গল্পের নাম: অপ্রকাশিত
পর্ব ৩: অপেক্ষার শব্দ
রুদ্র জানত চিঠিটা আয়েশা কখনো খুলবে না।
তবুও লিখেছিল।
কারণ কিছু অনুভব শুধু শব্দে বললেই শান্তি মেলে, উত্তর না পেলেও।
সেদিন ক্লাস শেষে চুপচাপ সে আয়েশার ডেস্কে চিঠিটা রেখে গিয়েছিল। তার কিছুদিন পরই আয়েশা গায়েব। ফোন অফ, সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ—কোনো যোগাযোগ নেই।
রুদ্র ভেবেছিল, হয়তো কোনোদিন দেখা হবে আবার, হয়তো আয়েশা বুঝবে, সবটা যা সে দেখেছিল, তা সত্যি নয়।
সেই ‘মেসেজ’-এর মেয়েটি ছিল রুদ্রর পুরোনো এক বন্ধুর বোন, যে ভুল করে তাকে মেসেজ করেছিল।
একটা ব্যাখ্যা দিলেই সব ঠিক হতে পারত—কিন্তু আয়েশা কোনো কথা শোনেনি।
দুই বছর কেটে গেছে।
রুদ্র এখন শহরের বাইরে এক ছোট চাকরিতে, একঘেয়ে জীবন, তবুও এক অদ্ভুত অপেক্ষা করে সে প্রতিদিন—কোনো এক সকাল, হয়তো আয়েশা আবার তার সামনে দাঁড়াবে, বলবে, “চিঠিটা পড়েছি।”
প্রতি সপ্তাহে সে এখনো একই ঠিকানায় যায়—সেই পুরোনো ক্যাফেতে। জানালার পাশে বসে, দুই কাপ কফি অর্ডার দেয়।
একটা তার, আর একটা যাকে সে এখনো ভালোবাসে—একজন যার কাছে আজো তার কিছু কথা অপ্রকাশিত।
#sifat10