31 안에 ·번역하다

গল্প: সময়ের দরজা
পর্ব ২: টাওয়ারের ছায়া

রাহিন ধীরে ধীরে এগিয়ে চলল টাওয়ারের দিকে। পায়ের নিচে মাটি নয়, যেন কাচের মতো স্বচ্ছ কিছু, যার নিচে দেখা যাচ্ছে সময়ের বিভিন্ন দৃশ্য—কোথাও যুদ্ধ, কোথাও জন্ম, কোথাও শেষ বিদায়। হঠাৎই মনে হল, এই জায়গাটা শুধু স্থান নয়, সময়ের স্তরগুলো যেন একসাথে মিলে গেছে এখানে।

টাওয়ারের কাছাকাছি আসতেই সে দেখতে পেল এক বৃদ্ধ বসে আছেন দরজার পাশে। তাঁর চোখদুটো ছিল অদ্ভুত—একটি যেন ভবিষ্যৎ দেখছে, অন্যটি অতীত।

“তুমি পকেট ঘড়িটা ঘুরিয়েছো,” বৃদ্ধ বললেন, “তুমি একজন সময়-ভ্রমণকারী এখন। কিন্তু প্রতিটা ভ্রমণের একটা মূল্য আছে।”

রাহিন ধাক্কা খেয়ে পিছিয়ে গেল। “আমি তো শুধু ঘড়িটা ঘুরিয়েছিলাম! আমি তো কিছু করিনি!”

“ঠিক করেছো,” বৃদ্ধ হেসে উঠলেন, “কিন্তু সময় কিছু না করাকেই প্রতিক্রিয়া বলে ধরে নেয়। এখন তোমার একটা পথ বেছে নিতে হবে—ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করো, নাকি সময়ের ভেতর সত্য খুঁজে বের করো।”

টাওয়ারের দরজা তখন ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছিল, আর তার ভিতর থেকে ভেসে আসছিল এক রহস্যময় আলো...

#sifat10