আজকের পৃথিবীতে প্রযুক্তি যতই এগিয়ে যাক না কেন, মানুষ যতই আধুনিক হোক, আমরা ধীরে ধীরে যেন ভুলে যাচ্ছি—মানুষ হবার প্রকৃত অর্থ কী। মানুষ হবার অর্থ কেবল জন্মসূত্রে “মানুষ” পরিচয় পাওয়া নয়, বরং একজন মানুষের মধ্যে থাকা উচিত মনুষ্যত্ব, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ, ভালোবাসা আর মানবিক গুণাবলি।
মনুষ্যত্ব এমন এক গুণ যা একজন মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে। এটা এমন এক আলো, যা অন্ধকার সমাজে দিকনির্দেশনা দেয়। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়ানো, অসহায়কে সাহায্য করা, কারো কষ্টে সাড়া দেওয়া—এসবই মনুষ্যত্বের প্রকাশ।
দুঃখজনকভাবে আজ আমরা এমন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে মানুষ নিজের স্বার্থে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যের দুঃখে ব্যথিত হবার বদলে অনেকেই যেন ঠাণ্ডা চোখে চেয়ে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কাঁদছে, সাহায্য চাইছে—তাকে আমরা শুধু “লাইক” দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাই।
মনুষ্যত্ব মানে বড় কিছু না—একটা ছোট ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে এক মুঠো খাবার দেওয়া, একজন পথশিশুকে একটু হাসি উপহার দেওয়া। এসব ছোট ছোট কাজই গড়ে তোলে একজন প্রকৃত মানুষকে।
যদি আমরা সত্যিই এই পৃথিবীকে একটু ভালো রাখতে চাই, তবে আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে—আমার ভেতরে কি মনুষ্যত্ব আছে? আমি কি কেবল “মানুষ” না কি একজন “মানবিক মানুষ”?