আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
بسم الله الرحمن الرحيم
📌 (আমাদের মাদ্রাসায় আজকের ইসলাহী মজলিস থেকে নেওয়া....)
▪ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার শুরুটা হয় 'জবানের' মাধ্যমে। আর সর্বোচ্চ পর্যায়ে যায় 'হাতের' মাধ্যমে।
▪️ আমরা নিজের হকের ব্যাপারে যতটা মুহাসাবা করি,হিসাব-নিকাশ করি,অন্যের হকের ব্যাপারে করি না। অথচ নিজের হক ছেড়ে দিয়ে,অন্যের হক আদায়ের ব্যাপারে মনোযোগী হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
▪️ ব্যক্তিগত কারণে প্রতিশোধগ্রহণ না করা-ই উত্তম। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়া যাবে।
▪️ আমাদের জন্য সীরাত অধ্যয়ন খুবই জরুরী। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারব,কার সাথে কেমন আচরণ করতে হবে,কীভাবে চলতে হবে।
▪️ দু'আ ইবাদতের মগজ। দু'আ করার পর তার জাহেরী ফায়সালা না দেখলেও হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই,কেননা যে দু'আ দুনিয়ায় কবুল হয় নি সেটার প্রতিদান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আখিরাতে দেবেন। আর সেই প্রতিদান দেখে মানুষ বলবে, "দুনিয়ায় আমার যদি কোনো দু'আ-ই কবুল না হতো!"
▪ গীবত থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো - অনুপস্থিত ব্যক্তি সম্পর্কে যত কম কথা বলা যায়। আর উপস্থিত ব্যক্তির ব্যাপারে আদব-সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। সম্মান দিলে,সম্মান পাওয়া যায়। [গীবত নিয়ে বিস্তারিত পড়া যেতে পারে,শাইখ আব্দুল হাই লাখনৌভীর বই থেকে।]
▪️ যত পারি চুপ থাকব। অতিরিক্ত কথা বলব না। যিকির করতে পারলে আরও উত্তম।
▪️ নজরের হেফাজতের প্রতি খুব সতর্ক থাকতে হবে। এর কারণে আমাদের ঈমানী শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুফতি তাকি উসমানী (হাফি.) বলেছেন, "স্মার্টফোন ব্যবহার করে যদি কারো নজরের হেফাজত করা সম্ভব না হয় তাহলে তার জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার নাজায়েয।" তাই স্মার্টফোন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে মেধা নষ্ট হওয়া,চোখে কম দেখা সহ নানা সমস্যা হয়। এজন্য যতটা সম্ভব এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। [নজরের হিফাজত নিয়ে শাইখ যুলফিকার আলী নকশবন্দী (হাফি.)-র বই আছে।]
ما شاء الله ، لا قوة إلا بالله. اللهم بارك.
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন,দেখবেন খুব কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।যে আল্লাহর উপর ভরসা রাখে,তার জন্য আল্লাহ তায়া’লা যথেষ্ট হয়ে যান।
যার আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই
যার জীবনের সব ভরসা আল্লাহর ওপর, সে কখনো একা নয়। দুনিয়া ছেড়ে গেলেও, মানুষ পাশে না থাকলেও, আল্লাহ তার প্রতিটি মুহূর্তে তার সহচর।
যখন হৃদয় বিষণ্ণ হয়, মনে রাখবেন—যার আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই, তার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। তিনি তার বান্দার দুঃখ, ক্লেশ ও কষ্ট দূর করেন, আর প্রতিটি আমলকে গুনাহের ভার থেকে মুক্ত রাখেন।
আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা মানে শুধু বিশ্বাস নয়, বরং হৃদয়ের শান্তি, মনোবল, এবং প্রতিটি পদক্ষেপে নিরাপত্তা পাওয়া। আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকা মানেই জীবনকে আলোকিত করা।
আপনি যদি সত্যিই আল্লাহকে সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী মনে করেন, তবে দুনিয়ার কোনো পরীক্ষা আপনাকে দমিয়ে দিতে পারবে না। সবসময় স্মরণ করুন—আপনার আল্লাহই যথেষ্ট, সবকিছুর চেয়ে অনেক বড়।
ভরসা শুধু আল্লাহকেই করুন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
সিজদার মধ্যে যে কি পরিমান শান্তি, তা নিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না।
এখানে “সিজদার প্রশান্তি” বিষয়ক ছোট কিছু লিখা দিলাম —
সিজদার প্রশান্তি::
সিজদা—মাথা মাটিতে রাখা, দুনিয়ার সব ভার ভুলে যাওয়ার মুহূর্ত।
এই ক্ষণটিই আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি হওয়ার সময়। হৃদয় এখানে নিঃশব্দে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে, ভরসা স্থির হয়, এবং প্রশান্তি আসে অনন্যভাবে।
যখন জীবন ক্লেশপূর্ণ হয়, দুঃখ ও চিন্তা আমাদের বোঝা বাড়ায়, তখন সিজদা আমাদের অন্তরে শান্তির বাতাস বয়ে আনে। এটি মনে করিয়ে দেয়—আমরা একা নই, আমাদের সাথে আছেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ।
অতএব, প্রতিদিন যতবার সম্ভব এই মুহূর্তের গুরুত্ব স্মরণ করুন। মনে রাখুন, প্রতিটি সিজদা আমাদের হৃদয়কে শক্তিশালী করে, আত্মাকে ধৈর্যশীল করে এবং ঈমানকে জাগ্রত রাখে।
সিজদা শুধু রুকু বা সালাতের অংশ নয়—এটি এক অন্তরের ভরসা, শান্তি ও আল্লাহর সাথে অন্তরঙ্গ সংযোগের নিখুঁত মুহূর্ত।