একটু চোখ বন্ধ করুন। চিন্তা করুন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ পেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছি ২০২৫-এ। পঞ্চান্ন বছর কেটে গেছে, অথচ আমরা এখনো একটা নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে পারিনি। শুধু শুনি “দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।” কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে যাচ্ছে—তা কেউ জানে না। এই তো জাতি হিসেবে আমাদের গোপন লজ্জা।
বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আছে করদাতাদের কষ্টের টাকায় বেতন-ভাতা পাওয়া হাজার হাজার শিক্ষক। অথচ বিজ্ঞানী নেই। চিন্তক নেই। উদ্ভাবক নেই। যারা আছেন, তারা গবেষণার বদলে রিসার্চ পেপারে লাইন ঠিক আছে কি না, সেই দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকেন।
আমাদের আছে বিসিএস ক্যাডার নামক এক অলৌকিক জাতি। তাদের নিয়ে গর্বিত পাত্রি পক্ষ, সমাজ, ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার। কিন্তু এই বিসিএস বাহিনী যদি ইরানে জন্মাতো? ওরা হয়তো পরমাণু বিজ্ঞানী হতো। রকেট ডিজাইন করত। জেনারেল সোলাইমানির মতো ছায়ায় বসে কৌশল আঁকত।
কিন্তু আমরা কী করলাম? এই মেধাবীদের ঠেলে দিলাম রুটিন জীবন আর ভোগবিলাসের গোলকধাঁধায়। আমরাই তাদের বললাম—“পিওন হয়ে থেকো, স্যার ডাক পাবে।”
আমরাই শিখালাম—“শুক্রবারে এসির নিচে ঘুমাও, দেশের জন্য চিন্তা করো না।”
এখন যুদ্ধ আসলে আমরা একা কী করব? মিয়ানমার পর্যন্ত যদি চেপে বসে, পাল্টা দাঁড়াতে পারব কি না—তা নিয়েই সন্দেহ। ভারতের কথা তুললে সেটা আর গল্প না, সেটা একরকম দুঃস্বপ্ন।
আমরা পারতাম। সত্যিই পারতাম—যদি একটু সাহসী হতাম। একটু স্বপ্ন দেখতাম।
হয়তো আজ একটা ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ ছুঁতে পারত। হয়তো একটা বিজ্ঞানী মুখ তুলে বলতে পারত—“এইটা বানাইছি আমি।”
কিন্তু আমরা তো গল্প ভুলে গেছি, সাহস ভুলে গেছি, শুধু পিয়নের মতো টাই ঠিক করে দাঁড়িয়ে থাকি—প্রমোশনের অপেক্ষায়।
এই অপেক্ষা, এই স্থবিরতা—এটাই তো আমাদের সত্যিকারের পরাজয়।
Rayhan Kabir Dma
删除评论
您确定要删除此评论吗?
জুলিয়েট শেখ
删除评论
您确定要删除此评论吗?