তখন পর্যটকেরা,সাংবাদিকেরা প্রকাশ করতেন জাফলং এর মানুষ পানির তলদেশ থেকে ছোট ছোট নৌকা(বারকি নৌকা) দিয়ে পাথর,বালু উত্তোলন করতেন আর এই উত্তোলনটা ছিল বালু,পাথর,নৌকা,আর পানি মিলেমিশে একাকার।এ যেন এক অদ্ভুত নিয়মে জীবন,জীবিকার কৌশল!! এটাই ছিল সুন্দরতম প্রকৃতি!
তখনকার সময়ে পর্যটকগন ভিবিন্নভাবে সেগুলো ক্যামেরায় ধারন করতেন এবং ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন।আমার স্পষ্ট মনে পড়ে তখন বিটিভি'তে একটা প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার হতো।সেখানে রিপোর্টার তথ্যচিত্র কালেক্ট করতেন এবং সেটা প্রচার করতেন একজন মহিলা ও তার টিম।
তিনি তার ভিডিওতে একাধিকবার বলেছেন জাফলং এর মানুষ চালনি দিয়ে ছোট ছোট নূড়ি পাথর চালনি করে সেগুলো জমা করে।অভিনব পদ্ধতিতে!!
উনাদের এই তথ্যচিত্র গুলো আমরা ভিডিওতে দেখে খুব আনন্দ পেতাম কারন,আমাদের এলাকা বিটিভিতে প্রচার হচ্ছে!!
তবে বর্তমান সময়ে এসে পর্যটক,প্রশাসন, ব্লগার এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলছেন এটা নাকি পর্যটন স্পট!! আর এখানে হতদরিদ্র শ্রমিকেরা কাজ করলে নাকি পরিবেশ নষ্ট হয়!! পরিবেশ নাকি দূষিত হয়!! পরিবেশের ভারসাম্য নাকি হারিয়ে যায়!!এটা নাকি লুটপাট!! এটা নাকি পরিবেশের সাথে অন্যায়!!
এখন বুঝতে পারছি তখনকার সময়ে টিভিতে প্রচার হওয়া দেখে নির্বোধের মত খুশি হয়েছিলাম।
তবে তখনকার সময় সাংবাদিকগন সত্য,সুন্দর এবং শ্রমিকদের কথা বলতেন,তাদের প্রশংসা করতেন।আর এখনকার সময়ে ঘরে ঘরে সাংবাদিক হয়েছে!! আর এটাই হয়েছে জনদূর্ভোগের বড় কারন!!
মোবাইল হাতে নিয়েই এখন সাংঘাতিক হয়ে যান!!
তাদের প্রচারণায় জাফলং+ শ্রীপুরের দশ,এগারো বছর আগের স্টক পাথরও নাকি ভোলাগঞ্জের পাথর হয়ে যায়!!
দুঃখজনক!! হতাশাজনক!! নেক্কারজনক!! এবং ধিক্কারজনক!!
পরামর্শ এবং অনুরোধ করি আপনারা শুধুমাত্র একপাক্ষিক চিন্তাচেতনা পরিহার করুন।পর্যটক এবং স্থানীয় লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষের কথা বিবেচনা করুন। তাদের একমাত্র কর্মসংস্থান কেড়ে নিবেন না!!
পাথর কোয়ারীগুলো সুশৃঙ্খলভাবে খুলে দিন।