শাশুড়ির বিয়ে

শাশুড়ির বিয়ে নিজের ঠিক করা পাত্রের সাথে

আজ আমার শাশুড়ির বিয়ে। কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছি আমি। আজ বউয়ের মায়ের বিয়ে। ভাবছেন বউয়ের আপন মা কিনা! হ্যাঁ, ওর আপন মায়েরই বিয়ে। আমি নিজেই বিয়ে দিচ্ছি শাশুড়িকে। আমার বয়স সাতাশ বছর। বউয়ের বয়স ঊনিশ। আর আমার শাশুড়ির বয়স চৌত্রিশ। মাত্র পনেরো বছরের ব্যবধান মা-মেয়ের। আমার বউ লিসা হচ্ছে ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারায় লিসা। এরপরে শাশুড়ি আর বিয়ে করেননি। একমাত্র মেয়েকে নিয়েই ছিল তার জীবন। বিভিন্ন পুরুষ লোক তাকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করেছে। বিয়ে করতে চেয়েছে অনেকেই। কিন্তু মেয়েকে নিয়েই তিনি পার করেছেন জীবনের কঠিন সময় গুলো। মেয়ের ক্ষতি হতে পারে ভেবে থেকে গেছেন নিঃসঙ্গ। আমার শাশুড়ি দেখতে নজরকাড়া সুন্দরী। পুরুষরা যে ওনাকে বিরক্ত করেছে এটা মিথ্যে নয়। 

 

আগেই বলেছি আমার বিয়ের বয়স কয়েক মাস। আম্মা আমার শাশুড়ির উপর ভীষণ বিরক্ত। কারণ আমার শাশুড়ির সাথে দেখা হলেই আব্বা খুব আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যায় আলাপ করতে। আবার চাচারাও দূরে সরতে চায় না। এসব দেখে মা জননী আমার ভীষণ ক্ষি'প্ত। সব দোষ আমার শাশুড়িকেই দিতে চান। আমি শাশুড়িকে দোষ দেই না। ভদ্রমহিলা বোরকা হিজাব পড়েন। শুধু ফেসটাই খোলা থাকে। ওই ফেস দেখেই আমার বাপ,চাচাসহ সহ বিভিন্ন পুরুষরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আমার বাপ,চাচদের চরিত্র খা'রাপ নয়। কিন্তু সুন্দরী বেয়াইনকে দেখে একটু খোশগল্প করতে পছন্দ করেন হয়তো। এসব দেখে আমার আম্মা,চাচি সবাই বিরক্ত। শাশুড়ি নিজে থেকে কখনো এগিয়ে আসেন না পুরুষ লোকের সাথে আলাপ করতে। পুরুষ লোকেরাই ঘুরে ঘুরে তার কাছে আসেন। আমার আম্মারও দোষ নয়। ভদ্রমহিলা ভীষণ ভালোবাসেন তার স্বামীকে। বহু যত্নে গড়া সংসারটাও একদম টোনাটুনির। এই যে, আমার শাশুড়িকে দেখে আব্বা বারবার এগিয়ে এসে আলাপ করেন! এসব দেখে আম্মার খা'রাপ লাগারই কথা। যেকোনো নারীরই খা'রাপ লাগে।

 

সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে আমার ফুফাকে নিয়ে। মেয়ে বিয়ে দেবার পর থেকে আর শাশুড়ি ঘরে একাই থাকেন। এই কয়েকমাসে দশবারের বেশি ফুফা গিয়েছেন আমার শাশুড়ির সাথে সাক্ষাৎ করতে। ভদ্রমহিলা সাথে সাথে আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন ব্যাপারগুলো। দু'বার ঘরে লোক ছিলো। তিনিও দরজা খুলেছেন ফুফাকে। অন্যান্যবার সহজে খুলেননি। দুবার তো শাশুড়ির ফোন পেয়ে আমি নিজে গিয়ে স্পটে হাজির হয়েছি। কয়েক মিনিট থেকে ফুফাকে নিয়ে এসেছি। ফুফা আগে থেকেই ল'ম্পট। আমি বিশ্বাস করি আমার শাশুড়ি দু'শ্চরিত্রা নয়। কারণ দু'শ্চরিত্রা হলে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে ফুফার কথা জানাতেন না। আবার আমি বিয়ের আগেও খোঁজ নিয়েছি ওদের মা-মেয়ের ব্যাপারে। চরিত্র সংক্রান্ত কোন দোষি খুঁজে পাইনি। তবে শুনেছি, অনেক পুরুষই উনাকে বিরক্ত করেছে সুন্দরী হবার কারণে। 

 

আমার ফুফার চরিত্র সম্পর্কে আগেও দু একবার ব'দনাম উঠেছিল। এটা আমাদের ফ্যামিলির অনেকেই জানে। কিন্তু ফুফু বিশ্বাস করে না। বর্তমানে ঝামেলা হচ্ছে আমার বউকে নিয়ে। আমি যদি আম্মার কাছে বলতে যাই যে ফুফা আমার শাশুড়িকে বিরক্ত করে। তাহলে আম্মা হয়তো আমার শাশুড়িকেই দোষ দিবে। কারণ আব্বাও যে ঐ ভদ্রমহিলার সাথেই গল্প করতে এগিয়ে যায়! আবার ফুফুও এসে আম্মার সাথে জোট পাকাবে। বলবে আমার শাশুড়িরই সব দোষ। ফুফু বরাবরই তার স্বামীকে ভালো মানুষ মনে করে। অগাধ বিশ্বাস স্বামীর প্রতি। কিছু বলতে গেলে সবাই আমার নতুন সংসারে অশান্তি করবে। আমার বউয়ের সাথে সবাই মিলে খা'রাপ ব্যবহার করবে। এসব ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম শাশুড়িকে বিয়ে দেব। তাহলে ভদ্রমহিলা পর পুরুষের কুনজর থেকে বাঁচবে। আবার তার বাকি জীবনটাও সুখের হবে। সারা জীবন তো দুঃখে দুঃখেই গেছে। বাকি জীবনটা সুখে কা'টাক!

 

আমার বউ প্রথমে রাজি হয়নি। মায়ের বিয়ে হয়ে গেলে কার সাথে একটু নিরিবিলি,একটু গোপনে সময় কা'টাবে! মায়ের কাছে গিয়ে কি থাকতে পারবে আগের মত করে? যে বাড়িতে বিয়ে হবে সে বাড়ির লোক কি ওর আসা-যাওয়া পছন্দ করবে? এমন অনেক কিছুই বললো। সবশেষে আমাকে বললো, 'মায়ের বিয়ে হয়ে গেলে তো তোমাদের বাড়ি আসলেও সমস্যা হবে! তখন সবাই আমার মা'কে বলবে, 'মাইয়া বিয়া দিছে! তারপর নিজে যায়া একটা বিয়া বইছে! কোন মুখ নিয়া আইছে মাইয়ার বাড়ি?'

 

আমি বউকে বুঝিয়েছি, ' সবাইকে বলবো আমি বিয়ে দিচ্ছি শাশুড়িকে। আমি স্বীকারোক্তি দিলে আমার বাড়িতে আসতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। কারণ আমি নিজেই বিয়েটা দেবো।'

 

তারপরেও আমার বউ রাজি হতে চায় নি। বারবার আমাকে বলছে, ' বিয়ে হয়ে গেলে মায়ের সাথে আমার দূরত্ব তৈরি হবে! যখন তখন আর যেতে পারবো না মায়ের কাছে!'

 

আমি বুঝিয়ে বলছি, 'যদি তোমার মায়ের শ্বশুরবাড়িতে যেতে না দেয়, তাহলে হোটেল ভাড়া করে নেবো। তোমার মায়ের সাথে হোটেলে বসে কথা বলবে!'

 

আমার বউ বলল, 'মানুষ বলবে বুড়ো বয়সে বিয়ের দরকার কি?'

 

আমি বুঝিয়েছি, 'তোমার মায়ের বয়স মাত্র চৌত্রিশ। এত বছর তোমার জন্য কষ্ট করেছে। তোমার সুখের কথা ভেবে সঙ্গীহীন থেকেছে। বাকি জীবনটা সুখে থাকুক!' 

 

অবশেষে আমার বউ সম্মতি দিল। এরপরে দুজন মিলে গেলাম আমার শাশুড়ির কাছে। ভদ্রমহিলা কোনোভাবেই রাজি হন নি দ্বিতীয় বিয়ের ইস্যুতে। অবাক ব্যাপার হচ্ছে আমার আম্মার কাছে আমি বলেছিলাম যে শাশুড়িকে বিয়ে দিতে চাই। তখন আম্মাই আমাদেরকে সাহায্য করলো। আম্মা অনেক বুঝিয়েছেন তার বেয়াইনকে। বারবার বুঝিয়েছেন দ্বিতীয় বিয়ের জন্য। আম্মার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টাতেই ভদ্রমহিলা রাজি হলেন দ্বিতীয় বিয়েতে। শাশুড়ির বিয়ের পাত্র বিপত্নীক। অ্যা'ক্সিডেন্টে স্ত্রী-সন্তান মা'রা গেছে। আমার আম্মা নিজেই খুঁজে বের করেছেন এই পাত্র। আমার শাশুড়িও খুশি। নির্ঝঞ্ঝাট ভবিষ্যৎ হবে। প্রথমেই বলেছি আজ বিয়ে আমার শাশুড়ির। বিয়েটা হচ্ছে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে। আম্মা নিজে পার্লারে নিয়ে বেয়াইনকে বউ সাজিয়ে এনেছেন। হবু বর ব্যাংকার। বরেরও বদনে ভীষণ খুশির আবেশ। বিয়ে পড়ানো শুরু হবে। এরমধ্যেই এক অপরিচিত লোক দৌড়ে এসে বললেন, 'আগে ছবিগুলা দেইখা লন! তারপর বিয়ার চিন্তা কইরেন!'

 

আমার সমস্ত শরীরে ঘাম ঝরতে শুরু করল। এখানে আমার নিজের ফ্যামিলির লোকজনই বেশি। শাশুড়ির যদি সত্যিই চরিত্র খা'রাপ হয়, তাহলে তো আজ বিয়ে ভেঙে যাবেই, আবার আমার বউকেও সবাই কত কি বলবে! আমার ভাবনার মাঝেই শাশুড়ি উঠে দুটো চ'ড় মা'রলো আমার গালে। গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করলো, 'এগুলো কি?'

ছবিগুলো দেখে আমি চরম বিস্মিত। কারণ ছবিগুলো আমারই গোপন ছবি 


Blog indlæg

Kommentarer