AFace1 AFace1
    #face #bangladesh #aface1 #news #aface
    חיפוש מתקדם
  • התחברות
  • הירשם

  • מצב לילה
  • © 2025 AFace1
    על אודות • מַדרִיך • צור קשר • מדיניות פרטיות • תנאי שימוש • הֶחזֵר • Points and Payments • DMCA

    בחר שפה

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

שעון

שעון סלילים

אירועים

עיין באירועים האירועים שלי

בלוג

עיין במאמרים

שׁוּק

המוצרים החדישים

דפים

הדפים שלי דפי לייק

יותר

לַחקוֹר פוסטים פופולריים משחקים מקומות תעסוקה הצעות מימון
סלילים שעון אירועים שׁוּק בלוג הדפים שלי ראה הכל
MD Rihan Uddin
User Image
גרור כדי למקם מחדש את הכריכה
MD Rihan Uddin

MD Rihan Uddin

@Rihan12
  • ציר זמן
  • קבוצות
  • אוהב
  • הבא 4
  • עוקבים 14
  • תמונות
  • סרטונים
  • סלילים
  • מוצרים
আমি একজন সাধারন মানুষ
সবার থেকে দেখে তুমি একটা অ্যাপস খুলেছি
এখনো ভালো খারাপ কত কতটুকু সেটা এখনো আমি জানিনি
4 הבא
14 עוקבים
8 פוסטים
זָכָר
22 שנים
למד ב না
גר ב Bangladesh
ממוקם ב হাতিয়া
image
image
image
MD Rihan Uddin
MD Rihan Uddin
2 ב

কোলে গুটিশুটি মেরে থাকে ।
‎
‎বাবা! তফ বন্ধ! সালিয়ে দিসে ধৃতি।
‎
‎বেডরুমে ধূসর চোখ বন্ধ করে বিছানায় বসে আছে। শান্ত মুখে নিজেকে ছেড়ে রেখেছে । ছোট ধৃতি বাবার চোখে আইলাইনার লাগাতে ব্যস্ত। দুই হাতে একেবারে চোখের চারদিকে ঘেঁষে ঘেঁষে লেপে দিচ্ছে আইলাইনারের মোটা প্রলেপ। কিছুটা ঘেঁটে গেছে তবু ধূসর চুপচাপ বসে আছে, মেয়ের সব কর্মকাণ্ড যেন নির্ভার হয়ে সহ্য করছে।
‎
‎ঠিক তখনই দ্রুত পায়ে ইচ্ছে ঘরে এসে ধৃতি’র হাত টেনে বিছানা থেকে নিচে নামিয়ে দেয়। ধৃতির হাতে তখনও আইলাইনারের ঢাকনাটা ধরা, ইচ্ছের এমন রাগী চেহারা দেখে হাত থেকে ঢাকনাটা ফেলে দেয় ধৃতি, পড়ে গিয়ে সেটা গড়িয়ে পরে বিছানার নিচে। মায়ের এমন রাগী চেহারা দেখে ধৃতি চমকে ওঠে, সঙ্গে সঙ্গেই কান্না শুরু করে দেয় ভয়ে ।
‎
‎ধূসর তড়াক করে মেয়ের কান্না শুনে চোখ খুলে তাকায়। কয়েক সেকেন্ড অবাক হয়ে চেয়ে থাকে, তারপর ইচ্ছে’র দিকে চোখ রাঙিয়ে ওঠে, কাঁদতে থাকা ধৃতিকে বুকের কাছে টেনে নেয়, আর ঠান্ডা স্বরে ইচ্ছেকে বলে ওঠে,
‎
‎পাগল হয়েছিস তুই?আমার মেয়েকে কাঁদাস, কত বড় সাহস!
‎
‎ইচ্ছে চোখ বড় করে তাকায় ধূসরের দিকে, অবাক না হয়ে পারে না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে অভিমান নিয়ে বলে,
‎
‎—পেটের গুলা আপনার মতো হবে জানলে জীবনেও সেদিন এই কাজ করতাম না। ছোটকে ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক পরিয়ে দিয়েছে।এগুলো কিভাবে উঠবে ? সারাদিন আমি খেটে মরি , আপনি তো কিছুই করেন না! খেতে বসলে জ্বালায়, ঘুমাতে গেলেই জ্বালায়, সামনে আমার মেডিকেল পরীক্ষা—পড়তেও পারি না ঠিক মতো! আপনি থাকেন আপনার মেয়েদের নিয়ে। আমিই তো কাঁটা এখন, আমাকে আর সয্য হয়না আপনার !
‎
‎মায়ের কণ্ঠে ঝাঁঝ কথা শুনে ধৃতি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে আবার। নাক-মুখ লাল হয়ে আসে কান্নায়। ধূসর আবার ইচ্ছের দিকে তাকায়।
‎
‎আমার প্রিন্সেসকে কাঁদাবি না ইচ্ছে। নিচে যা—দ্রুত! কুইক!
‎
‎ইচ্ছে রাগে অভিমানে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ধূসর তাকিয়ে থাকে ইচ্ছের চলে যাওয়ার দিকে। মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে ধূসর কোমল স্বরে ফিসফিসিয়ে বলে—
‎
‎“আপনার জন্য আপনার মা কষ্ট পেলো! এখন এই অভিমান কিভাবে ভাঙ্গায় বলো তো প্রিন্সেস?”
‎
‎ধৃতি তখনি বাবার গাল ধরে টেনে নেয়, একটা আদুরে চুমু খেয়ে বলে,
‎
‎“বাবা, আদল করে।”
‎
‎মেয়ের এমন কাণ্ডে ধূসরের চোখে-মুখে হাসি ফুটে ওঠে। মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে , সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় ইচ্ছের পিছে।
‎
‎—
‎এদিকে লিভিং রুমে বসে ইরহা আর তাহসিনের ছেলে আহিয়ান খেলছে । পাওয়াররেঞ্জার্সের একটা ছোট্ট খেলনা নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই আহিয়ান কামড় বসায় ছোট ইরহার হাতে। মুহূর্তেই ইরহা সারা লিভিং রুম কাঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
‎
‎ইরহার কান্নার শব্দ শুনে রফিক তালুকদার তড়িঘড়ি করে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। নাতনির কান্না থামাতে গিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে তিনি,
‎"নানুভাই কি হয়েছে ! কান্না করছো কেন? "
‎
‎এর মধ্যেই উপরের দিক থেকে নেমে আসে ধূসর—কোলে বড় মেয়ে ধৃতি। নিচে নেমেই ধূসর থমকে দাঁড়ায় চোখ চলে যায় কাঁদতে থাকা ছোট মেয়ের দিকে। দ্রুত পায়ে কাছে গিয়ে দেখে, ইরহার চোখে পানি ডান হাতে কামড়ের স্পষ্ট দাগ। পাশে সোফায় আহিয়ান দাঁত বের করে হাসছে—যেন কিছুই হয়নি।
‎
‎ধূসর ইরহার হাত ধরে দেখে, "এইটা করেছো কেন আহিয়ান?তোমার আপু হয় তো।"
‎
‎আহিয়ান দাঁত বের করে বলে, " খেলনাটা দেয়না নামু।"অস্পষ্ট সুরে ধূসরের দিকে তাকিয়ে।
‎
‎ইরহা কাঁদতে কাঁদতেই বলে, "আনার ছিল … আমি আগে পেয়েছি…।"
‎
‎মেয়ের কান্না দেখে ধূসর ইরহা-কে নিজের অন্য হাতে জড়িয়ে নেয়। কিন্তু ধৃতি, যমজ হওয়ার দারুণ এক সংবেদনশীল মিল থাকার কারণে, ছোট বোনকে কাঁদতে দেখে নিজের কান্না ধরে রাখতে পারে না। সেও হু হু করে কেঁদে ওঠে।
‎
‎ধূসর দুই মেয়েকে দুদিকে কোলে নিয়ে বারবার বলে, "আচ্ছা, থামো... বাবা এখানে আছে তো, কিছু হয়নি, হ্যাঁ!আমি অনেক গুলো খেলনা এনে দিবো।?"
‎
‎কিন্তু কান্না থামে না কারো।
‎
‎রান্নাঘর থেকে এসব ইচ্ছে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে । মুখ শক্ত করে শুধু চেয়ে থাকে। ইচ্ছেকে কষ্ট দিয়েছেনা এইবার বুঝবে কত মজা।মেয়েদের কান্না থামাক এখন ইচ্ছে আসে পাশেও যাবেনা।
‎
‎এদিকে সবা

כמו
תגובה
לַחֲלוֹק
MD Rihan Uddin
MD Rihan Uddin
2 ב

কখনও কি এমন হয়েছে, গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেছে? মনে হয়েছে কিছু একটা ভুল হচ্ছে, কিংবা জীবনটা বুঝি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? নিঃশব্দ ঘরের কোণে বসে যখন কান্না আসে, তখন কেউ থাকে না পাশে। আর তখনই বোঝা যায়—আসলে আমরা কতটা একা।

আমার জীবনটাও এমনই এক গল্প। খুব সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম আমার। বাবা ছিলেন একজন কষ্টের মানুষ, মায়ের চোখে ছিল হাজারটা না বলা কষ্টের ভাষা। ছোটবেলা থেকেই শিখেছি, চাইলে সবকিছু পাওয়া যায় না। শিখেছি, না বলেও অনেক কিছু সহ্য করে নিতে হয়। তখনও বুঝিনি, এই ছোট ছোট না পাওয়া গুলোই একদিন আমার জীবনের বড় শিক্ষক হয়ে দাঁড়াবে।

বয়স বাড়লো। স্বপ্ন দেখার সাহস জন্মাল। কিন্তু বুঝলাম, স্বপ্ন দেখার জন্যও সাহসের পাশাপাশি দরকার সহায়তা, দরকার ভালোবাসা, দরকার সঠিক সময়। আর আমি? আমি পেয়েছিলাম শুধুই অপেক্ষা। হাজারটা চেষ্টার পরও জীবনের দরজা খুলছিল না। সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, আমি তখনও আটকে ছিলাম একই জায়গায়।

একটা সময় মনে হয়েছিল, হয়তো আমি কোনোদিন পারব না। হয়তো এই জীবনটা এমনই যাবে—লড়াই করতে করতেই ফুরিয়ে যাবে। কত রাত ভিজেছে চোখের জলে, কত স্বপ্ন আমি নিজেই ভেঙে ফেলেছি শুধুমাত্র ভয় আর ব্যর্থতার কারণে। মনে হতো, আমি কারো মতো হয়ে উঠতে পারিনি।

তারপর একদিন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। দেখলাম একজন ক্লান্ত, ভাঙাচোরা মানুষ, কিন্তু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি সে। ভেতরে কোথাও একটা ক্ষীণ আলো তখনও টিম টিম করে জ্বলছিল। হঠাৎ মনে হলো—জীবনটা তো শেষ হয়ে যায়নি! আমি এখনও বেঁচে আছি, তার মানে লড়ার সময় এখনো শেষ হয়নি।

সেদিন নিজেকে বলেছিলাম, “তুই পারবি।” না, এক রাতেই সব বদলায়নি। আমি ধাপে ধাপে শুরু করলাম নিজেকে গড়ার চেষ্টা। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করলাম। একটা একটা করে কাজ করলাম। নিজেকে ভালোবাসতে শিখলাম, নিজের ছোট অর্জনগুলোকে গুরুত্ব দিতে শিখলাম। এবং ধীরে ধীরে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেলাম।

তবে একা ছিলাম না। পথের মধ্যে কিছু মানুষ এসেছিল—কেউ অল্প সময়ের জন্য, কেউ স্থায়ীভাবে। তাদের কেউ কেউ বিশ্বাস জুগিয়েছে, কেউ ঠকিয়েছে। কিন্তু সবাই একেকটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। আমি বুঝলাম, মানুষ আসে ও যায়, কিন্তু আমি নিজেকে হারাতে পারি না। নিজেকে ভালোবাসা শিখতে হবে, নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে।

আজ যখন পেছনে ফিরে তাকাই, দেখি—আমি বদলে গেছি। আগের মতো নই। আমি এখনো ভাঙি, কাঁদি, ক্লান্ত হই। কিন্তু আমি জানি, আমি আবার উঠেও দাঁড়াতে পারি। কারণ আমি শিখে গেছি—ভেঙে পড়া মানেই শেষ না, বরং ওটাই হয়তো নতুন করে গড়ার সূচনা।

জীবনটা এখনো কঠিন। কিন্তু আগের মতো আর ভয় করে না। কারণ আমি জানি, আমি একা হলেও আমার ভেতরে আছে হাজারটা শক্তির গল্প। আমি জানি, আমি বেঁচে আছি—কারণ আমি ভেঙে পড়িনি।

এই লেখাটা তাদের জন্য, যারা আজ হয়তো কাঁদছে নিঃশব্দে, কেউ বুঝছে না তাদের কষ্ট। যারা নিজের জীবনের দরজা বন্ধ দেখতে পাচ্ছে। আমি শুধু বলতে চাই—তুমি একা নও। আমিও একদিন তোমার মতো ছিলাম। তুমি পারবে, একটু একটু করে। শুধু নিজেকে বিশ্বাস করো। সময় লাগবে, ভুল হবে, আবার শিখতে হবে। কিন্তু একদিন দেখবে, তুমি ঠিকই পারো।

শেষ কথা, দয়া করে নিজেকে কখনো হালকা করে দেখো না। তুমি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ—তোমার অনুভূতি, তোমার স্বপ্ন, তোমার ছোট ছোট চেষ্টাগুলো—সবই খুব দামি।

ভালোবাসা নিও। যদি কখনো মনে হয় কেউ বুঝছে না, তাহলে এই লেখাটা আবার পড়ো। মনে রেখো, তুমি একা নও।

Read Less

כמו
תגובה
לַחֲלוֹק
MD Rihan Uddin
MD Rihan Uddin
2 ב

জীবনটা ঠিক তখনই সবচেয়ে কঠিন হয়ে ওঠে, যখন হঠাৎ করেই সবকিছু থেমে যায়। চারপাশের সবাই ছুটে চলছে, আর তুমি—একটি জায়গায় থেমে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করছো, “আমি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?” সেই থেমে যাওয়া মুহূর্তটাই হয়তো আমাদের ভেতরের সবচেয়ে সত্যি কণ্ঠস্বরটা শোনার সুযোগ দেয়।

আমি জানি, কারণ আমি নিজে অনুভব করেছি।

আমার জীবনটা এমন কোনো রঙিন গল্প নয়, যেখানে সবকিছু একটার পর একটা নিখুঁতভাবে সাজানো। এটা সেই গল্প, যেখানে প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে না-পাওয়া, ভুলে যাওয়া, প্রত্যাখ্যান, একাকিত্ব, আর অজস্র কান্না।

ছোটবেলায় আমার খুব ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে মানুষ হবো—স্রেফ জীবনের জন্য নয়, আশেপাশের মানুষদের জন্যও কিছু করব। বাবা-মার মুখে হাসি ফোটাবো। কিন্তু সময় যত গড়ালো, বুঝলাম শুধু ইচ্ছা থাকলেই হয় না, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর।

আমি খুব সাধারণ একটি পরিবারে বড় হয়েছি। বাবা একজন পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন, যিনি নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে আমাদের জীবন গড়তে চেয়েছেন। মা—একজন নীরব সংগ্রামী, যার চোখে সবসময় ক্লান্তি ছিল, তবু মুখে হাসি রাখতেন। আমি তাঁদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জীবনের প্রথম ধাক্কাটা তখনই আসে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হই।

সবাই বলল, “আরও চেষ্টা করো”, কিন্তু কেউ বলল না, “তোমার কষ্টটা আমি বুঝি।” সেই প্রথম বুঝেছিলাম—মানুষ ব্যর্থতার পাশে দাঁড়ায় না, বরং সরে যায়। শুরু হলো এক নতুন যুদ্ধ—নিজের সঙ্গে।

দিনের পর দিন নিজেকে বুঝিয়েছি, “সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু আদৌ কি ঠিক হচ্ছিল? একটার পর একটা চাকরির ইন্টারভিউতে ব্যর্থ, চারপাশের মানুষদের ‘তুই তো কিছু করতে পারলি না’ টাইপ কথাবার্তা, আর নিজের প্রতি জন্ম নেওয়া একরাশ অবিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে মানুষ বলে মনে হতো না। একটা সময় মনে হতো, “আমার না থাকলেই বোধহয় ভালো হতো।”

তখনই বুঝলাম, ডিপ্রেশন কী জিনিস। মুখে বলাটা সহজ, কিন্তু যখন রাতে বিছানায় শুয়ে চাঁদের আলো জানালা দিয়ে পড়ছে, আর তুমি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করছো—সেই যন্ত্রণা কেউ বোঝে না।

প্রতিদিনের লড়াই ছিল নিঃশব্দ। বাইরে সবার সামনে হাসি, ভেতরে একেবারে শূন্য। ফেসবুকে সবাই নতুন চাকরি, প্রেম, বিয়ে, ঘুরতে যাওয়ার ছবি দিচ্ছে—আর আমি নিজের মোবাইলটাও দেখতে চাইতাম না। কারণ সবকিছু মনে করিয়ে দিত আমি পিছিয়ে আছি।

তবু হঠাৎ করেই কোনো একদিন, খুব ছোট একটা ঘটনাই জীবন বদলে দেয়। আমারও তেমনই একদিন হয়েছিল। এক বিকেলে বাসার পাশের পার্কে গিয়েছিলাম কিছুটা সময় চুপচাপ বসে থাকতে। হঠাৎ দেখি, একটা ছোট বাচ্চা সাইকেল চালাচ্ছে—বারবার পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে বারবার উঠে দাঁড়াচ্ছে, আবার চালাতে শুরু করছে।

আমি তখন চেয়ারে বসে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, “এই বাচ্চাটাও তো পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে তো হাল ছাড়ছে না! তাহলে আমি কেন নিজেকে শেষ মনে করছি?”

সেদিনই হয়তো আমার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। হ্যাঁ, আমি তখনো কিছুই পাইনি, কিন্তু ভেতরে একটা সাহস জন্ম নিয়েছিলো—আবার চেষ্টা করার সাহস।

আমি খুব ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে শুরু করলাম। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে একটা কথা বলতাম: “আজ একটা কাজ কর, যেটা আগের দিনের তুলনায় তোমায় একটু এগিয়ে রাখবে।” শুরু করলাম নতুন কিছু শেখা—অনলাইন কোর্স, বই পড়া, নিজের ভেতরের আগ্রহগুলো নিয়ে কাজ করা।

তারপর একটা ছোট কাজ পেলাম—একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। বেতন কম, সম্মান কম, তবু সেই প্রথমবার মনে হলো, “আমি পারি।” ধীরে ধীরে কাজ বাড়লো। লেখার জায়গা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং-এ প্রবেশ করলাম।

তখনই জীবন একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিলো—"তুমি যখন নিজের উপর বিশ্বাস করো, তখন গোটা পৃথিবীও তোমায় বিশ্বাস করতে শুরু করে।"

অবশ্য এখনও সব ফুলে-ফলে ভরা নয়। অনেক দিনই আসে, যখন ক্লান্তি পেয়ে বসে, যখন মনে হয় “সব আবার হারিয়ে যেতে পারে।” কিন্তু এখন আমি জানি, আমি আবার শুরু করতে পারি। কারণ আমি নিজের মধ্যে একজন যোদ্ধাকে খুঁজে পেয়েছি।

আমার সেই যোদ্ধা আমি নিজেই।

এই লেখাটা আমি তাদের জন্য লিখছি, যারা আজ হয়তো খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা হয়তো মনে করছে, “আর পারছি না, আর সম্ভব না।” আমি জানি, আমি কোনো গুরুর মতো কিছু শেখাতে পারব না। কিন্তু আমি চাই, তুমি জানো—তুমি একা নও।

তোমার মতো আমিও কেঁদেছি, আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন আমি আবার বেঁচে আছি। আমি আবার হাসি, কারণ আমি জানি, আমি কীভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আর সে কারণেই আমার হাসিটা এখন অনেক গভীর।

স্মরণীয় একটা কথা বলি—
“মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার আবার উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা।”

তুমি কষ্টে আছো, হতাশায় আছো—এই মুহূর্তে হয়তো কেউ তোমার পাশে নেই। কিন্তু তুমি আছো। তুমিই তোমার সবচেয়ে বড় সম্বল। নিজেকে ভালোবাসো। নিজেকে সময় দাও। তোমার গল্পটা এখনো শেষ হয়নি।

একদিন তুমি নিজেই তাকিয়ে দেখবে, “আমি তো পারলাম!”
তখন তুমি নিজেরই চোখে জল পাবে—এই আনন্দের, এই গর্বের।

Read Less

כמו
תגובה
לַחֲלוֹק
MD Rihan Uddin
MD Rihan Uddin
2 ב

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না

כמו
תגובה
לַחֲלוֹק
avatar

Mahfuz Chowdhury

 
innahlillah
אהבה
1
כמו
· תשובה · 1749160417

מחק תגובה

האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?

MD Rihan Uddin
MD Rihan Uddin
2 ב

মানুষের সফলতা আসবেই
তুমি তোমার মন থেকে ও তোমার মনে যেটা চাই সেটা কর তাহলে তোমার লক্ষ তে তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবা অন্যান্য লোকের কথা ধরে তোমার গন্তব্য মিস করবে না তুমি তোমার গন্তব্যে যাওয়া পর্যন্ত বেনা কারণ তোমার লক্ষ্য একটাই থাকবে সেটা হলো তোমার সঠিক গন্তব্য




ধন্যবাদ সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য
কার গন্তব্য কোথায় কমেন্ট করে জানাবেন
আর আমার গন্তব্য হলো
বাংলাদেশ টু কাতার 🥰🥰

image
כמו
תגובה
לַחֲלוֹק
טען עוד פוסטים

לא חבר

האם אתה בטוח שאתה רוצה להתנתק?

תדווח על המשתמש הזה

ערוך הצעה

הוסף נדבך








בחר תמונה
מחק את השכבה שלך
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את השכבה הזו?

ביקורות

על מנת למכור את התוכן והפוסטים שלך, התחל ביצירת מספר חבילות. מונטיזציה

שלם באמצעות ארנק

התראת תשלום

אתה עומד לרכוש את הפריטים, האם אתה רוצה להמשיך?

בקש החזר