গল্পঃ #নারীর_সতিত্ব
দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব।
রিয়া সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল।কারণ তাদের তিন জনের মধ্যে একজন ছিল রিয়াদ।
রিয়াদও রিয়াকে ডাক্তারে
।।..তুমি এখানে?
।।.. হ্যাঁ।তবে পার্সোনাল ব্যাপারগুলা ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসলে বসতে পারেন।অন্যথায় চলে যান।
রিয়াদ চেয়ারে বসে ইশারা দেখিয়ে বললো..
।।..এটা আমার বোন আর এটা আমার দুলাভাই। কালকেই তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু..
।।.. কিন্তু কি বলুন?
।।..বাসর রাতে সহবাসের পর রক্তপাত না হওয়ায় এখন দুলাভাই আমার বোনের সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাসায় এখনো কেউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।এখন আমার বোনের মান সম্মান আপনার হাতে।আপনিই বলুন সত্যটা কি?
রিয়া রিয়াদের মুখের দিকে চেয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে তার দুলাভাই কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো:
।।..আমাদের দেশের মানুষের একটা ভুল ধারণা আছে।শুধু আমাদের দেশের বললে ভুল হবে আশেপাশের আরো অনেক দেশের মানুষের মাঝে এই কুসংস্কার প্রচলিত আছে যে মেয়েদের সতী পর্দা(hymen) থেকে আর যা প্রথম সহবাসের সময় ছিঁড়ে বা ফেটে গিয়ে রক্ত পাত হয়।যা সম্পূর্ণই একটা ভুল ধারণা।
অনেকের মনে এই বদ্ধমূল ধারণা আছে যে নারী যদি কুমারী হয় তবে বাসর রাতে সহবাসে সময় চাদরে রক্তের দাগ অবশ্যই লাগবেই লাগবে।
এ বিষয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে এটাই বলবে যে সহবাসের সময় সতীচ্ছদ পর্দা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়।
কিন্তু আপনি কি আসলেই জানেন সতীচ্ছদ পর্দা আসলে কি?
বিখ্যাত গাইনোকলিজ থাইলেস এর মতে,
সতীচ্ছদ ছিঁড়ে না কারণ এটা কোন পর্দা নয় যেটা যোনিকে ঢেকে রাখে।
এটা যদি সম্পূর্ণ বদ্ধই হতো তবে কিভাবে মেয়েদের মাসিক হত?তবে হ্যাঁ কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বদ্ধ থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের সামান্য একটা অপারেশন করিয়ে নিতে হয়।
প্রথম বার সহবাসের ক্ষেত্রে সতীচ্ছদ পর্দা ছিঁড়ে যাওয়া অসম্ভব,ভুলে যাও যা শুনেছো।
হাইমেনের কারণে কেউ তোমার কুমারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে অধিকাংশ নারীর প্রথম সহবাসের পর রক্তপাত কোনো হয়?
বাস্তবে রক্তপাত তখনই ঘটে যখন যৌনমিলন সঠিকভাবে না হয়। অর্থাৎ আপনি আপনার স্ত্রীকে আঘাতের ফলে এমনটা হয়।
আমাদের পার্শ্বব্তী দেশ ভারতে রীতিমত বিয়ের আগে গোপনে হাইমেন রিকগনেশন সার্জারী শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ মুসলিম রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা এমনটা করিয়ে থাকেন।বাস্তবে যেখানে এটা ছিঁড়েই না তাহলে পর্দা শিলায় বা করে কিভাবে?
দেশের হাজার হাজার মেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা এই সার্জারীর পিছনে খরচ করতেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমত এটা মানবাধিকার লংঘন বলে দাবিও উঠেছে।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন।এটা কখনো নারীর সতীত্ব প্রমাণের মাধ্যম হতে পারে না,এটা নির্যাতনের মাধ্যম, জুলুমের মাধ্যম।
কথাগুলো শুনে রিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবাই খুশি মনে বেরিয়ে গেল। হঠাৎ রিয়াদ ফিরে এসে বলে..
।।.. আমাকে মাফ করে দিও।আমি সত্যটা না জেনেই তোমার সাথে অন্যায় করেছিলাম।আজ চাইলেও আর তোমায় ফিরিয়ে নিতে পারবো না।কারণ তোমাকে ডিভোর্স দেয়ার কিছুদিন পরই আরেকটা বিয়ে করেছি।এখন আমার দুইটা সন্তানও আছে।
রিয়া রিয়াদের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলে..
।।..তোমার সাথে যদি সংসারটা টিকিয়েই রাখতেই চাইতাম তাহলে সেদিনই এ কথা গুলো বলতাম।সত্য বলতে আমি কখনোই চাইনি এমন নিচ মানসিকতার মানুষের সাথে সংসার করতে।
কথাটা শুনে রিয়াদ মাথা নিচু করে বেরিয়ে যায়।আর রিয়া অবিরাম হাসতেই থাকে।
আরও কয়েক দিন কেটে যায়।একদিন সকালে রিয়া কফি খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়ছিল। হঠাৎ একটা পাতায় চোখ আটকে যায়। কাগজে রিয়াদের ছবি।হেড লাইনে বড় বড় অক্ষরে লেখা..
“দুই সন্তানের বাবা হওয়া সত্বেও পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়লো এই শহরের অন্যতম বিজনেসম্যান রিয়াদ চৌধুরী”
রিয়া কাগজটা ছুঁড়ে ফেলে মনে মনে ভাবতে লাগলো..
আসলেই যে অন্যর সাথে যেমনটা করে তার সাথেও ঠিক তেমনটিই হয়, যে বাস্তবে যেমন সে অন্যকে তেমনই ভাবে......
সমাপ্ত।
নতুন নতুন লাভ রোমান্টিক ফানি গল্প পেতে নীলেখায় চাপ দিয়ে ফলো করুন 👇👉 Ã Ź À Đ
বর্তমান আধুনিক যুগে এসেও এই একটা কুসংসার এর কারণে আজও হাজার হাজার নারীর সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।গল্পটার মাধ্যমে চেষ্টা করেছি সত্যটা সবার সামনে তুলে ধরার।কতটা পেরেছি জানি না।তবে সবশেষে একটা কথায় বলবো যে,আসুন মেয়েদের সতীত্ব প্রমাণ নিয়ে এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসি এবং অন্যকেও সাহায্য করি।
ধন্যবাদ..❣️---- মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে "
কন্ঠ টা খুব চেনা লাগছে, মাথা তুলে তাকিয়ে মেঘ অবাক হয়ে যায়। কাব্য! যাকে ৩বছর আগে ছেড়ে এসেছে। যে তাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসেছিল কিন্তু এই সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে কাব্য কে ছেড়ে আসে মেঘ! আজ কাব্য তার সামনে বিয়ের পাত্র হয়ে বসে আছে। কাব্য এক ভাবে তাকিয়ে আছে, কিন্তু কাব্য এই অবস্থানে এলো কিভাবে? খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এই অবস্থায়....
মেঘ এক ভাবে তাকিয়ে আছে কাব্য
Lamiya Khatun
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?
Mdalam Mia60
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?