গল্প:সময়ের দরজা
পর্ব ৩: সময়ের ধাঁধা
রাহিন টাওয়ারের ভিতরে পা রাখতেই আলোটা ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। সামনে বেরিয়ে এল এক গোলাকার ঘর, যার দেয়ালজুড়ে টাঙানো শত শত ঘড়ি—সবকটার সময় ভিন্ন, কিছু পিছিয়ে, কিছু ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে। ঘরের মাঝখানে ভাসছে এক স্ফটিক গোলক, যেটার ভিতরে আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে তার নিজের চেহারা!
হঠাৎ করেই সেই কণ্ঠ আবার শোনা গেল, এবার আরও কাছ থেকে—
“এই গোলকে প্রতিফলিত হচ্ছে তোমার ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেটা নির্ধারিত নয়। তোমার প্রতিটি সিদ্ধান্ত একেকটা শাখা খুলে দেয় সময়ের মধ্যে।”
রাহিন বুঝে উঠতে পারছিল না কী করবে। ঠিক তখনই দেয়ালের এক ঘড়ি বিকট শব্দে বেজে উঠল, আর তার পাশে লেখা উঠল একটি প্রশ্ন:
“মা বাঁচবে, না পৃথিবী?”
সে স্তব্ধ হয়ে গেল। এই প্রশ্নের মানে কী? তার মা কি বিপদে আছে? নাকি এটা ভবিষ্যতের কোনো ইঙ্গিত?
“প্রতিটি উত্তর একটা দরজা খোলে, এবং একটা বন্ধ করে,” কণ্ঠটা আবার বলল।
“পছন্দ করো, রাহিন। সময় চিরকাল অপেক্ষা করে না।”
স্ফটিক গোলক ঝকঝক করে উঠল, আর ঘরের ভিতর হাওয়া ঘূর্ণি আকারে ঘুরতে শুরু করল। দরজাগুলো এক এক করে খুলতে ও বন্ধ হতে লাগল। রাহিন দাঁড়িয়ে রইল, এক অসম্ভব সিদ্ধান্তের মুখে...
#sifat10