ব্যবসায়িক কাজে সকালের ফ্লাইটে ঢাকা চলে গেল।যাওয়ার পরে সাথীর সাথে একবার কথা হয়েছিল ফোনে। তারপর যেকোনো একটি কারণে সাথীর মন খারাপ হয়ে যায়। এবং সে অমরকে বলে অমর যেন আর কোনদিন কখনোই ওর সাথে কথা না বলে।এমনকি ফোন কল দিয়েও কখনো বিরক্ত না করে।এই এসএমএসটি দেখে অমরের মনে অশান্ত একটি ঢেউ দোলা দিতে লাগলো। এবং ভাবতে লাগলো কি তার অপরাধ -?
IMG_20230810_151126.jpg
ভাবছে আর সাথী কে কল দিচ্ছে। একের পর এক ১০ বার কল দেয়ার পরও সাথী কোন রেসপন্স করেনি। অমরৃ বেশ উতলা হয়ে পড়ল।অজানা অচেনা একটা কষ্ট ছুঁয়ে যেতে লাগলো তার বুকের ভেতর।তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে তার কষ্টগুলো।সে কি করবে কিছুই ভাবতে পারছে না।যাইহোক সে আবারো কল করে।এভাবে অসংখ্য বার কল করার পরেও যখন সাথী রেসপন্স করিনি।তখন সে আর নিজেকে কিছুতেই সংযত রাখতে পারছিল না।কেমন যেন একটা অশনি সংকেত অমরকে গ্রাস করতে লাগলো। সে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজে গিয়েছিল ঢাকায়।কাজটি শেষ করতে দুই-তিন দিন সময় লেগে যাবে।এমত অবস্থায় সে কাজে কিছুতেই মন বসাতে পারছিল না।সে আবারো চট জলদি এয়ারপোর্টে এসে, টিকিট করে বিকেলের মধ্যেই চলে এলো সাথীর বাসার গেটে।
গেটে এসে কলিংবেল বাজাচ্ছিল আর সাথী কে কল করছিল। এদিকে সাথী মন খারাপ করে বিছানায় জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় ছিল।কিন্তু সে কিছুতেই অমরের কল রিসিভ করছে না।এদিকে একের পর এক কলিং বেল বেজেই চলছে।অস্থির হয়ে ওড়না গায়ে দিয়ে ঝটপট সিঁড়ি বেয়ে নেমে গিয়ে গেট খুলেই দেখে অমর।অমরকে দেখে সাথী অপ্রস্তুত হয়ে যায়।কেমন যেন একটা ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে লাগলো দুজনেরই মনে।সাথে নির্বাক হয়ে অমরেরর দিকে তাকাচ্ছিল।অমরের চোখে মুখে যেন আগুন ঝরছে।চোখগুলো প্রচন্ড রকমের লাল হয়েছিল।বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছিল তার মনের ভেতর টর্নেডো বয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক মিনিট দুজনের মধ্যেই কোন ভাষা নেই। নির্বাক ভাবে একজন আরেকজনের দিকে চেয়ে আছে। বেশ খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে।এবার ভারী কন্ঠে অমর বলে উঠলো, আমার অপরাধ টা কি বলতে পারো-?তুমি কেন আমার ফোন ধরছো না কেন আমার এসএমএস সিন করছো না।তুমি কি জানো আমার ভিতরে কি হচ্ছে-?সাথীর মুখে আর কোন কথা নেই।
এবার কাঁদো কাঁদো হয়ে দুজন দুজনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো।ঠোঁট গুলো কেমন যেন কাঁপছিল। এটা কি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নাকি প্রেমের বহিঃপ্রকাশ।কেউ কাউকে বোঝাতে পারল না।আর নিজেরাও বুঝে উঠতে পারল না।