চলনবিল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যভূমি
চলনবিলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
চলনবিলের সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক ভূ-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ধারণা করা হয়, হাজার হাজার বছর আগে এ অঞ্চল ছিল নদী ও খালের অববাহিকা। ধীরে ধীরে নদীর গতি পরিবর্তন, পলি জমা ও ভূমি দেবে যাওয়ার ফলে এ অঞ্চলে বিশাল বিল বা জলাভূমির সৃষ্টি হয়।
প্রাচীনকালে চলনবিল অঞ্চল ছিল নদীনির্ভর সভ্যতার অংশ। পদ্মা, করতোয়া, আত্রাই ও বড়াল নদীর শাখা-প্রশাখা এ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জল ও পুষ্টি সরবরাহ করত। ফলে কৃষি, মৎস্য ও নৌবাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে চলনবিল গড়ে ওঠে।
মধ্যযুগে এই অঞ্চল জনবসতিপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং স্থানীয় রাজা ও জমিদাররা কৃষি ও বাণিজ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। ব্রিটিশ আমলে চলনবিলের পানি নিষ্কাশন ও কৃষি সম্প্রসারণে কিছু প্রকল্প নেওয়া হলেও, বিলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য অনেকটাই পরিবর্তিত হয়।
চলনবিল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যভূমি ও কৃষিক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। বর্ষাকালে এটি এক বিশাল হ্রদে পরিণত হয়, আর শুষ্ক মৌসুমে ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের চাষ হয়।
চলনবিল শুধু কৃষি ও মৎস্যের ক্ষেত্রেই নয়, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও পর্যটনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পাখি ও জলজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির মৎস্যভূমিগুলোর একটি।
