শাস্তির ফেরেস্তা বললেন, এই লোক আমাদের, কারণ সে এখনো তওবা করেনি/কবুল হয়নি! তার সদিচ্ছা ছিল কিন্তু সে সেখানে (অন্য শহরে) পৌছুতে পারেনি। রহমতের ফেরেস্তা বললেন, না, সে তওবা করেছে এবং সে সেই শহরে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছে! তো দুই দলের ফেরেস্তারাই বিতর্ক করছিল যে কারা সেই ব্যক্তির রূহ নিবে।
তাই আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা এই বিতর্ক দূর করার জন্য তাদের কাছে আরেকজন ফেরেস্তা পাঠালেন। তিনি তাঁদের বললেন, সে যেখানে মারা গিয়েছে সেখান থেকে উভয় শহরেরই দূরত্ব পরিমাপ কর। যদি তোমরা তাকে তার নিজের শহরের কাছে পাও তবে সে জাহান্নামী আর যদি সে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) নিকটবর্তী হয় তবে সে জান্নাতী!
মুহাম্মাদ (স) বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সে নিজের শহরের নিকটবর্তী ছিল!!” তাহলে তার স্থান কোথায় হবে? জাহান্নাম!!
কিন্তু মুহাম্মাদ (স) বলেন, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা জমিনকে নির্দেশ দেন, তার (লোকটা) এবং তার নিজের শহরের মধ্যকার দূরত্বকে বিস্তৃত করার এবং তার (লোকটা) ও অন্য শহর (ভাল লোকদের) মধ্যকার দূরত্বকে সংকুচিত করার!! [অর্থাৎ তাঁর দেহ মনে হবে ভাল শহরের কাছে, কিন্তু সে মারা গেছে নিজের শহরের কাছে]
যখন ফেরেস্তারা মাপতে আসলেন তখন তারা সেই ব্যক্তিকে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) দিকে নিকটবর্তীরূপে পেলেন এবং আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা তাকে ক্ষমা করলেন এবং তাকে জান্নাতবাসী করলেন। [সুবহানাল্লাহ]
{সহিহ বুখারি হাদিস নং ৩৪৭০, বই নং ৬০ এর ১৩৭, USC-MSA web (English) reference সহিহ বুখারি Vol. 4, Book 55, Hadith 676}
আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে তিনি ঐ ব্যক্তিকে ভাল শহরের নিকটে মৃত্যু দিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি কেন তাকে তার নিজের শহরের দিকে বেশি নিকটবর্তী করে মৃত্যু দিলেন? কারণ, তিনি আমাদের দেখাতে চেয়েছেন যে তিনি কতটা আগ্রহের সাথে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে চান। আমাদের শুধু আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তওবা করতে হবে।
কিন্তু, সেই তওবা হতে হবে মন থেকে। পুনরায় সেই পাপ না করার দৃঢ়তা নিয়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে রাখুন। আমিন