গল্পের নাম: "নন্দনের খোঁজে"
১২০০ বছর আগে, বাংলার এক অজানা জনপদে ছিল একটি ছোট রাজ্য—রুদ্রনগর। রাজ্যটি ছিল ঘন জঙ্গলে ঘেরা, যেখানে সিংহ আর বাঘের গর্জন নিয়মিত শোনা যেত। সেই রাজ্যে বাস করত এক তরুণ রাজপুত্র—আদি। তাঁর বয়স তখন মাত্র ১৭, কিন্তু সাহস আর মেধায় তিনি ছিলেন অনন্য।
রাজ্যের প্রবীণ মুনি কপিলাচার্য একদিন ভবিষ্যদ্বাণী করলেন—"রুদ্রনগর একদিন ধ্বংস হবে যদি কেউ নন্দনের সন্ধান না পায়।" কিন্তু কেউ জানত না এই নন্দন আসলে কী। কপিলাচার্য বললেন, নন্দন হচ্ছে এক মহাশক্তির প্রতীক—যা লুকিয়ে আছে দূর কোনো পর্বতের গুহায়, সময়ের পেছনে এক গুপ্ত পথে।
আদি প্রতিজ্ঞা করল—সে নন্দনের খোঁজে পাড়ি দেবে। সে পথে পা রাখল—জঙ্গল, নদী, পাহাড় পেরিয়ে, ভয়ংকর দানব ও মায়াবিনী পার হয়ে এক পুরাতন ধ্বংসপ্রায় নগরে পৌঁছাল। সেই নগর ছিল এক সময়ের জ্ঞান ও ঐশ্বর্যের কেন্দ্র—বিরাটপুর।
সেখানে সে আবিষ্কার করল, নন্দন হলো একটি পাণ্ডুলিপি—যা হাজার বছরের প্রাচীন জ্ঞান ধারণ করে। সেটি কেবল সৎ হৃদয়ের লোকই খুলতে পারত। আদি হৃদয় দিয়ে প্রার্থনা করল, আর সেই পাণ্ডুলিপি খুলে গেল। সে জ্ঞান নিয়ে ফিরে এল রাজ্যে, আর রুদ্রনগরে প্রতিষ্ঠা করল শান্তি, ন্যায় ও বিদ্যার নতুন যুগ।
গল্পটি আজও লোককথা হয়ে বাংলার কোনো কোনো গ্রামের ছেলেমেয়েরা শুনে থাকে—"যে খোঁজে, সে পায়—আলো বা অন্ধকারের মধ্যেই হোক না কেন।