, “আমি তো শুধু রেগে গিয়েছিলাম… আমি জানতাম না তুই আর ফিরবি না…”
সামিউলের কণ্ঠ ঠান্ডা, কিন্তু তীক্ষ্ণ,
“রাগ ভুল, ভুল ক্ষমা করা যায়। কিন্তু পরিত্যাগ? সেটা থেকে মুক্তি নেই।”
মাঠের বাতাস ভারী হয়ে উঠল। অর্ণব হঠাৎ দেখতে পেল—চারপাশটা যেন অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। গাছগুলো বাঁকা হয়ে, ছায়া যেন তাকে গিলতে চাইছে।
সামিউলের চোখ জ্বলছে।
“তুই যদি মুক্তি চাস, আমাকে শুধু স্বীকার করলেই হবে না। নিজেকে সাজা দে, যেমন আমায় দিয়েছিস।”
অর্ণব হঠাৎ হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে, চোখে জল—
“আমি ভুল করেছি। আমি পালিয়েছিলাম। এখন যা কিছু লাগুক, আমি মুখোমুখি হব।”
এক মুহূর্তে ছায়া স্থির হয়ে যায়। বাতাস থেমে যায়।
তারপর সামিউলের কণ্ঠ ধীরে বলে—
“তাহলে চল… শেষ খেলাটা এখন শুরু হোক।”
#sifat10