"পেত্নীর পানের বাটা"
নিমতলির এক ছোট্ট গ্রামে ছিল এক বিধবা বুড়ি, নাম তার ফজিলা খালা। তার একটাই সখ—পান খাওয়া। সারাদিন বসে থাকত বটতলার নিচে, আর একটা রূপার বাটায় পান মেখে খেত।
লোকজন বলত, খালার পানের বাটাটা নাকি "ভূতের ধন", বউমা মারা যাওয়ার আগে দিয়ে গেছিল। রাত হলেই বাটার ভিতর থেকে আসে হালকা হাসির আওয়াজ!
একদিন গ্রামে এল দুই চোর—বাবুল আর হাসু। তারা ঠিক করল, বুড়ির বাটা চুরি করে বেচে দেবে শহরে।
রাতে ফজিলা খালার ঘরে ঢুকে তারা বাটাটা চুরি করল। কিন্তু যতক্ষণ সে বাটা হাতে, তাদের চোখের সামনে দেখা যেতে লাগল অদ্ভুত সব জিনিস—একটা নারীর ছায়া পান মেখে হাসছে, গাছে ঝুলছে উল্টো করে রাখা চটি, আর পেছন থেকে ভেসে আসছে, “পান নেবে বাবু?”
তারা আতঙ্কে বাটাটা ফেলে দৌড় দিল।
পরদিন সকালে দেখা গেল, বাটাটা ফিরে এসেছে ফজিলা খালার কোলঘরের মাঝখানে। আর তার পাশে একটা নতুন পানপাতা—এতটা তাজা, যেন স্বর্গ থেকে পাঠানো!
ফজিলা খালা শুধু হেসে বলল,
“পান শুধু খাওয়া জিনিস না দোস্ত, এটা স্মৃতি... যাদের মনে কষ্ট থাকে, তাদের কাছে সে নিজেই ফিরে আসে।”
#sifat10