11 ב ·תרגם

তারা তিনজনই হ্যান্ডসাম

image
2 ד ·תרגם

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

2 ד ·תרגם

_____হয়তো আমি আর থাকবো না, তবে আমার এই লেখাটা তোমার সামনে পড়লে, কথা গুলো শুনে যেও, হয়তো তোমায় না বলা কিছু কথা তুমি জানতে পারবে।

-মানুষ বলে দুনিয়া নাকি শান্তির জায়গা নয়, কিন্তু আমি বলি তোমাকে পেয়ে তোমার ভালোবাসা পেয়ে যতোটা হাসিখুশি থাকতাম বিশ্বাস করো, আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী দামী সম্পদ হাসিখুশি এনে দিলেও আমি এতোটা সুখী হতাম না।

যতোটা হাসিখুশি তুমি আমাকে রেখেছিলে।

-আর তারপর যখন তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, আমার থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিলে কোনো কারন ছাড়ায়, তখন মনে হতো আমার থেকে যেনো আমার পুরো পৃথিবী টাই দূরে চলে যেতো।

-আর তখনি আমি বুঝতে পারলাম প্রিয় মানুষ কে ছাড়া থাকাটা কতটা কষ্টের হতে পারে। আর সেই কষ্ট টা তুমি দিলে আমাকে, তুমি ছেড়ে চলে গেলে আমাকে, তুমি তোমার কথা রাখোনি, ভালোবাসি বলেও তুমি আমাকে ভালোবাসো নি।

তোমাকে হারানোর ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছি আমি, তুমি আমার চোখের পানি দেখেছো বহুবার তবুও

তোমার মন গলেনি। তুমি আমার হবে বলেও তুমি আমার হওনি, জানিনা আর কতটা ভালোবাসলে কিভাবে ভালোবাসলে আমি তোমাকে পাইতাম তোমার মনপাইতাম। কত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করে গেছো তুমি আমার সাথে , আমি বুঝতে পারি নি তোমার অভিনয়।-এরপর আমার আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা মনে পরতে লাগলো, তারা বলেছিলো দুনিয়া শান্তির জায়গা নয়...!

দুনিয়া হচ্ছে কষ্টের জায়গা, দুনিয়া যদি শান্তির জায়গা হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কখনো জান্নাত বানাতেন না।

-আসলে আমি সেটা বুঝতে পারি নি..!!

-আমি তোমাকে ভালোবেসে আমার জান্নাত এই দুনিয়া কে বানিয়েছিলাম, তোমার মাঝে আমার সব সুখ শান্তি খুঁজেছিলাম। তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসছিলাম।

-তাই তো এই কষ্ট টা আমার পাওনা ছিলো, তবে এখন আর কোনো কিছু হারানোর ভয় নেই, আমি এক সময় যেটা হারানোর ভয় করতাম ব্যাস সেটা হারিয়ে ফেললাম !!

-তবে তুমি ভালো থেকো, তোমার ব্যক্তিগত জীবনে, অবশ্য তুমি ভালো থাকতে পারবে না, কারন জীবনে কাউকে কাঁদিয়ে কেউ কোনো দিন সুখী হতে পারে না,,

তবুও বলছি পারলে ভালো থেকো, আমার এক একটি দীর্ঘশ্বাস তোমার জীবনে অভিশাপ হয়ে যেনো না দাড়ায়,,!!

এখনো অনেক ভালোবাসি তোমাকে!😌❤️‍🩹

5 ד ·תרגם

বিবাহিত জীবনে একজন পুরুষের চাওয়া-পাওয়া খুব
জটিল কিছু নয়। অধিকাংশ সময়েই এগুলো মুখে আসে
না, বড় কোনো চাহিদার রূপ নেয় না, কিন্তু ভেতরে জমে
থাকে গভীরভাবে। পুরুষের ভালোবাসা শব্দে প্রকাশ পায়
না, যেমন তার চাওয়াগুলোও আসে নিঃশব্দে—হৃদয়ের

ভেতর থেকে, ছোট ছোট মুহূর্তের মাধ্যমে। সমাজ, সংসার,
কর্মক্ষেত্র—সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে হাঁটা পুরুষটির কাছে
স্ত্রীর কাছ থেকে চাওয়াগুলো আসলে খুবই সূক্ষ্ম, কিন্তু
অসাধারণভাবে আবেগময়।
সে চায়, দিনের শেষে কেউ তার অপেক্ষায় থাকুক। অফিস
থেকে ফিরেই দরজা খুলে যেন একটা চেনা গন্ধে মাখামাখি
হয়ে উঠুক চারপাশ—সেই ঘ্রাণ হয়তো রান্নাঘর থেকে আসা
ভাতের গন্ধ, বা স্ত্রীর চুলে লেগে থাকা নারকেল তেলের
ঘ্রাণ। সে চায়, কেউ এক কাপ চা এগিয়ে দিক, কোনো কথা
না বলে পাশে বসে থাকুক, কেবল চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে
দিক—“আমি জানি তুমি ক্লান্ত।” পুরুষটি জানে, এই এক
কাপ চা-ই সারাদিনের সমস্ত ধকল ভুলিয়ে দিতে পারে।

পুরুষেরা চায় প্রশংসা, যদিও সেটা তারা মুখ ফুটে বলে
না। কিন্তু স্ত্রীর মুখে একটি ছোট্ট কথা—“তুমি কত কষ্ট
করো আমাদের জন্য”, অথবা “তুমি ছাড়া আমি এত কিছু
পারতাম না”—এই একবাক্যই তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস
ফিরিয়ে দেয়। কখনো কখনো স্ত্রী রেগে যায়, অভিমান
করে মুখ গোমড়া করে বসে থাকে। কিন্তু সেসব অভিমানেও
থাকে এক মিষ্টি প্রেম—একটা মুঠোফোনের বার্তায় লেখা
থাকে, “তাড়াতাড়ি বাসায় এসো, রাগ তো চা বানিয়ে
ঠান্ডা করে ফেলেছি।” এই অভিমান, এই মিষ্টতা, পুরুষটি
আজীবন লালন করে হৃদয়ের গভীরে।
সকালবেলা অফিসে বের হবার সময়ের মুহূর্তটাও তার খুব
প্রিয়। স্ত্রীটি এসে শার্টের কলার ঠিক করে দেয়, বোতাম
লাগিয়ে দেয় নিঃশব্দে। তার নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায় স্বামীর
গলার নিচে। সদ্যস্নাত চুলের গন্ধে মোহিত হয়ে পড়ে সে।
আর তখনই যেন অনুভব করে, এই ছোট্ট মুহূর্তে পৃথিবীর
সমস্ত প্রেম তার জীবনে একত্র হয়েছে। এ এক অনুপম
ছোঁয়া, যা হাজার শব্দেও বোঝানো সম্ভব নয়।
আরো এক জিনিস পুরুষেরা চায়—ভরসা। এমন একজন
মানুষ, যার সামনে নিজের দুর্বলতাগুলো খুলে ধরতে পারে।
যে শুনবে, পাশে থাকবে, বিচার করবে না। স্রেফ বলবে
—“সব ঠিক হয়ে যাবে, আমি আছি।” এই "আমি আছি"
কথাটা পুরুষের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আশ্বাস। কারণ
বাইরে সে হয়তো শক্ত, সাহসী, দায়িত্ববান; কিন্তু ভেতরে সে
ঠিক একজন মানুষ, যে চায় একটু নির্ভরতা, একটু আশ্রয়।

7 ד ·תרגם

রাত তখন প্রায় ১টা। একটি শান্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রী একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে ঘরে ফিরলেন। সবার মতো তারাও ক্লান্ত, একটু বিশ্রামের অপেক্ষায়।
ঘরে ঢুকেই স্ত্রীর প্রথম কথাটি ছিল,
— “একটা অদ্ভুত গন্ধ পাচ্ছো? কেমন যেন গ্যাসের মতো…”
স্বামী মাথা নাড়িয়ে বললেন, “হ্যাঁ, আমি দেখি রান্নাঘরে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা।”
সে দৌড়ে গেল কিচেনে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে, অবচেতন মনে আলো জ্বালিয়ে ফেললো…
এক মুহূর্তেই সব শেষ।
একটা বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ এতটা তীব্র ছিল যে, ২০০ মিটার দূরের বাসিন্দারাও জানালার কাঁচ কেঁপে উঠতে দেখেছে।
ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ল।
পুরো বাড়িটা আগুনে পুড়ে ছাই।
স্বামী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। স্ত্রী কিছুদিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন…

এই দুর্ঘটনার কারণ?
রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস, আর সেই গ্যাসের মাঝে একটি সাধারণ সুইচ অন করা – যা তৈরি করেছিল ক্ষুদ্র একটি আগুনের ফুলকী (spark), আর সেটিই হয়ে উঠেছিল মৃত্যু-ফাঁদ।

গ্যাসের গন্ধ পেলে?
1. কখনোই কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ, ফ্যান বা ফ্রিজ চালু করবেন না।
কারণ এতে ইলেকট্রনিক স্পার্ক হতে পারে।
2. সব জানালা-দরজা খুলে দিন। যেন গ্যাস বের হয়ে যায়।
3. পারলে মেইন সুইচ অফ করে দিন।
4. সতর্কভাবে বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে নিন।

আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে কারো জীবন, কারো পরিবার।

1 ב ·תרגם

#একটা_ছোট_ভুল #একটা_পরিবার_শেষ
রাত তখন প্রায় ১টা। একটি শান্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রী একটি সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে ঘরে ফিরলেন। সবার মতো তারাও ক্লান্ত, একটু বিশ্রামের অপেক্ষায়।
ঘরে ঢুকেই স্ত্রীর প্রথম কথাটি ছিল,
— “একটা অদ্ভুত গন্ধ পাচ্ছো? কেমন যেন গ্যাসের মতো…”
স্বামী মাথা নাড়িয়ে বললেন, “হ্যাঁ, আমি দেখি রান্নাঘরে গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা।”
সে দৌড়ে গেল কিচেনে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে, অবচেতন মনে আলো জ্বালিয়ে ফেললো…
এক মুহূর্তেই সব শেষ।
একটা বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ এতটা তীব্র ছিল যে, ২০০ মিটার দূরের বাসিন্দারাও জানালার কাঁচ কেঁপে উঠতে দেখেছে।
ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ল।
পুরো বাড়িটা আগুনে পুড়ে ছাই।
স্বামী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন। স্ত্রী কিছুদিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন…

এই দুর্ঘটনার কারণ?
রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস, আর সেই গ্যাসের মাঝে একটি সাধারণ সুইচ অন করা – যা তৈরি করেছিল ক্ষুদ্র একটি আগুনের ফুলকী (spark), আর সেটিই হয়ে উঠেছিল মৃত্যু-ফাঁদ।

গ্যাসের গন্ধ পেলে?
1. কখনোই কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ, ফ্যান বা ফ্রিজ চালু করবেন না।
কারণ এতে ইলেকট্রনিক স্পার্ক হতে পারে।
2. সব জানালা-দরজা খুলে দিন। যেন গ্যাস বের হয়ে যায়।
3. পারলে মেইন সুইচ অফ করে দিন।
4. সতর্কভাবে বাড়ি থেকে সবাইকে বের করে নিন।

আপনার একটি শেয়ার বাঁচাতে পারে কারো জীবন।।

Coach Badrul Mohammad Badrul Hasan

image
1 ב ·תרגם

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আপনি তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বোর্ড। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড
​তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র এবং উল্লেখযোগ্য কওমি মাদ্রাসা বোর্ড। এটি দেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসাকে এর অধিভুক্ত করে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে।
​১. প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
​প্রতিষ্ঠা: তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নির্দিষ্ট কিছু উলামায়ে কেরামের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো কওমি মাদ্রাসার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা পদ্ধতিকে রক্ষা করা এবং শিক্ষার্থীদের ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ করা।
​উদ্দেশ্য: এই বোর্ডের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ইসলামিক জ্ঞান, বিশেষ করে কুরআন, হাদিস, ফিকহ এবং আরবি ভাষার গভীর জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা। এটি কওমি মাদ্রাসার নিজস্ব স্বকীয়তা ও দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি অক্ষুণ্ণ রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
​২. কার্যক্রম ও বৈশিষ্ট্য:
​পরীক্ষা পরিচালনা: তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে নির্দিষ্ট স্তরের পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও জ্ঞান যাচাই করা হয়।
​সিলেবাস ও কারিকুলাম: এই বোর্ড ঐতিহ্যবাহী কওমি সিলেবাস অনুসরণ করে, যেখানে কুরআন, হাদিস, তাফসীর, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, আরবি সাহিত্য ও ব্যাকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়াও, বাংলা, গণিত এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ও পড়ানো হয়।
​মাদ্রাসা অধিভুক্তি: তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া বোর্ডের অধীনে বেশ কিছু কওমি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এই বোর্ড সেসব মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মান নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে।
​শিক্ষকদের মান উন্নয়ন: বোর্ড শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে, যাতে তারা আধুনিক এবং কার্যকর পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করতে পারেন।
​৩. আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক:
তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড হলো আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর আওতাভুক্ত ছয়টি মূল কওমি বোর্ডের মধ্যে অন্যতম। যেহেতু দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার সনদকে সরকার মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান দিয়েছে এবং এই পরীক্ষা আল-হাইআতুল উলয়া কর্তৃক পরিচালিত হয়, তাই তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়াও এই কেন্দ্রীয় বোর্ডের অংশীদার হিসেবে কাজ করে। এর অধীনে পরিচালিত দাওরায়ে হাদিস স্তরের শিক্ষার্থীরা আল-হাইআতুল উলয়ার অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সনদ লাভ করে।
​৪. প্রভাব ও অবদান:
তানজিমুল মাদারিস সিদ্দিকীয়া বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি অসংখ্য আলেম ও দ্বীনী শিক্ষাবিদ তৈরিতে অবদান রাখছে, যারা সমাজে ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিকতার প্রচারে কাজ করছেন।
​আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে।

1 ב ·תרגם

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
​সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
​নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
​উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
​বংশ: বনু হুজাইল।
​ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
​বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
​ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
​কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
​ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
​ইবাদত ও বিনয়
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
​জিহাদে অংশগ্রহণ
​তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
​মৃত্যু
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

1 ב ·תרגם

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
​সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
​নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
​উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
​বংশ: বনু হুজাইল।
​ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
​বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
​ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
​কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
​ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
​ইবাদত ও বিনয়
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
​জিহাদে অংশগ্রহণ
​তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
​মৃত্যু
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

1 ב ·תרגם

হযরত আলী (রাঃ) এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তিনি ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চাচাতো ভাই ও জামাতা। তাঁর জীবনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক এখানে তুলে ধরা হলো।
​প্রাথমিক জীবন ও ইসলাম গ্রহণ
​হযরত আলী (রাঃ) প্রায় ৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মহানবী (সাঃ)-এর চাচা আবু তালিবের সন্তান। মহানবী (সাঃ) ছোটবেলায় তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং লালন-পালন করেন। যখন মহানবী (সাঃ) নবুয়ত প্রাপ্ত হন, তখন হযরত আলী (রাঃ) বালক বয়সেই ইসলাম গ্রহণ করেন। বলা হয়ে থাকে, তিনি ছিলেন পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী।
​মহানবী (সাঃ)-এর সঙ্গে সম্পর্ক
​হযরত আলী (রাঃ) সবসময় মহানবী (সাঃ)-এর সঙ্গে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের রাতে মহানবী (সাঃ)-এর বিছানায় শুয়ে থাকার ঘটনাটি তাঁর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সাহসিকতার পরিচয় বহন করে। এটি তাঁকে মহানবী (সাঃ)-এর প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের প্রমাণ দেয়। তিনি মহানবী (সাঃ)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহ করেন এবং তাঁদের ঘরে হযরত হাসান (রাঃ) ও হযরত হুসাইন (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেন।
​খিলাফত ও শাসনকাল
​হযরত উসমান (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে হযরত আলী (রাঃ) খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর খিলাফতের সময়কাল ছিল প্রায় পাঁচ বছর। এই সময় মুসলিম বিশ্বে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল।
​উটের যুদ্ধ: তাঁর খিলাফতের শুরুর দিকেই একটি বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা 'উটের যুদ্ধ' নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সাথে হযরত আলী (রাঃ)-এর বাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
​সিফফিনের যুদ্ধ: মুয়াবিয়া (রাঃ) হযরত উসমান (রাঃ)-এর হত্যার বিচার চেয়েছিলেন এবং হযরত আলী (রাঃ)-এর নেতৃত্বের বিরোধিতা করেন। এর ফলে ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিফফিনের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে কোনো পক্ষই চূড়ান্ত জয় লাভ করতে পারেনি।
​খারিজিদের উত্থান: সিফফিনের যুদ্ধের পর, যে সকল অনুসারী হযরত আলী (রাঃ)-এর সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না, তারা আলাদা হয়ে 'খারিজি' নামে একটি নতুন দল গঠন করে।
​শাহাদাত
​হযরত আলী (রাঃ)-এর খিলাফতের শেষ দিকে খারিজিদের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। ৬১ বছর বয়সে ৪০ হিজরীর ১৭ই রমজান (৬৬১ খ্রিস্টাব্দ), কুফার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করার সময় আবদুর রহমান ইবনে মুলজাম নামের এক খারিজি তাঁকে বিষমাখা তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে। দুই দিন পর তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
​হযরত আলী (রাঃ) তাঁর জ্ঞান, সাহস, ন্যায়বিচার এবং ইসলামি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্য ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।

1 ב ·תרגם

মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল এক অসাধারণ যাত্রা, যা মানবজাতির জন্য জ্ঞান, করুণা এবং ন্যায়বিচারের এক চিরন্তন উৎস। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
​জন্ম ও শৈশবকাল
​৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ গোত্রে মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ তাঁর জন্মের আগেই মারা যান। তাই তাঁর নামকরণ করেন দাদা আব্দুল মুত্তালিব। ছয় বছর বয়সে তিনি তাঁর মা আমিনা-কেও হারান। এরপর তাঁর দাদা এবং পরে চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে তিনি বড় হন। এতিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সৎ ও বিশ্বস্ত, যার কারণে মক্কার মানুষ তাঁকে "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) উপাধি দিয়েছিল।
​নবুয়ত লাভ ও ইসলাম প্রচার
​মুহাম্মদ (সা.)-এর ৪০ বছর বয়সে, তিনি মক্কার হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকাকালীন ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহী নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমে তিনি নবুয়ত লাভ করেন এবং মানবজাতিকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাকার দায়িত্ব পান।
​প্রথমে তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তাঁর প্রথম অনুসারীরা ছিলেন স্ত্রী খাদিজা (রা.), বন্ধু আবু বকর (রা.), এবং চাচাতো ভাই আলী (রা.)। তিন বছর পর তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করলে মক্কার কুরাইশরা তাঁর বিরুদ্ধে চলে যায়। তারা তাঁর অনুসারীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এই দুঃসময়েও তিনি ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন।
​হিজরত ও মদিনায় জীবন
​কুরাইশদের অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন আল্লাহর নির্দেশে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। এই হিজরতের ঘটনা মুসলিমদের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবং এখান থেকেই হিজরি সনের গণনা শুরু হয়।
​মদিনায় তিনি একটি আদর্শ মুসলিম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মদিনা সনদ নামে একটি চুক্তি তৈরি করেন, যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান। এর মাধ্যমে মুসলিম, ইহুদি এবং অন্যান্য গোত্রগুলো শান্তিপূর্ণভাবে coexist করতে শুরু করে। তিনি মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুধু ইবাদতের কেন্দ্র ছিল না, বরং একটি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত।
​যুদ্ধ ও বিজয়
​ইসলামের বিরুদ্ধে কুরাইশদের শত্রুতা চলতে থাকে এবং এর ফলস্বরূপ বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের প্রথম বড় বিজয়, যেখানে মুসলিমরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্‌র সাহায্যে জয়লাভ করে। এরপর উহুদ এবং খন্দকের মতো আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ হয়।
​৬৩০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি দশ হাজার সাহাবীকে নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। এই বিজয় ছিল অসাধারণ, কারণ তিনি প্রতিশোধের বদলে মক্কার সকল অধিবাসীকে ক্ষমা করে দেন। তিনি কাবা শরিফ থেকে সব মূর্তি সরিয়ে দিয়ে ইসলামের পবিত্রতা পুনরুদ্ধার করেন।
​বিদায় হজ্জ ও ইন্তেকাল
​মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম পুরো আরব উপদ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিদায় হজ্জ সম্পন্ন করেন এবং সেখানে তিনি তাঁর বিখ্যাত ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি মানবজাতির প্রতি করুণা, সাম্য ও ন্যায়ের এক চিরন্তন বার্তা রেখে যান।
​এরপর তিনি মদিনায় ফিরে আসেন এবং ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ইসলাম সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষা আজও কোটি কোটি মানুষের জীবনকে আলোকিত করে চলেছে। মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল এক পরিপূর্ণ আদর্শ, যা মানবজাতিকে সৎ, সাহসী এবং দয়ালু হওয়ার শিক্ষা দেয়।