বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্ক

ভালোবাসা আর বিশ্বাসে গড়া সম্পর্ক

বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্ক পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও অমূল্য সম্পর্কগুলোর একটি। এই সম্পর্কের মূলে থাকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, আত্মত্যাগ এবং জীবনের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করার প্রয়াস। বাবা-মা সন্তানের জন্মের আগের মুহূর্ত থেকে ভবিষ্যৎকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। সন্তানরা বড় হতে হতে বাবা-মার যত্ন, শিক্ষা, আদর্শ ও জীবনদর্শনকে আত্মস্থ করে একদিন সমাজের অংশ হয়ে ওঠে। এ সম্পর্ক কেবল রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ নয়, বরং মানসিক ও আত্মিক বন্ধনে পূর্ণ।

বাস্তব জীবনের অনেক উদাহরণেই দেখা যায় বাবা-মার আত্মত্যাগের গল্প। গ্রামের এক গরিব কৃষক প্রতিদিন ভোরে মাঠে কাজ করেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে শুধু তার সন্তানের পড়াশোনার খরচ জোগাতে। সন্তান বড় হয়ে যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তার চোখের জলই হয়ে ওঠে বাবা-মার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আবার শহরের এক মা নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে সন্তানের হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন, পড়াশোনার জন্য রাত জেগে তার পাশে থেকেছেন। সন্তানের প্রথম সফলতার হাসিতে তিনি খুঁজে পেয়েছেন জীবনের সমস্ত আনন্দ।

এই সম্পর্কের সৌন্দর্য হলো—সন্তান যত বড়ই হোক, বাবা-মার কাছে সে সবসময়ই ছোট। সন্তানের সফলতায় বাবা-মা গর্বিত হন, ব্যর্থতায় কাঁধে হাত রেখে সাহস দেন। আধুনিক সমাজে কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় সম্পর্কের উষ্ণতা কমে যেতে দেখা যায়, তবে সত্যিকার অর্থে বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্ক কখনো ভাঙার নয়। দায়িত্ব, সম্মান, ভালোবাসা এবং পরস্পরের বোঝাপড়া এই সম্পর্ককে অটুট রাখে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে বাবা-মাকে সম্মান করা, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটানোই হলো প্রকৃত মানবিকতার প্রকাশ।


Md shazedul Karim

81 Blog Mesajları

Yorumlar