সিরিজ গল্প: ১৩ তম দরজা
🕯️ বিশেষ সমাপ্তি: “চিঠির শেষ লাইন”
অর্ণবের দিনগুলো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠল। কিন্তু রাতের গভীরে, যখন বাতাস নীরব থাকে, তখন একটা পরিচিত শব্দ তার কানে বাজে—টিক… টিক… টিক…
ঘড়ির কাঁটা আর থামে না। কিন্তু সে জানে, থেমে থাকা সময়ের গভীরে কিছু একটা রয়ে গেছে।
এক সন্ধ্যায়, সে তার ডেস্কে বসে পুরোনো বইগুলো ঘাঁটছিল। একটা পাতার ভাঁজে একটা চিঠি পেয়ে গেল—খুব পুরোনো, কিন্তু ঠিক সেই হাতের লেখা।
সামিউলের।
চিঠিতে লেখা ছিল:
“প্রিয় অর্ণব,
যখন কেউ চলে যায়, তখন সে শুধু শরীরেই যায় না—কখনও-কখনও থেকে যায় কোনো অসমাপ্ত গল্পের মতো।
তুই হয়তো আমায় ভুলে গেছিলি, কিন্তু আমি তোকে ভুলিনি।
তোর ক্ষমা আমি পেয়েছি। এবার তুই নিজেকে ক্ষমা কর।
সময় থেমে ছিল, তুই তাকে চালু করেছিস। এখন বাঁচ—একদম নতুন করে।
তোর বন্ধু,
সামিউল”
অর্ণব চিঠিটা বুকে চেপে ধরল। চোখে পানি এলো না, বরং মনে হলো যেন বুকের ভেতর জমে থাকা ছায়াগুলো একে একে আলোর মধ্যে গলে যাচ্ছে।
সে জানে—সব ভুল মাফ হয় না।
কিন্তু যদি মেনে নেওয়া যায়, তাহলে ভুলের মধ্যেও জন্ম নেয় মুক্তি।
ঘড়ির কাঁটা এখন আগামীর দিকে হাঁটে।
আর ১৩তম দরজা?
ওটা এখন কেবল একটা স্মৃতি।
সমাপ্ত।
(…কিন্তু হয়তো, অন্য এক গল্পে, অন্য এক দরজা খুলে যাবে…)