31 w ·Translate

গল্প: সময়ের দরজা
পর্ব ৪: পছন্দের মূল্য

রাহিনের মাথায় যেন বিস্ফোরণ ঘটছিল। “মা বাঁচবে, না পৃথিবী?”—এই প্রশ্নটা শুধু কঠিন নয়, অমানবিক। মা–ই তো তাকে গড়ে তুলেছে, তার সবকিছুর ভিত্তি। আবার পৃথিবী… যদি সেটাই না থাকে, তবে মা-ই বা থাকবে কোথায়?

সে হেঁটে গেল স্ফটিক গোলকের সামনে। তার চোখে তখন দুটো দৃশ্য ভেসে উঠল—একটাতে তার মা হাসপাতালে, নিঃশেষ শ্বাস নিচ্ছেন, আরেকটাতে পৃথিবী ডুবে যাচ্ছে অদ্ভুত এক ছায়ায়, সব ধ্বংসের পথে।

“আমি কি এই দুইয়ের কোনোটাকেই আটকাতে পারি না?” সে চিৎকার করে উঠল।

কণ্ঠটা এবার শান্তভাবে বলল, “সময়ের নিয়ম একটাই—বেছে নাও, কারণ সবকিছু বাঁচানো যায় না।”

রাহিন চোখ বন্ধ করল। তার মনে পড়ল, মা সবসময় বলতেন, “মানুষ যদি শুধু আপনজন নিয়েই ভাবে, তাহলে ভবিষ্যতের পথ বন্ধ হয়ে যায়।”

সে গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে বলল, “আমি… পৃথিবীকে বাঁচাতে চাই।”

হঠাৎই ঘরে প্রবল আলো ছড়িয়ে পড়ল। সমস্ত ঘড়ি একযোগে থেমে গেল। স্ফটিক গোলক ফেটে গেল টুকরো টুকরো হয়ে।

একটা নতুন দরজা খুলল সামনে—তাতে লেখা,
“সত্যের সময় শুরু হলো।”

রাহিন জানত, সে এখন এমন এক পথে হাঁটবে, যেখান থেকে ফিরে আসা হয়তো আর সম্ভব নয়।

#sifat10