লজ্জা (০৪) হায়দার এসেছে সুরঞ্জনের বাড়িতে
৪ক.

হায়দার এসেছে সুরঞ্জনের বাড়িতে। কেমন আছে জানতে নয়, স্রেফ আড্ডা দিতে। হায়দার আওয়ামি লিগ করে। একসময়

হায়দার এসেছে সুরঞ্জনের বাড়িতে। কেমন আছে জানতে নয়, স্রেফ আড্ডা দিতে। হায়দার আওয়ামি লিগ করে। একসময় সুরঞ্জন তার সঙ্গে ছোটখাটো বাণিজ্য করতে সেমেছিল, পরে উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে বাদ দিতে হয়েছে পরিকল্পনাটি। হায়দারের প্রিয় বিষয় রাজনীতি। সুরঞ্জনেরও বিষয় ছিল এটি, আজকাল অবশ্য রাজনীতি প্রসঙ্গ সে একেবারেই পছন্দ করে না। এরশাদ কি করেছিল, খালেদা কি করছে, হাসিনা কি করবে: এসব চিন্তায় মাথা নষ্ট না করে চুপচাপ শুয়ে থাকাই ঢের ভাল। হায়দার এক-একই কথা বলে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে সে লম্বা একটি বক্তৃতা দেয়।

 

–আচ্ছা হায়দার, সুরঞ্জন তার বিছানায় আধশোয়া হয়ে প্রশ্ন করে–তোমাদের রাষ্ট্রের বা সংসদের কি অধিকার আছে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবার?

 

হায়দার চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে দিয়ে সুরঞ্জনের লাল মলাটের বইগুলোর পাতা ওল্টাচ্ছিল, শুনে ঠা ঠা করে হেসে ওঠে। বলে–তোমাদের রাষ্ট্রের মানে? রাষ্ট্র কি তোমারও নয়?

 

সুরঞ্জন ঠোঁট চেপে হাসে। সে ইচ্ছে করেই আজ ‘তোমাদের’ শব্দটি হায়দারকে উপহার দিয়েছে। সে হেসেই বলে–আমি কিছু প্রশ্ন করব, প্রশ্নগুলোর জবাব তোমার কাছে চাইছি।

 

হায়দার সোজা হয়ে বসে বলে—তোমার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে–না। অর্থাৎ রাষ্ট্রের কোনও অধিকার নেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবার।

 

সুরঞ্জন সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে প্রশ্ন করে–রাষ্ট্রের বা সংসদের কি অধিকার আছে


Rx Munna

446 Blog indlæg

Kommentarer

📲 Download our app for a better experience!