আচ্ছা, এবার কলার ঔষধি গুণাগুণ এবং কিছু ঘরোয়া ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক।
কলার ঔষধি গুণাগুণ:
* হজম সহায়ক: পাকা কলা সহজে হজমযোগ্য এবং এটি পেটের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক।
* অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধ: কলা অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করতে পারে এবং বুক জ্বালা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
* হার্টের স্বাস্থ্য: কলার পটাসিয়াম এবং ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
* ডায়রিয়া নিরাময়: ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে অনেক খনিজ লবণ বেরিয়ে যায়। কলা খেলে সেই ঘাটতি পূরণ হতে পারে। কাঁচা কলা ডায়রিয়া কমাতে বিশেষভাবে উপকারী।
* পেশি ক্র্যাম্প উপশম: শরীরে পটাসিয়ামের অভাব হলে পেশিতে টান বা ক্র্যাম্প হতে পারে। কলা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* মানসিক স্বাস্থ্য: কলায় ট্রিপটোফান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। সেরোটোনিন মন ভালো রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
* অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কলায় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
কলার কিছু ঘরোয়া ব্যবহার:
* ত্বকের যত্নে: পাকা কলা চটকে মুখে মাখলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
* চুলের যত্নে: পাকা কলা এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল নরম ও ঝলমলে হয়।
* পোকার কামড়ে: মশার কামড়ের স্থানে কলার ভেতরের অংশ ঘষলে চুলকানি এবং জ্বালা কমে যায়।
* জুতা পালিশ: কলার ভেতরের অংশ দিয়ে চামড়ার জুতা ঘষলে তা পরিষ্কার ও চকচকে হয়।
* গাছের সার: কলার খোসা উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা গাছের জন্য খুবই উপকারী।
কলা শুধু একটি সুস্বাদু ফলই নয়, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ঘরোয়া ব্যবহারও রয়েছে। এটিকে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো যায়।
tamimahmod123
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?