#বাস্তবতা
কফিন বার্থ অত্যন্ত বিরল ঘটনা। কোনো নারী গর্ভবতী অবস্থায় মারা গেলে মৃত্যুর প্রায় ৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে তার দেহে পচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় গর্ভস্থ সন্তান জরায়ু থেকে বেরিয়ে আসে। জার্মান চিকিৎসকরা এর নাম দেন কফিন বার্থ। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘পোস্টমর্টেম ফিটাল এক্সট্রুশান’ বলে। ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝের সময়ের কিছু সমাধি খুঁড়ে কফিন বার্থের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
কফিন বার্থের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জন্মদান প্রক্রিয়ার মতোই শিশু মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু জীবিত গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে যেমন জরায়ু ক্রমাগত সংকোচনের ফলে বাচ্চা প্রসব হয়, কফিন বার্থের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয়। কারণ মৃত্যুর পর শরীরের সব অঙ্গের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং জরায়ুর সংকোচনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনও নিঃসরণ হয়না। তাই, কফিন বার্থকে পচনক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে ধরা যায়। সাইন্স বী
গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর সময় যদি গর্ভের শিশুর মাথা জরায়ুর নিচের দিকে থাকে তবে কফিন বার্থের সম্ভাবনা বেশি। মানুষ মারা যাওয়ার পরই শুরু হয় পচন প্রাক্রিয়া, এই সময় মানুষের পাকস্থলী ও অন্ত্রের মধ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া গ্যাস উৎপাদন করে। এই গ্যাসের জন্য মৃতদেহ ফুলে যায় এবং পেটে গ্যাসের চাপ বাড়ে। এই গ্যাস এক সময় জরায়ুতে চাপ দেয়, তখন মৃত মায়ের দেহ থেকে শিশু বেরিয়ে আসে। সাইন্স বী
এক্ষেত্রে সমাধি খনন করার পর শিশুর কঙ্কালটি মায়ের কঙ্কালের দুই পায়ের মাঝে, মাথা নিচের দিকে ও পা ওপরের শ্রোণীর হাড়ের দিকে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
antor Hossain
https://t.me/EasyRefEarningBot?start=r07200264805
حذف التعليق
هل أنت متاكد من حذف هذا التعليق ؟