32 ב ·תרגם

শিরোনাম: “ছায়াপথের ডাক” (পর্ব ৪)


রুদ্র ছায়ামূর্তির দিকে এগোতেই চারপাশে সময় যেন থমকে গেল। বাতাস ভারী, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। রুমা তার কাঁধে হাত রাখল, বলল,
“ও সময়ের বিপরীত প্রতিচ্ছবি—যাকে আমরা হারিয়েছি, ও সেগুলোর ছায়া হয়ে ফিরে আসে।”

ছায়ামূর্তিটা এবার গর্জন করে উঠল। তার চোখদুটো রুদ্রের দিকে তাকাতেই রুদ্র দেখতে পেল—নিজের জীবনের নানা মুহূর্ত: মা-বাবার ঝগড়া, একা পড়াশোনা, ভয়, ব্যর্থতা… সব!

রুমা চিৎকার করে বলল,
“ও তোমার ভয়কে ব্যবহার করে! নিজেকে ভুলে যেও না!”

রুদ্র চোখ বন্ধ করল। তার মনের ভেতর শুধু একটাই কণ্ঠ ভেসে উঠল—
“সত্যকে ভয় পেও না।”
চোখ খুলে সে ছায়ার দিকে এগিয়ে গেল, হাতে থাকা আয়নার টুকরোটা তুলে ধরে বলল,
“আমার সত্য আমি জানি। আর তোমার মুখোশ আমি খুলে ফেলব।”

আয়নার আলো ছায়ামূর্তির গায়ে পড়তেই সেটা কাঁপতে লাগল, তারপর এক বিকট শব্দে চুরমার হয়ে মিলিয়ে গেল বাতাসে। চারপাশে আলো ফিরে এল।

রুমা শান্ত গলায় বলল,
“তুমি পেরেছো। এখন সময় তোমায় ফিরিয়ে দেবে।”

রুদ্রের চোখ আবার ঘুমে ভরে এল। সে পড়ে গেল মাটিতে।

চোখ খুলতেই সে দেখল—নিজের সময়, নিজের ঘর, নিজের বিছানা। যেন সবটাই একটা স্বপ্ন ছিল।

কিন্তু টেবিলের ওপর আয়নার টুকরোটা এখনো আছে।

আর পাশে পড়ে থাকা একটা কাগজে লেখা—
“রুমা সময়ের বাইরে নেই… সে এখন তোমার ভেতরেই আছে।”